এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষা দু’একমাস পেছাচ্ছে
করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানোর লক্ষ্যে পরীক্ষা ২/১ মাস পিছিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি নিয়ে বুধবার (২৫ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান।
আরো পড়ুন- এসএসসির ৭৫ ও জেএসসির ২৫ শতাংশ ফল নিয়ে এইচএসসির ফল প্রকাশ হবে
তিনি বলছেন, আগামী বছর যাদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা, তাদের জন্য ‘তিন মাসে শেষ করা যায়’- এমন একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। সেই সিলেবাসের আলোকে তিন মাস ক্লাস করিয়ে তাদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে আমরা তাদের তিন মাস ক্লাস করাতে চাই। তাই হয়ত এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা ২/১ মাস পিছিয়ে যাবে।
বেশ কয়েক বছর ধরে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি এবং ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছে। ওই দিনগুলো সরকারি ছুটি থাকলে পরের দিন থেকে এসব পরীক্ষা শুরু হয়। এবার এসএসসি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেওয়া গেলেও দেশে করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আটকে যায়।
বছরের শেষভাগে এসে জানানো হয়, এবার মহামাররি মধ্যে আর এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না; পরীক্ষার্থীদের অষ্টমের সমাপনী এবং এসএসসি ও সমমানের ফলফলের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল ঘোষণা করা হবে। মহামারী পরিস্থিতির ততটা উন্নতি না হওয়ায় পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা এবং স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষাও এবার হচ্ছে না। পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীরা সবাই পরের ক্লাসে উঠে যাবে।
আরো পড়ুন- প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে ভর্তি: শিক্ষামন্ত্রী
তবে শিক্ষার্থীদের কোথায় দুর্বলতা তা বোঝার জন্য ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সাপ্তাহিক অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কওমি মাদ্রাসা বাদে অন্যসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা আছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি অনুকূল হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর এসএসসি ও এইচএসসির শিক্ষার্থীদের ছয় দিন ক্লাসে আনা হবে। অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুয়েকদিন স্কুলে এসে ক্লাস করবে, পাশাপাশি তাদের অনলাইন ক্লাসও চলবে।