পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতীকী পরীক্ষা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান বন্ধ হওয়া পরীক্ষাগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিতে চান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। চতুর্থ বর্ষের স্থগিত পরীক্ষাগুলো চলমান রাখার দাবিতে রাস্তায় বসে প্রতীকী পরীক্ষা দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। রোববার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে খাত কলম নিয়ে বসে ১২ জন পরীক্ষার্থী প্রতীকী পরীক্ষা দেয়।
এসময় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্থগিত পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশ করা না হলে রাজশাহীর আঞ্চলিক শিক্ষা অফিস ঘেরাও করার ঘোষণা দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন করতে দেখা গেছে। মানববন্ধন থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে রাখার দাবি জানানো হয়। একই সাথে শিক্ষার্থীরা জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে অনুষ্ঠিত হওয়ায় মাত্র ২ থেকে ৩টি পরীক্ষা বাকি আছে। এই পরীক্ষাগুলো আটকে যাওয়ার কারণে তাদের জীবনের চাকা আটকে গেছে। সেই পরীক্ষাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধন ও প্রতীকী পরীক্ষা শেষে বক্তব্য দেন শিক্ষার্থীরা। এসময় পরীক্ষার্থীরা আরো জানায়- দেশে সব কিছুই যদি চলতে পারে তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। বার বার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ফলে ভবিষৎ নিয়ে সংকিত আমরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক আব্দুর রহিম জানান, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যানের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি। আমাদের স্থগিত পরীক্ষাগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন নেওয়া হয়। এজন্য আমার ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে পরীক্ষার নতুন সময়সূচি ঘোষণা করতে হবে। তা না হলে কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে শিক্ষার্থীরা
পরীক্ষার্থী আব্দুর রহিম আরো জানান, আমাদের করো করো ২ দুইটি, আবার কারো তিনটি পরীক্ষা বাকি আছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষাগুলো দিতে চায়। এই পরীক্ষাগুলো কারণে আমাদের ভবিষৎ চাকরি-বিয়ে সাদী আটকে আছে। একটি মাত্রা সার্টিফিকেটের কারণে আমরা বছরের পর বছর আটকে আছি।
প্রতীকী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী তাসলিমা রুম্পা নামে শিক্ষার্থী জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আমরা পরীক্ষাগুলো দিতে চাই। এর আগে করোনার কারণে দুই বছর আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত। সোহেল রানা নামে অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, সবকিছু যেমন খোলা আছে তেমনভাবে আমাদের পরীক্ষাগুলো নেওয়া হোক।