সাধারন এবং অন্যান্য

জন্মনিবন্ধন এর আবেদন করবেন যেভাবে

কিভাবে জন্ম নিবন্ধনের জন্য আবেদন করতে হয়। যদিও বাংলাদেশ সরকার 2004 সালে জন্ম নিবন্ধন আইন প্রণয়ন করে, এটি 2006 সাল থেকে কার্যকর করা হয়েছিল। এই আইন অনুসারে, সকল নাগরিকের জন্য জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক, কিন্তু অনেক বাবা-মা শিশুর জন্ম নিবন্ধন করার পদ্ধতি বা পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না।

 

একজন শিশু জন্মের পর তার প্রথম রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি হচ্ছে জন্মনিবন্ধন সনদ। জন্মগ্রহণের ৪৫ দিনের মধ্যেই শিশুর জন্মনিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। শিশু জন্মের পর সময়মতো জন্মনিবন্ধন না করলে নানান সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বাংলাদেশে সশরীরে অথবা অনলাইনে দুভাবেই জন্মনিবন্ধন করা যায়। যদি সশরীরে জন্মনিবন্ধন করতে চান তাহলে আবেদনকারীকে অবশ্যই নির্দিষ্ট কার্যালয়ে যেতে হবে। সেখান থেকে জন্মনিবন্ধনের ফরম তুলে তা পূরণ করতে হবে। জন্মনিবন্ধনের কার্যালয়গুলো হচ্ছে-

 

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অথবা সরকারের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা।

পৌরসভার মেয়র অথবা তার অধীনে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা কাউন্সিলর।

সিটি করপোরেশনের মেয়র অথবা তার থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা বা ওয়ার্ড কাউন্সিলর।

ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের প্রেসিডেন্ট অথবা তার থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোনো কর্মকর্তা।

বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত।

জন্মনিবন্ধনের প্রথম ধাপ হচ্ছে নির্দিষ্ট ফরম সংগ্রহ করা। আবেদনকারীকে অবশ্যই নির্দিষ্ট কার্যালয় থেকে ফরম সংগ্রহ করতে হবে। দ্বতীয় ধাপ হচ্ছে নির্দিষ্ট ফরমটি পূরণ করা। ১ নং ঘরে শিশুর নাম, জন্মতারিখ, জন্মস্থান, লিঙ্গ উল্লেখ করতে হবে। এখানে জন্ম তারিখটি উপরের ঘরে সংখ্যায় ও নিচের ঘরে কথায় লিখতে হবে।

 

নির্দিষ্ট ফরমটির ২ নং ঘরে শিশুর বাবা-মার নাম ও তাদের জাতীয়তা লিখতে হবে। ফরমটির ৩ ও ৪ নং ঘরে যথাক্রমে শিশুর স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা লিখতে হবে। শিশুর যদি কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকে তাহলে ৫ নং ঘরে অসামর্থ্যতা অনুযায়ী টিক চিহ্ন দিতে হবে।

 

জন্মনিবন্ধনের তৃতীয় ধাপ হচ্ছে নির্দিষ্ট ফরম জমা দেওয়া। ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করে নির্দিষ্ট কার্যালয়ে (ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন বা সিটি করপোরেশন আওতাধীন ওয়ার্ড কমিশন) জমা দিতে হবে। জমা দেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।

 

জন্মনিবন্ধনের চতুর্থ ধাপ হচ্ছে কুপন সংগ্রহ করা। জন্মনিবন্ধনের নির্দিষ্ট ফরমের নিচের অংশটি আবেদনকারীর সংগ্রহে রাখতে হবে। অর্থাৎ জন্মনিবন্ধনের নির্দিষ্ট ফরমটি জমা দেওয়ার সময় ফরমের নিচের অংশটি অফিস থেকে পূরণ করে আবেদনকারীকে দেওয়া হবে। সেখানে জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদানের তারিখ উল্লেখ থাকবে।

 

জন্মনিবন্ধনের পঞ্চম ধাপ হচ্ছে জন্মনিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করা। জন্মনিবন্ধনের ফরমটি জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারীকে কুপনে যে তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে সে তারিখ অনুযায়ী নির্দিষ্ট কার্যালয় থেকে জন্মনিবন্ধন সনদটি সংগ্রহ করতে হবে।আবেদন করার ১৫ দিন পর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও প্রিন্ট করা কপিটি নিয়ে নির্দিষ্ট কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে হবে। সেখানে কাগজপত্রগুলো জমা দিলেই জন্মনিবন্ধন সনদটি আপনি পেয়ে যাবেন।

 

ঠিকানা লেখার পর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন। এখানে আবেদনকারীর তথ্য দিতে হবে। আবেদনকারীর সঙ্গে নিবন্ধনকারীর সম্পর্ক, আবেদনকারীর মোবাইল নম্বর ও ইমেইল জমা দিতে হবে। নিবন্ধনকারী যদি ১৮ বছরের বেশি বয়সের হন তাহলে নিজেই আবেদন করতে পারবেন।

‎How to apply for birth registration. Although the Government of Bangladesh enacted the Birth Registration Act in 2004, it was implemented since 2006. According to this law, birth registration is mandatory for all citizens, but many parents are unaware of the method or how to register the birth of the child.‎

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply