পিএসসি পরীক্ষার পরীক্ষার্থীদের গোপন নম্বর ফাঁস
বান্দরবানের লামায় প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার পরীক্ষার খাতার গোপন কোড নম্বর ফাঁস ও নির্দিষ্ট সময়ের আগে পরীক্ষার ফলাফল অভিভাবকদের হাতে চলে আসার অভিযোগ উঠেছে। ফলে ২৯ ডিসেম্বর সারা দেশে একযোগে সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কথা থাকলেও তার আগেই লামা উপজেলার বেশকিছু স্কুলের ফলাফল ইতোমধ্যে শিক্ষক ও অভিভাবদের হাতে চলে এসেছে।
জানা যায়, এবছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা ২০১৮ এর পরীক্ষার খাতা স্ব-স্ব উপজেলায় মূল্যায়ন করা হয়। এক্ষেত্রে উপজেলা শিক্ষা অফিস প্রত্যেকটি খাতায় একটি গোপন কোড নাম্বার ব্যবহার করে খাতা দেখার দায়িত্ব দেয়া হয় উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। তবে অভিযোগ উঠেছে , এসব খাতার গোপন কোড নাম্বার ফাঁস হয়ে যায়। যার কারণে কোন খাতা কোন স্কুলের বা কোন শিক্ষার্থীর সেটা জেনে যায় শিক্ষকরা। তারপরে নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতার মধ্য দিয়ে চলে খাতা দেখা।
আরো দেখুন- পিএসসি পরীক্ষার ফলাফল ২০১৮
এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (সংস্থাপন) মো. রাজা মিয়া উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমি বান্দরবান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।
এ অভিযোগের বিষয়ে লামা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তপন চৌধুরী বলেন, কোড নম্বর ফাঁস হওয়ার ব্যাপারে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। আগামীকাল ইউএনও ম্যাডামের সাথে বসে এ বিষয়ে তদন্ত করবো। তবে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেছেন কোড নম্বর ফাঁস হলেও এই কোড দিয়ে পরীক্ষার্থীর পরিচয় পাওয়া যাবে না।
এই বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি বলেন, অনেকের মুখে শুনেছি। কিন্তু হাতেনাতে কেউ কোন প্রমাণ দিতে পারেনি। নির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রমাণ থাকলে দেন, এখনই ব্যবস্থা নিব। খাতায় গোপন নাম্বার দিয়েছে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।