সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির লটারি স্থগিত
সরকারি স্কুলগুলোর ভর্তিতে লটারির সূচি ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারিত থাকলেও তা হচ্ছে না। মঙ্গলবার উচ্চ আদালতের ভর্তি সংক্রান্ত এক শুনানি শেষে আদালত ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করার জন্য আরও ১০ দিন সময় বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এ কারণে ভর্তির লটারি স্থগিত করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
আরো পড়ুন- জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এইচএসসির ফল প্রকাশ
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে সারাদেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১ম শ্রেণি হতে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আগামী ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০খ্রি. অনলাইন লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত ছিল।
কিন্তু মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং- ১০৩০৯/২০২০ চলমান থাকায় আগামী ৩০ ডিসেম্বর, ২০২০খ্রি. তারিখে অনুষ্ঠিতব্য “ডিজিটাল লটারি কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলাে। পরবর্তীতে অনলাইন লটারির তারিখ ও সময় যথারীতি জানিয়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) মো. বেলাল হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, আদালতের আদেশের কারণে ভর্তির জন্য লটারি করার নির্ধারিত যে সূচি ছিল তা স্থগিত করা হয়েছে। পরে লটারি হওয়ার দিন তারিখ ঠিক করে জানানো হবে।
জানা গেছে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ১১ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদন চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কয়েকমাস কম বয়সী শিক্ষার্থীরা আবেদন করলেও তা সফটওয়্যার নেয়নি। এদিকে ভর্তির আবেদনের সময় শিশুর জন্মনিবন্ধন সনদ জমা সফটওয়ারে এন্ট্রি করা বাধ্যতামূলক ছিল। কিন্তু সার্ভার ডাউন থাকায় অনেক শিক্ষার্থী জন্ম সনদ না পেয়ে আবেদন করতে পারেনি অনেক শিক্ষার্থী।
যার ফলে এক অভিভাবক আদালতে রিট করে। রিটের শুনানি শেষে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেয়া ১১ বছর বয়সের শর্তটি স্থগিত করে হাইকোর্ট। আদালত বলেন, ১০ বছরের উর্ধ্বে যে কেউ ভর্তি হতে পারবে। একইসাথে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর কথাও জানান হাইকোর্ট।
সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির লটারি স্থগিত সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি
আরো পড়ুন- ২০২১ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সময় পরিবর্তন
উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের কারণে আসন্ন শিক্ষাবর্ষে সরকারি-বেসরকারি স্কুলগুলোর সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। সফটওয়্যার ব্যবহার করে অনলাইনে লটারি পরিচালনা করা হবে। চলতি বছর টেলিটকের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ১১০ টাকা আবেদন ফিয়ের বিনিময়ে ৫টি সরকারি স্কুলে ভর্তির আবেদন করতে পেরেছেন।
সারাদেশে মোট ৩৮৬টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তির আবেদন নেয়া হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে মোট ৪ লাখ ৬৭ হাজার ৩২৪টি আবেদন জমা পড়েছে। ভর্তিচ্ছু সব শিশু আবেদন করতে পারলে এ সংখ্যা অন্তত ৬ লাখ ছাড়িয়ে যেত বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
