প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি হচ্ছে
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সীমিত আকারে খুলে দেয়ার চিন্তা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করা হচ্ছে। যদি এই বছর স্কুল খোলে তবে এই সিলেবাসের উপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ণ করা হবে। না হলে অটোপাশ দিয়ে সনদ দেবে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, যদি স্কুল খোলার পরিস্থিতি তৈরি হয় তবে শিক্ষার্থীদের একমাস স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস নেয়া হবে। এজন্য একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাসও করা হচ্ছে। এবার পিইসি পরীক্ষা হচ্ছে না তাই কেন্দ্রিয়ভাবে কোন সনদও দেয়া হবে না। তবে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের সনদ দেবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ নভেম্বর থেকে ৩৯ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও নতুন করে আরও ১৪ দিন ছুটি বাড়ানোয় তা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে নতুন করে ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ)। শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণের সক্ষমতা অর্জন তৈরিতে এ সিলেবাসটি তৈরি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেপ-এর মহাপরিচালক মো. শাহ আলম বলেন, নতুন করে ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিকের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণির সকল বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো যুক্ত করে শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণের সক্ষমতা অর্জন তৈরির লক্ষ্যে নতুন করে এ সিলেবাস তৈরি করা হচ্ছে। নতুন সিলেবাসটি আগামী সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
শিক্ষকরা বলছেন, একাডেমিক কার্যক্রম চালানোর সব প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। বিদ্যালয় খোলা না গেলে বাড়িতে বসেই এই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করবে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। সারাদেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এগুলোতে ১ কোটি ৪০ লাখ ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করছে।
এদিকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। এরই মধ্যে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের অটো প্রমোশনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিকে এখনও চূড়ান্ত হয়নি। ১৫ নভেম্বরের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হলে সেটি কার্যকর করে পরবর্তী শ্রেণিতে তোলা হবে। যদি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব না হয় তবে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজস্ব পদ্ধতিতে পঞ্চম শ্রেণিসহ সকল ক্লাসের সনদ বিতরণ করবে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় এ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি কয়েক দফা বাড়ানো হয়। গত ১৭ মার্চ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সাধারণ ছুটির সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ছুটির সময় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এমনকি ঘরে বসেই শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পাঠদানের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।