প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্যও সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রস্তুত হচ্ছে
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মতো প্রাথমিকের জন্যও প্রস্তুত হচ্ছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস। প্রাথমিকে পর্যায়ে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এক্ষেত্রে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীকে দেয়া হবে অগ্রাধিকার।
আরো পড়ুন- এইচএসসি পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, স্কুল খোলার পর ডিসেম্বর পর্যন্ত যতটুকু সিলেবাস পড়ানো সম্ভব সেই চিন্তা মাথায় রেখেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
করোনাভাইরাসের কারণে ২০২০ সালে সকল শ্রেণীতে অটো প্রমোশন দেয়া হয়েছে। জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাও নেয়া সম্ভব হয়নি। জেএসসি-এসএসসির ফলের ভিত্তিতে বিশেষ মূল্যায়নের মাধ্যমে ফল দেয়া হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের। করোনা কারণে ইতোমধ্যেই সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সিদ্ধান্ত অনুসারে এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি প্রথম বারের মতো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আগামী এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমাসের পরীক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করে এনসিটিবি। তবে সিলেবাসের পরিধি বড় হওয়ায় বিভিন্ন মহলের সমালোচনার প্রেক্ষাপটে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি দ্রুত সেই সিলেবাস আরও সংক্ষিপ্ত করার নির্দেশ দেন। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও এইচএসসি শিক্ষার্থীদের জন্য সিলেবাস কমিয়ে আবার পুনর্বিন্যাস করা হয়।
এনসিটিবির তৈরি এই পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। এনসিটিবির বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে সিলেবাস পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের এসএসসির ৬০ কর্মদিবস এবং এইচএসসির ৮৪ কর্মদিবস শ্রেণীকক্ষে সরাসরি ক্লাস নেয়া হবে। ওই সময়টুকুতে যতটুকু পড়ানো হবে, পরীক্ষায় ততটুকুর ভিত্তিতেই প্রশ্ন হবে।