টেলিগ্রাম থেকে টাকা আয় করার উপায়
টেলিগ্রাম থেকে টাকা আয় করার উপায়?
চ্যানেলে অ্যাড : চ্যানেলে অ্যাড দিয়ে টেলিগ্রাম থেকে প্রচুর আয় করা সম্ভব। ইদানিং টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে। আপনার চ্যানেলটি যারা সাবস্ক্রাইব করবে, তাদের ওই বিজ্ঞাপন দেখাবে। এর ফলে লাভ হবে আপনার।
রিসেলিং প্রোডাক্ট:এমন অনেক ওয়েবসাইট এবং অ্যাপস আছে যেগুলোতে যোগাযোগ করলে তাদের প্রোডাক্ট নিজের চ্যানেলে বিক্রি করা যায়। অর্থাৎ থার্ড পার্সন হিসেবে সেই প্রতিষ্ঠান অন্য কাউকে শর্তসাপেক্ষে তাদের পণ্য বিক্রি করার অনুমতি দেয়, এতে উভয়ই লাভবান হয়।
ইউআরএল (URL) শর্টনার: অনেক সময়ই দেখা যায় কোনো একটা ভিডিও দেখতে গেলে অন্য আরেকটা বিজ্ঞাপন আগে আসে। এতে সেই চ্যানেল বা ভিডিও পোস্টদাতা বিজ্ঞাপন প্রতিষ্ঠান থেকে লাভবান হয়। এরকমই এক পদ্ধতি হচ্ছে ইউআরআল শর্টনার। এটি হচ্ছে কোনো একটা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের লিংক সাধারণত শর্ট করে আনা।
ভার্চুয়াল টেলিগ্রাম অ্যাসিট্যান্ট : টেলিগ্রাম থেকে অর্থ আয় করতে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হতে পারেন আপনি। একজন ভার্চুয়াল টেলিগ্রাম অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে আপনাকে টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীদের সাহায্যের করতে হবে। এর জন্য আপওয়ার্ক বা ফাইভারে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে প্রথমে। এই কাজ করতে পারলেই মোটা টাকা আয়ের সুযোগ আছে।
রেফারেল ইনকামঃঅনলাইনে এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে যেগুলো রেফার করার মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়। যেহেতু কমপক্ষে ৫ হাজার সদস্য নিয়ে গ্রুপ খোলা হয়েছে, সেই গ্রুপে অ্যাপগুলো একটা নির্দিষ্ট লিংকের মাধ্যমে দিলে মেম্বাররা সেই লিংক থেকে অ্যাপের সার্ভিস নিবে এবং রেফারেল আইডি তার একাউন্টে পাবে লাভের টাকা।
অনলাইন ক্লাস : টেলিগ্রামের মাধ্যমে খুব সহজেই অনলাইন ক্লাস করানো যায়। এর জন্য একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। তারপর সেখানে ছাত্রছাত্রীদের যোগ করুন। একবার যোগ হলে তারা সহজেই আপনার পোস্টগুলো দেখতে পারবে।
চ্যানেল তৈরি : সবার কাজে লাগে এমন একটি বিষয় নিয়ে চ্যানেল বানান। তাতে কন্টেন্ট আপলোড করুন নিয়মিত। চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করতে হলে একটি মূল্য ধার্য করুন। এতেই বাড়বে আয়ের পরিমাণ।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: সাধারণত টেলিগ্রামের গ্রুপে বা চ্যানেলে কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের লিংক দেয়া হলে সেখানকার কোনো মেম্বার সেই লিংকে প্রবেশ করে প্রোডাক্ট বা সার্ভিসটি নিলে প্রোডাক্টটির মোট মুনাফার একটা অংশ সেই চ্যানেলের বা গ্রুপের মালিককে দেয়া হয়।

