নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য তালিকা ২০২২
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য তালিকা ২০২২ Ajker Bazar Dor 2022 প্রতিদিনের বাজার দর দাম তালিকা বা নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের আমদানি, মজুত ও মূল্য পর্যালোচনা করে ১৩ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সভায় সয়াবিন তেল ও পাম তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আজকের তেলের দাম কত ২০২২? নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৬৭ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতলের দাম পড়বে ৯০৬ টাকা। এছাড়া পাম তেলের দাম ৪ টাকা কমিয়ে ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে। বর্তমানে খুচরা বাজারে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৯২ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭২ টাকা এবং ৫ লিটারের বোতল ৯২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১২১ টাকায় লিটার।
বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম ২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৫ টাকা করে। নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা করে। পেঁয়াজসহ পাতা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে। শুধু পেঁয়াজের পাতা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। যা আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা কেজিতে।
নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য তালিকা ২০২২ Ajker Bazar Dor 2022
পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। প্রতি পিস মাঝারি আকারের ফুলকপি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা আর বড় আকারের ফুলকপি ৫০ টাকায়, বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম প্রতিকেজি ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শালগম ৪০ টাকা, করলা ৭০, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর মুখি ৫০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা। খিরা ৪০, পেঁপে ৩০, গাজর ৪০, টমেটো ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মূলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা আর আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা, ঝিঙে ৬০, কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
সোনালি মুরগির দাম এখন ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এই মুরগির কেজি ছিল ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা এবং দুই সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা । লাল লেয়ার মুরগির দাম ২২০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সোনালি ও লাল লেয়ার মুরগির দামও বেড়েছে কয়েক দফা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে মুরগির চাহিদা বাড়লেও সরবরাহ বাড়েনি। এ কারণে মুরগির দাম বেড়েছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি মাছের বাজারেও কিছুটা উত্তাপ দেখা গেছে। বড় চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৫০ টাকা, বোয়াল ৬০০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ টাকা, রুই মাছ ২৮০ টাকা, কাতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি।
বাজারে আকারভেদে কেজি প্রতি পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে পাঙাশ ১৬৫ থেকে ১৮০ টাকা, রুই, কাতল ২৮০ থেকে ৩২০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে মৃগেল, মরা তেলাপিয়া ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, তাজা বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকায়। চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা, শোল পাওয়া যাচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, কই ২৮০ থেকে ৩২০ টাকা, শিং ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় বিক্রি করা হয়। আকারভেদে ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ১২০০ টাকায়।
বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭৫ থেকে ২৮০ টাকা। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬২০ টাকা এবং খাসি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।
নগরীর ময়লাপোতা, শান্তিধাম মোড়, গল্লামারী, জোড়াকল বাজারসহ কয়েকটি মাংসের দোকানে ঘুরে জানা গেছে, বর্তমানে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা। গরুর মাংস ৬৮০-৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৯০০-৯৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৩০ টাকা, কক মুরগি ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা।