চলতি মাস থেকেই শুরু হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধ
করোনা সংক্রমণজনিত কারণে দেশের চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে হয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটতে যাচ্ছে পরীক্ষার্থীদের। চলতি মাস থেকেই শুরু হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারি বিধিনিষেধ তুলে নেয়া সাপেক্ষে স্থগিত থাকা ভর্তি পরীক্ষাগুলো আয়োজন করা হবে। সেক্ষেত্রে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে পুরোদমে শুরু হবে ভর্তি পরীক্ষা। এদিকে, চলতি মাসেই আর্মড ফোর্সেস ও আর্মি মেডিকেল এবং বিইউপির ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া ডেন্টাল ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর নেয়ার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ।
দেশের করোনা পরিস্থিতির উন্নতি এবং শিথিল করা বিধিনিষেধ নতুন করে জারি না হলে আগামী সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। এর আগে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে প্রাথমিক সিলেকশনের ফল প্রকাশ করা হবে।
তবে সবকিছুই নির্ভর করছে করোনার ওপর। চলমান করোনা পরিস্থিতির আরও অবনতি কিংবা বর্তমান অবস্থা বিরাজ করলে ভর্তি পরীক্ষা সেপ্টেম্বরের শেষেও আয়োজন করা যাবে না বলে জানিয়েছে আয়োজক কমিটির সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, গত রোববার দেশের চলমান বিধিনিষেধ শিথিল করার ঘোষণা আসার পরপরই আগের দেয়া ভর্তি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করে নতুন সময় ঘোষণা করেছে আর্মড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ ও পাঁচটি আর্মি মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ। আগামী ১৪ আগস্ট পরীক্ষার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বিইউপির স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন সূচি অনুযায়ী আগামী ২০ ও ২১ আগস্ট ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের সরকারি-বেসরকারি ডেন্টাল কলেজ ও ডেন্টাল ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২২ জুন অনির্দিষ্টকালের জন্য বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেদিন এক বিজ্ঞপ্তিতে বুয়েট জানিয়েছিল, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসলে প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষার কমপক্ষে ১০ দিন আগে পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে বুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কঠোর লকডাউন থাকায় আমাদের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। যদি চলাচলে কোনো বাধা না থাকে তাহলে আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নেব।
তিনি বলেন, খুব বেশিদিন আমাদের ভর্তি স্থগিত রাখার সুযোগ নেই। ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আশা করছি আজ-কালের মধ্যেই ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে।
১২ আগস্ট তিন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তবে এর আগে দেশে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ থাকায় সম্প্রতি সেটি স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, এখনো নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে ভর্তি পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানে মূল্যায়নে সারাদেশে ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় ‘অটো পাস’ করেন। এছাড়া ২০১৯ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন পাস করেন। এই সব শিক্ষার্থীদের ৪/৫ লাখ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।
