পরীক্ষা খবরশিক্ষা খবরশিক্ষা নিউজ

এসএসসি-এইচএসসিতে অটোপাস না পরীক্ষা জানা যাবে কাল

করোনার কারণে আটকে থাকা চলতি বছরের এসএসসি-এইচএসসিতে অটোপাস না পরীক্ষা হবে তা আগামীকাল (১৫ জুলাই) জানা যাবে। বেলা ১১টায় ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি৷ বুধবার (১৪ জুলাই) শিক্ষামন্ত্রীর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।।

এতে বলা হয়েছে, এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা ২০২১ সংক্রান্ত বিষয়ে মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্স করবেন। সকাল ১১ টায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হবে।

আরো পড়ুন- কাল সংবাদ সম্মেলনে আসছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এসএসসি এবং এপ্রিল মাসে এইচএসসি পরীক্ষা হতো। কিন্তু করোনার কারণে গত বছর থেকে পুরো শিক্ষাপঞ্জি এলোমেলো হয়ে গেছে। করোনা পরিস্থিতিতে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি চলছে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, ৩১ জুলাই পর্যন্ত ছুটি আছে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এর আগে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রকাশ করেছে৷ সংক্ষিপ্ত সেই সিলেবাস অনুযায়ী এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মকর্তারা জানান, তাঁদের পরিকল্পনা ছিল, এই সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে ৬০ দিন ক্লাস করিয়ে আটকে থাকা এ বছরের এসএসসি এবং ৮৪ দিন শ্রেণিকক্ষে ক্লাস করিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়ার। কিন্তু এ পরিকল্পনাটির বাস্তবায়ন নির্ভর করছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ওপর।

কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা নেই। এমনকি আরও কয়েক মাসের মধ্যে খোলা যাবে কি না, সেটাই এখন আলোচনার বিষয়। কারণ, সরকারের পরিকল্পনা হলো, ‘পর্যাপ্তসংখ্যক’ টিকা দেওয়ার পর এবং করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশের নিচে নামলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ঝুলে থাকা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব না হলে বিকল্প পদ্ধতিতে ফল ঘোষণার চিন্তা-ভাবনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ জন্য একাধিক প্রস্তাব তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির কাছে সেই সিদ্ধান্তও পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করবেন মন্ত্রী। এই সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শিক্ষা বোর্ডগুলো ফল প্রকাশের কাজ শুরু করবে বলে জানা গেছে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, রচনামূলক বা সৃজনশীল প্রশ্ন বাদ দিয়ে শুধু বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) পরীক্ষা এবং বিষয় ও পূর্ণমান (পরীক্ষার মোট নম্বর) কমিয়ে পরীক্ষা নেয়া। এক্ষেত্রে প্রতি বিষয়ের দুইপত্র একীভূত করা।

পাশাপাশি ২০০ নম্বরের বদলে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাবও রয়েছে। কিন্তু উভয়ক্ষেত্রেই করোনা পরিস্থিতির উন্নতি জরুরি। সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের নিচে নেমে এলে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পরীক্ষা নেয়া হবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে কেন্দ্রের সংখ্যা বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ করে এ পরীক্ষা নেয়া হবে।

এমনটি সম্ভব না হলে এসএসসির ক্ষেত্রে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলের ৫০ শতাংশ এবং অ্যাসাইনমেন্ট ও ক্লাস অ্যাক্টিভিটিসের ওপর ৫০ শতাংশ সমন্বয় করে ফলাফল নিয়ে ফল প্রস্তুত করা হতে পারে। এইচএসসির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর এসএসসির ফলের ৫০ শতাংশ ও জেএসসির ২৫ শতাংশ এবং অ্যাসাইনমেন্টের ফলের ২৫ শতাংশ সমন্বয় করে ফল প্রকাশের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply