উপবৃত্তি নিউজশিক্ষা খবর

এখন থেকে জিটুপি পদ্ধতিতে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করা হবে

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এখন থেকে জিটুপি পদ্ধতিতে উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করা হবে। এ পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের মা, বাবা ও বৈধ অভিভাবকরা তাদের পছন্দ অনুযায়ী নিজ নিজ সক্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে টাকা তুলতে পারবেন।  প্রায় দেড় কোটি প্রাথমিক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তি বিতরণের দায়িত্ব নির্দিষ্ট কোনো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের হাতে আর থাকলো না। এখন থেকে অভিভাবকের বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায়সহ যেকোনো বৈধ ও সক্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে উপবৃত্তি বিতরণ করা যাবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়নও শুরু করেছে।

 

প্রসঙ্গত, সশরীরে সাধারণ ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তি বিতরণে দুর্নীতি ও দীর্ঘসূত্রিতা থেকে মুক্তি পেতে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে সরকার মোবাইল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে উপবৃত্তি বিতরণের সিদ্ধান্ত নেয়। শুরুতে দায়িত্ব পায় শিওরক্যাশ। কিন্তু, প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কাছে উপবৃত্তির টাকা পৌছাতে চরম ব্যর্থতা ও সরকারি অর্থ লুটপাটের অভিযোগে শিওরক্যাশকে বাদ দেয়া হয়। দায়িত্ব দেয়া হয় নগদ-কে। কিন্তু, কাঙ্খিত ফল না পাওয়ায় সরকার বিষয়টি উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

 

জানা গেছে, গতবছর অর্থাৎ ২০২১ সালের জুন মাসে আগের উপবৃত্তি প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের দুই কিস্তি উপবৃত্তির টাকা পাননি প্রাথমিকের ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী। নতুন বছরেরও প্রথম তিন মাস চলে গেছে। মোট তিন কিস্তির টাকা আটকে আছে। শিক্ষার্থীরা কবে উপবৃত্তি বা জামা-জুতার টাকা পাবেন সে বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। তবে প্রাথমিকের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা বিতরণের নতুন পদ্ধতি চালু করছে মন্ত্রণালয়। সে জন্যই এ নির্দেশিকা করা হয়েছে বলে দৈনিক আমাদের বার্তাকে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

 

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আর কোনো প্রকল্পের মাধ্যমে নয়, প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় দেয়া হবে। নিয়ম অনুযায়ী, উপবৃত্তির টাকা পেতে স্কুলে শিক্ষার্থীদের ৮৫ শতাংশ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ৮৫ শতাংশ উপস্থিতির সঙ্গে বার্ষিক পরীক্ষায় ৪০ শতাংশের বেশি নম্বর পেলে উপবৃত্তির যোগ্য বিবেচিত হবেন। এসব বিধান যুক্ত করে প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম নির্দেশিকা-২০২১ অনুমোদন দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। নির্দেশিকার কপি মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।

 

According to the new decision, the stipend money will be distributed in the GTP system from now on. In this way, students’ mothers, fathers, and legal guardians can withdraw money using their respective active mobile banking accounts as per their choice. The responsibility of distributing stipends to about one and a half crore primary students was no longer in the hands of any particular mobile financial service.

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply