স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া সম্ভব: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সরকারের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, ‘আমরা অনুকূল পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করছি, আশা করি দ্রুতই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব।’ বুধবার (১৮ আগষ্ট) যুব মহিলা লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই সংকটের একেবারে প্রথম থেকেই আমাদের নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন যে কীভাবে আমরা কতো দ্রুত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারি। প্রথম কথা আমরা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারি। দ্বিতীয়ত, শিক্ষা যেন ব্যাহত না হয়, যত দূর সম্ভব আমরা যেন চালিয়ে যেতে পারি। তৃতীয়ত, আমরা যেন সব সময় প্রস্তুত থাকি, পরিস্থিতি অনুকূল হওয়া মাত্রই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন এখন সংক্রমণের হার নিম্নগামী। সরকারের সঠিক সিদ্ধান্ত ও জনগণের সহযোগিতায় সংক্রমণের হার দ্রুত কমছে। আমরা আশা করি দ্রুতই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পর্যায়ে পৌঁছাবে।’ সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া সম্ভব বলে জানান মন্ত্রী।
এদিকে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিংকালে এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন যত দ্রুত একটা কমফোরটেবল সিনারি এলে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া যায়। পাশাপাশি সরকারি স্কুল-কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ডিজিটাল সিস্টেমেও যেন চলে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএতে পুরোপুরি শিক্ষা কার্যক্রম ডিজিটালি চলছে এবং গ্রাজুয়েশনও হচ্ছে। সেজন্য প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষা কার্যক্রম ভার্চুয়ালি হোক বা অনলাইনে হোক চলুক। পাশাপাশি একটা কমফোরটেবল সিনারিওতে এলেই যেন সেটা (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) খুলে দেয়া হয়।’