পরীক্ষা খবরশিক্ষা খবর

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৭ মার্চ

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৭ মার্চ। এ বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ১৭ মার্চ। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ভর্তি পরীক্ষা তারিখ, আবেদন গ্রহণের তারিখ, পরীক্ষার ভেন্যু, আবেদন ফি, আবেদনের যোগ্যতাসহ যাবতীয় বিষয়ের খসড়া করা হয়।

দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৭ মার্চ নেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তর। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদন মিললে ১৭ মার্চ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসের আলোকে অনুষ্ঠিত হবে। তবে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাস থেকে প্রশ্ন বেশি থাকবে। এভাবেই খসড়া নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে।

খসড়া নীতিমালা অনুযায়ী ২০১৯ বা ২০২০ সালে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় এবং ২০২১ বা ২০২২ সালে এইচএসসি বা সমমানের উভয় পরীক্ষায় পদার্থ, রসায়ন ও জীববিদ্যাসহ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা ভর্তির আবেদন করার যোগ্য হবেন। ২০১৯ সালের পূর্বে এসএসসি/সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ছাত্র/ছাত্রীরা আবেদনের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।

মোট ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একঘণ্টা সময় থাকবে। এই এক ঘণ্টায় ১০০টি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ১০০ নম্বরের মধ্যে জীববিজ্ঞানে ৩০, রসায়নে ২৫, পদার্থে ২০, ইংরেজিতে ১৫ এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধ থেকে ১০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে।

লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৪০ নম্বর পেতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের কম নম্বর প্রাপ্তরা অকৃতকার্য বলে গণ্য হবে। শুধুমাত্র কৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের মেধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

মেডিকেলে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া একজন ভর্তিচ্ছুর পাঁচ (০৫) নম্বর কাটা হবে। তবে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী যদি কোনো সরকারি মেডিকেল বা ডেন্টাল কলেজ/ইউনিট-এ ভর্তি হয়ে থাকে তাহলে তার ক্ষেত্রে ৭.৫ নম্বর কাটা হবে। এছাড়া আগের মতোই লিখিত পরীক্ষায় প্রতিটি ভুল উত্তর প্রদানের জন্য ০.২৫ নম্বর কর্তন করা হবে।

সব ভর্তি পরীক্ষার আগে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অথচ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতেও কোন সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তা পরিষ্কার করে উল্লেখ করা হয়নি। এ বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত হয়েছে ১ এপ্রিল। সব ভর্তি পরীক্ষার আগে মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। অথচ গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতেও কোন সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তা পরিষ্কার করে উল্লেখ করা হয়নি।

 

করোনা মহামারির কারণে ২০২১ সালে এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নীতিমালার ওই ধারা অনুযায়ী মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই হওয়া উচিত। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর মতে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শিক্ষার্থীরা যে সিলেবাসে বোর্ড পরীক্ষা দিয়েছে (অর্থাৎ শর্ট সিলেবাস) সেই সিলেবাসেই হওয়া উচিত। বোর্ড পরীক্ষা শেষে এবং ফল প্রকাশিত হওয়ার পর মন্ত্রী একাধিকবার এ বছর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে সব ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের আশ্বাস দিয়েছিলেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, ইঞ্জিনিয়ারিং গুচ্ছ (চুয়েট,কুয়েট ও রুয়েট), জিএসটি গুচ্ছ (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়), এমআইএসটি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

 

২০২০ সালে বোর্ড পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের পূর্ণ প্রস্তুতি ছিল। সে বছর ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনা মহামারির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। পরে, মহামারির প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি। ২০২০ সালে এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা প্রায় এক বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতির সময় পেয়েছিলেন। আর সেখানে ২০২১ সালের এইচএসসি উত্তীর্ণরা সময় পাচ্ছেন মাত্র তিন মাস। ২০২১ সালের এইচএসসি পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে আয়োজনের কথা পরীক্ষার বেশ আগেই ঘোষণা করেছিলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাই তখন থেকেই কলেজগুলোতে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী অনলাইন ক্লাস চালায় এবং এসময় শিক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের অধ্যায়গুলোর ওপর দেয়া অ্যাসাইনমেন্ট করেছে।

 

শিক্ষার্থীরা সশরীরে তেমন কোনো ক্লাসই করতে পারেনি , যতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছে তাও অনলাইনে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সর্বমোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা , রসায়নবিদ্যা ও জীববিজ্ঞান থেকে যথাক্রমে ২০,২৫ ও ৩০ নম্বরের প্রশ্ন এসে থাকে। অবশিষ্ট প্রশ্নগুলো ইংরেজি (১৫) ও সাধারণ জ্ঞান (১০) থেকে করা হয়। অর্থাৎ ৭৫ শতাংশ প্রশ্নই বিজ্ঞানের বিষয়গুলো থেকে করা হয় যেগুলো পাঠ্যপুস্তক হতে বুঝে পড়ার জন্য একজন শিক্ষার্থীর প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার এবং শিক্ষকদের সহায়তার প্রয়োজন হয়।

 

আরেকটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হচ্ছে, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ৪ হাজার ৩৫০ টি আসনের বিপরীতে এক লাখের বেশি পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। যেখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সেকেন্ড টাইমাররাও (পূর্ববর্তী এইচএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থীরা) অংশগ্রহণ করে থাকে। তাই ফুল সিলেবাসে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলে পুরো সিলেবাসে প্রস্তুতি নেয়া সেকেন্ড টাইমার ও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে প্রস্তুতি নেয়া ফার্স্ট টাইমারদের মধ্যেও এক ধরনের দৃশ্যমান বৈষম্য তৈরি হবে। কারণ সেকেন্ড টাইমাররা দীর্ঘদিন ধরে ফুল সিলেবাসে প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেক্ষেত্রে ২০২১ সালের এইচএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের বৈষম্য ও ভারসাম্যহীনতার কারণে বাদ পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে।

 

The medical examination begins on April 1. This year, the date for the medical entrance examination has been set for April 1. The medical entrance test will be held before all the admission tests. However, the notice of the medical admission test, published on February 24, did not specify in which syllabus the admission test will be held. This year, the date for the medical entrance examination has been set for April 1. The medical entrance test will be held before all the admission tests.

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply