উপবৃত্তি নিউজশিক্ষা খবর

উপবৃত্তি পেলো স্নাতক পাশ ডিগ্রীর ২ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষার্থী

উপবৃত্তি পেলো স্নাতক পাশ ডিগ্রীর ২ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষার্থী . স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের ২ লাখ ৭৯ হাজার ২৭২ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় প্রত্যেক শিক্ষার্থী ৪ হাজার ৯০০ টাকা করে পেয়েছেন।

 

রোববার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজধানীর বিভিন্ন কলেজের ১২ জন স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে টাকা তুলে দেয়ার মাধ্যমে উপবৃত্তি বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।উপবৃত্তি পেলো স্নাতক পাশ ডিগ্রীর ২ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষার্থী . স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ের ২ লাখ ৭৯ হাজার ২৭২ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি দেওয়া হয়েছে।

ডাচ-বাংলা ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং ‘রকেট’ এর মাধ্যমে সব শিক্ষার্থীর কাছে রোববারের মধ্যে টাকা পৌঁছে যাবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

এবার উপবৃত্তি পাওয়া ২ লাখ ৭৯ হাজার ২৭২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্রী ২ লাখ ৫ হাজার ২৯০ ও ছাত্র ৭৩ হাজার ৯৮২ জন।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য উপবৃত্তির উপকারভোগীরা যাতে উপকৃত হয়। তাদের কাছে যেন সঠিক সময়ে টাকাটা পৌঁছে যায়, আমরা সেই বিষয়টির উপর গুরুত্ব দেব।’

উপবৃত্তির এই কার্যক্রম আরও সম্প্রসারণ করা হবে জানিয়ে সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘এই কাজটি আমরা স্বচ্ছভাবে করতে চাই। কাজটি এখন পর্যন্ত সেভাবেই চলছে।’

আরো দেখুন- স্নাতক ডিগ্রী (পাস) ও সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান ২০২২

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম জাকির হোসাইন বলেন, শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় আমরা প্রতিবছর প্রায় ৩ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দিয়ে থাকি। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা টাকার অভাবে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয়, সেই লক্ষ্যে শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট পরিচালিত হচ্ছে।

এই ট্রাস্টের আওতায় শিক্ষার্থীদের ভর্তি সহায়তা, দুর্ঘটনায় সহায়তা, উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে সহায়তা দেয়া হয় বলেও জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, ‘স্নাতক পর্যায়ে মেয়েদের ঝরে পড়ার হার বেশি। এই উপবৃত্তি ঝরে পড়ার হার কমাবে বলে আমি মনে করি।’

ডাচ-বাংলা ব্যাংকের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সচিব বলেন, “অনেক সময় কিছু কিছু টাকা ফিরে আসে, যদি এমন হয় তবে ট্রাস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমাধান করবেন যেন সবাই টাকাটা পায়। সঠিক সময়ে ও সুনির্দিষ্ট টাকা যাতে সব উপকারভোগী পায় তা নিশ্চিত করতে হবে।”
এই ট্রাস্ট ফান্ড থেকে প্রথমে ছাত্রীদের বৃত্তি দেওয়া হলেও পরে ছাত্রদেরও এর আওতায় আনা হয় জানিয়ে সোহরাব বলেন, “বৃত্তির পরিমাণ ও সংখ্যা বাড়াতে হবে। এতে অতিরিক্ত যে অর্থ লাগবে তা সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।”
মাসে ২০০ টাকা হারে ১২ মাসে দুই হাজার ৪০০ টাকা, বই কেনা বাবদ এক হাজার ৫০০ টাকা এবং টিউশন ফি বাবদ আরও এক হাজার টাকা মিলিয়ে বছরে চার হাজার ৯০০ টাকা করে পান একেকজন শিক্ষার্থী।
সরকার সিড মানি হিসেবে এক হাজার কোটি টাকা দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করে। পরে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাছ থেকে এই ফান্ডে অনুদান হিসেবে অর্থ নেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ বি এম জাকির হোসাইন বলেন, “আগামীতে সব উপবৃত্তির অর্থ এই ট্রাস্ট থেকে পরিচালিত হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে ঝরে না পড়ে, কোনোভাবেই যেন তারা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত না হয় সেজন্য এই ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে।”

এবার উপবৃত্তি দিতে ১৫১ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৪০০ টাকা প্রয়োজন হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group