ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট 2021 প্রকাশ
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট 2021 প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির আলােকে মূল্যায়ন নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়।
আরো পড়ুন- মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির সংক্ষিপ্ত সিলেবাস
এ বছর ১৬ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস হওয়ার পর কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ১৮/০৩/২০২০ তারিখ থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে; ফলে ২০২০ শিক্ষাবর্ষের নির্ধারিত পাঠ্যসূচি কোথাও যথাযথভাবে, কোথাও বা পূর্ণাঙ্গভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে এ বছরের শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসুচিকে সংক্ষিপ্ত করে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের শিখন প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশনে ধারাবাহিকভাবে শ্রেণি কার্যক্রম প্রচার করা হয়েছে; শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের উদ্যোগে অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করেছে। অনেক ক্ষেত্রে প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা ও উপজেলা অনলাইন ক্লাস চালু হয়েছে। যেখানে এধরনের সুযােগ ছিল না সেখানে শিক্ষকবৃন্দ মােবাইলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে পাঠদান করার চেষ্টা করেছেন।
এছাড়াও “কিশাের বাতায়নের” মত কিছু প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল ক্লাসগুলােকে এমনভাবে আপলােড করা হয়েছে যাতে দেশের যে কোন শিক্ষার্থী দেশের যে কোন জায়গা থেকে যে কোন সময় এই ক্লাসগুলাে দেখতে পায়। তথাপি বাধ্য হয়ে হঠাৎ করে নতুন ধরনের শিখন-শেখানাে কার্যক্রম চালু করাতে অনেক শিক্ষার্থী প্রয়ােজনীয় শিখনফল অর্জন করতে পারেনি।
এমতাবস্থায় শিক্ষার্থী যেন আরও কিছু শিখনফল অর্জন করে পরবর্তী শ্রেণির জন্য প্রস্তুত হতে পারে সেই বিষয়টি বিবেচনায় এনে তাদের পাঠাসূচি পূণর্বিন্যাস এবং এ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই মূল্যায়নের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অর্জিত শিখন ফলের সবলতা বা দূর্বলতা চিহ্নিত করে পরবর্তী শ্রেণিতে প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবুঁকি ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে সরকার প্রথাগতভাবে বার্ষিক পরীক্ষা না নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তবে আযাসাইনমেন্টের মাধ্যমে তাদের অর্জিত শিখনফল মূল্যায়ন করা হবে। পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে কোন সপ্তাহে শিক্ষার্থীর কী মূল্যায়ন করা হবে সে বিবেচনায় এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ প্রণয়ন করা হয়েছে।
প্রতি সপ্তাহের শুরুতে ঐ সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত এ্যাসাইনমেন্টগুলাে দিয়ে দেওয়া হবে, এবং সপ্তাহ শেষে শিক্ষার্থীরা তাদের এ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমা দিয়ে (অভিভাবক বা অন্য কারও মাধ্যমে অন-লাইনে) নতুন এ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ করবে।
মাধ্যমিকের ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট 2021
আরো পড়ুন- ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত নির্দেশনা
ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দেশনা :
• শিক্ষার্থীদের শিখনফল অর্জনই মূল উদ্দেশ্য। পরবর্তী শ্রেণির পাঠ গ্রহণের ক্ষেত্রে এটি সুবিধা প্রদান করবে, তাই এটি অনুসরণ করা জরুরি।
• এ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করতে এনসিটিবি প্রণীত ও প্রকাশিত ২০২০ শিক্ষাবর্যের পাঠ্যপুস্তক ব্যবহার করলেই চলবে। গাইড বই, নােট বই বা বাজার থেকে কেনা নােটের প্রয়ােজন নেই।
• মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর নিজস্বতা, স্বকীয়তা ও সৃজনশীলতা যাচাই করা হবে। তাই অন্যের লেখা নকল করে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিলে তা বাতিল করা হবে এবং পুনরায় সেই এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে।
• এ্যাসাইনমেন্ট সরাসরি নিজের হাতে লিখতে হবে। এতে হাতের লেখার যেমন অনুশীলন হবে, তেমনি বিষয়টি বুঝতে ও সুবিধা হবে।
• এ্যাসাইনমেন্ট লেখার ক্ষেত্রে যে কোনাে কাগজ ব্যবহার করলেই চলবে। তবে কাভার পৃষ্ঠায় নাম, শ্রেণি, রােল, বিষয় (সাবজেট) ও এ্যাসাইনমেন্ট এর শিরােনাম/ধরণ স্পষ্টভাবে লিখতে হবে।
অভিভাবকগণের প্রতি পরামর্শ :
• শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে উৎসাহিত করা।
• শিক্ষার্থীদের এ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন প্রক্রিয়া মূলত তাদের শিখন অর্জন যাচাই এবং কোন কোন২ ক্ষেত্রে শিখনের ঘাটতি রয়েছে তা নিরুপণ করা। তাই শিক্ষার্থী নিজে যাতে এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে তা নিশ্চিত করা।
• শিক্ষার্থীর অনুধাবন ক্ষমতা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধির জন্য তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা।
• শিক্ষার্থী যেন সময়মত এ্যাসাইনমেন্ট পায় এবং তা যেন যথাসময়ে জমা দেওয়া হয় তা নিশ্চিত করা।
• নােট বই, গাইড বই, বা অন্য কারও লেখা থেকে নকল করে এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিলে তা বাতিল করা হবে এবং পুনরায় এ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে। এ্যাসাইনমেন্ট তৈরির সময় শিক্ষার্থী যেন নােট বই বা গাইড বইয়ের সাহায্য না নেয়, বা অন্য কারও লেখা থেকে নকল না করে তা লক্ষ্য রাখা।