শিক্ষা খবর

সর্বজনীন পেনশন পেতে হলে যা করতে হবে

সর্বজনীন পেনশন পেতে হলে যা করতে হবে । এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ যে কৌশলপত্র তৈরি করেছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা প্রবর্তন হলো জাতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উপহার।’ সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার ওপর তৈরি করা কৌশলপত্র গত বৃহস্পতিবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে উপস্থাপন করেছে অর্থ বিভাগ। প্রধানমন্ত্রী ওই দিনই এ ব্যাপারে আইন প্রণয়ন করতে অর্থ বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন

আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অলোচিত এ আইনের খসড়াটি অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ভিত্তি ধরে ১৮ বছর বয়স থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত সব বাংলাদেশি নাগরিক এ সর্বজনীন পেনশনে অংশ নিতে পারবেন। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি কর্মীরাও এতে অংশ নিতে পারবেন। তাঁরা যদি নিবন্ধন করেন এবং প্রিমিয়াম দেন, তাহলে তাঁরাও অংশ নিতে পারবেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিশেষ বিবেচনায় আলাদা বিধি অনুযায়ী ৫০ বছরের বেশি বয়সীদেরও এ পেনশন সুবিধার আওতায় আনা যাবে।

ঢাবি ভর্তি পরীক্ষার ‘গ’ ইউনিটের ইংরেজী সমাধান ২০২১ Dhaka University DU C GA Unit Admisson Question Solution 2021
বাংলাদেশ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

সর্বজনীন পেনশন পেতে আবেদন করবেন যেভাবে?

পেনশন স্কিমের মাধ্যমে ১৮ বছরের বেশি দেশে-বিদেশে থাকা ১০ কোটি মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার চিন্তা রয়েছে সরকারের। পেনশন কর্তৃপক্ষ বলছে, মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে। ধীরে ধীরে বাড়ছে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা এবং তাঁদের নিরাপত্তাহীনতা। আর এ কারণেই চালু করা হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন–ব্যবস্থা।

চারটি আলাদা স্কিম নিয়ে সর্বজনীন পেনশন–ব্যবস্থার যাত্রা শুরু হচ্ছে। এগুলো হচ্ছে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা। প্রবাস স্কিমটি শুধু প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য। প্রগতি স্কিম বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীদের জন্য। সুরক্ষা স্কিম রিকশাচালক, কৃষক, শ্রমিক, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি ইত্যাদি স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য। আর সমতা স্কিম নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য।

পেনশন–ব্যবস্থা পরিচালনা ও বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা অর্থ বিভাগের আওতাধীন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। পেনশন কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট চালু হয়েছে গতকাল বুধবার। ওয়েবসাইটের ঠিকানা www.upension.gov.bd। এতে বলা হয়েছে, ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করে আপনার ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন।’ ওয়েবসাইটের ঠিকানায় পেনশন স্কিমগুলো সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য উল্লেখ করা আছে।

পেনশন–ব্যবস্থার আওতায় আসতে গেলে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) থাকতে হবে। প্রবাসী বাংলাদেশি যাঁদের এনআইডি নেই, তাঁরা পাসপোর্টের ভিত্তিতে পারবেন। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এনআইডি সংগ্রহ করে পেনশন কর্তৃপক্ষের কাছে তা জমা দিতে হবে।

কত বছর পর্যন্ত চাঁদা দিতে হবে, কখন থেকে পেনশন সুবিধা পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সবাইকে কমপক্ষে ১০ বছর নিয়মিত চাঁদা দিতে হবে। তিনি বলেন, ১৮ বছর থেকে শুরু হবে ৬০ বছর বয়সে গিয়ে চাঁদা দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে। তারপর ৬০ থেকে তিনি যত দিন জীবিত থাকবেন, তত দিন পেনশন সুবিধা পাবেন।

বুধবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ বিষয়ে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।কত টাকা চাঁদা দিলে মাসে কত টাকা পেনশন পাওয়া যাবে, এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট হিসাব দেননি অর্থমন্ত্রী। প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী একটি উদাহরণ দেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ধরুন, মাসিক চাঁদা ১ হাজার টাকা, মুনাফা ১০ শতাংশ ও আনুতোষিক ৮ শতাংশ।

তাহলে ১৮ বছর বয়সে যদি কেউ চাঁদা দেওয়া শুরু করেন এবং ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত তা চালু থাকে, তাহলে ওই ব্যক্তি অবসরের পর ৮০ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে ৬৪ হাজার ৭৭৬ টাকা পেনশন পাবেন।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কেউ যদি ৩০ বছর বয়সে চাঁদা দেওয়া শুরু করেন এবং ৬০ বছর পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকে, তাহলে অবসরের পর প্রতি মাসে তিনি ১৮ হাজার ৯০৮ টাকা করে পেনশন পাবেন। চাঁদার পরিমাণ এক হাজার টাকার বেশি হলে আনুপাতিক হারে পেনশনের পরিমাণও বেশি হবে। তবে এ হিসাব একটি আনুমানিক হিসাব। প্রকৃত অবস্থা আইন ও বিধি প্রণয়ন এবং পেনশন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার পর জানা যাবে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন বাংলাদেশের অনেক অর্জন। সেই অর্জনের সঙ্গে আজ যুক্ত হলো আরও একটি অর্জন। সেটা হলো সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা। এই পেনশন ব্যবস্থা সবার জন্য। পেনশন ব্যবস্থাটি আমাদের সংবিধানের ১৫ অনুচ্ছেদে বলা আছে, বার্ধক্যজনিত কারণে যারা অভাবগ্রস্ত হবে। এই অভাবগ্রস্তদের জন্য সাহায্যের প্রয়োজন হবে। এই সাহায্য লাভের অধিকার রাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। বার্ধক্যজনিত কারণে যেসব অভাব আসতে পারে বা আসে জীবনে, সেসব অভাবগ্রস্ত নাগরিকরা পেনশন পাবেন।

তিনি বলেন, সরকার ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের বয়স্কদের টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় মৃত্যুকালিন সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে দেশে সর্বজনিন পেনশন ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছিলেন। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৯- ২০ অর্থবছরে বাজেটে আনা হয়েছিল যে এটা আমরা বাস্তবায়ন করবো। তার ধারাবাহিকতায় আমরা এখন এটা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। এটা বাস্তবায়ন হলে দেশের প্রত্যেকটি মানুষ লাভবান হবে।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply