সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ২০ (বিশ) নম্বরের বিভাজন
‘‘কেন্দ্রীয় প্রাথমিক শিক্ষক নির্বাচন কমিটির ১২৫তম সভার সুপারিশ মোতাবেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ২০ (বিশ) নম্বরের বিভাজন সংক্রান্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ০১ এপ্রিল ২০০৯ তারিখের স্মারকে জারীকৃত পত্রে বর্ণিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর বন্টন নিম্নরূপে সংশোধন করা হলো।’’
মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত ২০ (বিশ) নম্বর দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমভাগে শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য ১০ নম্বর। আর দ্বিতীয় ভাগে ব্যক্তিত্ব, প্রকাশ ক্ষমতা, সাধারণ জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের জন্য ১০ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতার জন্য ১০ নম্বরের মধ্যে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ’র জন্য ৪। এইচএসসি/সমমানের জন্য ৪ এবং স্নাতক/সমমানে প্রাপ্ত জিপিএ’র জন্য ২ নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান এর ক্ষেত্রে-
১ম বিভাগ/জিপিএ ৩.০০ বা তদুর্ধ-৪ (চার),
২য় বিভাগ/জিপিএ ২.০০ থেকে ৩.০০ এর কম-৩ (তিন),
৩য় বিভাগ/জিপিএ ১.০০ থেকে ২.০০ এর কম ১(এক) নম্বর।
স্নাতক/সমমান এর ক্ষেত্রে-
১ম বিভাগ/সমতুল্য সিজিপিএ [৪ স্কেলে ৩.০০ বা তদূর্ধ্ব, ৫ স্কেলে
৩.৭৫ বা তদুর্ধ্ব]-২ (দুই) নম্বর।
২য় বিভাগ/সমতুল্য সিজিপিএ [B স্কেলে ২.২৫ থেকে ৩.০০ এর কম,
৫ স্কেলে ২.৮ থেকে ৩.৭৫ এর কম] ১ (এক নম্বর)।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে, যা তিন থেকে পাচ ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম আল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Primary School Assistant Teacher Exam Date 2021 প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ২০২২
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপ আগামী ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। আজ বুধবার বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান।
সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা তিন ধাপে আয়োজন করা হচ্ছে। প্রথম ধাপে ২২ এপ্রিল, দ্বিতীয় ধাপে ২০ মে এবং তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা নেওয়া হবে আগামী ৩ জুন ২০২২।
সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
কিন্তু করোনা মহামারির কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ইতিমধ্যে অবসরজনিত কারণে আরো ১০ হাজারের বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে।
এতে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় আগের বিজ্ঞপ্তির শূন্য পদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্য পদ মিলিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার অনলাইন আবেদন শুরু হয়। এতে ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী আবেদন করেন।
প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা ২২ এপ্রিল, প্রথম ধাপে ২২ জেলায়।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০ এর লিখিত পরীক্ষা আগামী ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২ টাকা পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২টি জেলায় একযোগে এই লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১৪টির সব উপজেলা এবং ৮টি জেলার কয়েকটি উপজেলার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হবে শুধু ঢাকায়! কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা মহানগরে এ পরীক্ষার আয়োজন করতে যাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২০ এর লিখিত পরীক্ষা আগামী এপ্রিল মাসের ২২ ও ২৯ এপ্রিল সকাল ১০টা বা বিকাল ৩টা থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, শিক্ষক স্বল্পতা দূর করতে আগামী এপ্রিলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩২ হাজার ৭০০ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ নিয়োগ সম্পন্ন হলে শিক্ষকরা আরও স্বাচ্ছন্দে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে পারবেন।
তিনি বলেন, ডিসেম্বর থেকে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ লিখিত পরীক্ষা আয়োজন করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে (ডিইপি) নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এবার আবেদনকারী বেশি হওয়ায় তিন-চার ধাপে পরীক্ষার আয়োজন করা হবে। দেশের অনেক বিদ্যালয়ে প্রয়োজনের তুলনায় শিক্ষক সঙ্কট রয়েছে। এ কারণে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮’ পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন (পিইডিপি-৪) প্রকল্পের আওতায় নতুন করে প্রাক-প্রাথমিক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
ডিপিইর মহাপরিচালক এ এফ এম মনজুর কাদির বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওএমআর সিট তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বুয়েটের তত্ত্বাবধানে তা তৈরি করা হয়েছে। ১৫ এপ্রিল থেকে নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজক কমিটির সঙ্গে ডিপিইতে সভা হবে। সে সভায় পরীক্ষা-সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-১৮’ লিখিত পরীক্ষা শুরুর নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। তবে এসএসসি পরীক্ষার কারণে সেটি পিছিয়ে মার্চে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। গত ১৫ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় নিয়োগ পরীক্ষা ১৫ মার্চ শুরুর সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সে লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে ডিপিইতে নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে ১৩ মার্চ ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০১৯’ পালিত হওয়ায় এ পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, এবার নিয়োগ পরীক্ষা সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে হবে। নির্ধারিত জেলায় পরীক্ষার আগের রাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রশ্নপত্রের সব সেট পাঠানো হবে। পরীক্ষার দিন সকাল ৮টায় প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে তা কেন্দ্রে পৌঁছানো হবে।
ডিপিইর কর্মকর্তারা জানান, এবারে সারাদেশে ১২ হাজার পদের বিপরীতে ২৪ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। ফলে এবারই প্রথমবারের মতো লিখিত পরীক্ষা কয়েকটি ধাপে আয়োজন করা হবে। যে জেলার পরীক্ষা আগে শেষ হবে সেখানে আগেই ফল প্রকাশ করে মৌখিক পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।
কর্মকর্তারা জানান, পাশাপাশি বসা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ যেন একই সেট না পায় সে জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রার্থীদের প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করা হবে। পরীক্ষার্থীর রোল নম্বরের ওপর প্রশ্ন সেট নির্ধারণ করা হবে। এবার পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শক নিয়োগের ক্ষমতা কেন্দ্র সুপারের কাছে থাকছে না। এক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে অন্য প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব দেয়া হবে। সেন্ট্রাল থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শকদের শুধু দায়িত্ব বুঝে দেবেন কেন্দ্র সুপার।
মহাপরিচালক মনজুর কাদির বলেন, ‘স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত ও প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে নিয়োগ পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। পরীক্ষার দিন প্রতিটি কেন্দ্রের বাইরে বাড়তি নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। পরীক্ষা পদ্ধতি ডিজিটালাইজড করতে আমরা বুয়েটের সহায়তায় একটি আধুনিক সফটওয়্যার তৈরি করেছি। সফটওয়্যারের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস, পরিদর্শক নির্বাচনসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’