জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের প্রযুক্তিগত শিক্ষাগ্রহণের আহ্বান: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য

দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মকর্তাদের প্রযুক্তিগত শিক্ষাগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ মেনে চলার সময়ে আমরা নিজেদেরকে আরও দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারি। এই সময়ে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনের কোন বিকল্প নেই।’

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ব নাগরিক হিসেবে আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে তৈরি করতে হলে কর্মকর্তাদের যেকোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে তা মোকাবেলায় জয়ী হতে হবে। একজন প্রতিশ্রুতিশীল কর্মীকে প্রতিদিনই আপডেট থাকতে হয়। নতুন নতুন তথ্য-প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হয়ে কর্মক্ষেত্রে তা বাস্তবায়নে অগ্রসর ভূমিকা পালন করতে হয়। তা না হলে নিজেকে পিছিয়ে পড়তে হয়। কর্মের প্রতি যদি ডেডিকেশন না থাকে তাহলে এক সময় শারীরিক ও মানসিকভাবে বৈকল্যের মধ্যে পড়তে হয়। আপনারা ভাগ্যবান যে আপনাদের কাজ করার যথেষ্ট অপারচুনিটি রয়েছে। আর যদি এই সুযোগ কাজে না লাগান তাহলে আপনারা হবেন দুর্ভাগা। আপনাদের মনে রাখতে হবে কাজই আপনার আত্মসম্মান ও মর্যাদা বাড়াবে। আপনাদের মধ্যে তারুণ্যের ও সৃজনশীলতার উদ্যমটা আমরা দেখতে চাই।’

উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘আমি নিশ্চয়ই শিক্ষকদের সকল দাবি-দাওয়ার সঙ্গে একমত। মনে করি, শিক্ষকদের এখনো অনেক চাওয়া-পাওয়ার আছে এবং সেটি দিতে হবে। একইসঙ্গে মনে করি, এমন বৈষয়িক বিষয় যেন আমাদের পেয়ে না বসে যার কারণে আমাদের আসল সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। শিক্ষকদের আসল সৌন্দর্য হচ্ছে একটি ভালো লেখায়, নতুন কবিতায়, বিজ্ঞানাগারে নতুন সৃষ্টিতে, নতুন ধরনের গবেষণায়। আমরা যেন সেটি থেকে নিজেদের না হারাই। স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করছি। শিক্ষকদের জরাজীর্ণ দশা ছিল। আমি বলবো না সব কেটে গেছে। এখনো আছে। সেই জরাজীর্ণ দশার শিক্ষকরাই এদেশের সবচাইতে সৎ, আলোকিত, গুণীজন, শ্রদ্ধাভাজন মানুষ। কিন্তু তাহলে কেন সবচেয়ে সৎ ও আলোকিত মানুষ কখনো কখনো অনুভব করে যে, তারা পেশাগত জায়গায় বঞ্চিত। এর উত্তর পাওয়া যায় আমাদের জাতীয় সংগীতে, বঙ্গবন্ধুর লেখা অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়লে। পৃথিবীর ইতিহাসে যখনই কেউ বড় কিছু করেছে, সৃজনশীল কিছু করেছে, তাদের জীবনে বৈষয়িক অর্জন সবচেয়ে কম হয়েছে। কিন্তু সেই বৈষয়িক অর্জন নেই বলে নজরুলের লেখা বন্ধ হয়নি। রবীন্দ্রনাথের অমর সৃষ্টি সীমাহীন সৌন্দর্য দীর্ঘকালিন হয়েছে। সেই কারণেই বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পৃথিবীর ইতিহাসে বহু মানুষের কাছে সবচেয়ে প্রিয় গ্রন্থ। কেননা ওর পরতে পরতে জীবনের আত্মত্যাগের কথা আছে।’

 

উপাচার্য আরো বলেন, ‘শিক্ষকদের দাবি দাওয়ার বিষয়গুলোকে মাঠ পর্যায় থেকে যতো বেশি টেবিলে আনা যাবে মূলত ততবেশি ফল পাওয়া যাবে। যতবেশি মাঠে আনবেন, ততবেশি সফলতার সম্ভাবনা কম হবে। গণতান্ত্রিক রীতি পদ্ধতিতে কখনো কখনো পেশার উৎকর্ষতায় নিজেকে আগে সফল দেখাতে হয়। আমরা যদি নিজেরা দক্ষ, যোগ্য হয়ে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে পারি, আমি নিশ্চিত বাংলাদেশে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের মৌলিক দাবি-দাওয়ার বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ এবং সচেতন। শিক্ষকদের মৌলিক দাবি-দাওয়াগুলো যতোক্ষণ অর্জিত না হয়, এটি এক ধরনের নিভৃতে কান্নার মতো। আমরা আশা করবো এই নিভৃত কান্নার অবসান হবে। বাংলার বুকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সত্যিকার অর্থে বাস্তবায়ন করতে হলে শিক্ষক এবং শিক্ষা হচ্ছে তার প্রধান বাহন।’

বৃহস্পতিবার অনলাইন প্লাটফর্ম জুম অ্যাপের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আয়োজিত “কর্মকর্তাদের আইসিটি দক্ষতা বৃদ্ধি ও প্রশাসনিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ” শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য।

প্রথম ধাপে ১৫ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫২জন সেকশন অফিসার অংশগ্রহণ করেন। পর্যায়ক্রমে কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে এই প্রশিক্ষণ বছরব্যাপী চলবে। ১৫ দিনব্যাপী চলা এই প্রশিক্ষণের মডিউলে আইসিটি বেসিকস, অরগানাইজেশনাল বিহেভিয়ার, অফিস ম্যানেজমেন্ট, মোবাইল অ্যাপস, সাইবার সিকিউরিটি, কম্পিউটার ইন্টারনেট সিকিউরিটি, মাইক্রোসফট অফিস, গুগল মিট, ডাটা ম্যানেজমেন্ট, ই-ফাইলিংসহ বিভিন্ন বিষয় যুক্ত রয়েছে।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply