আজকের বাজার দর বাংলাদেশ ২০২৩ Ajker Bazar Dor 2023
আজকের বাজার দর বাংলাদেশ ২০২৩ Ajker Bazar Dor 2023 আজকের বাজার দর রংপুর সিটি সহ অন্যান্য বাজার । বর্তমান বাজারে ভালো মানের সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৮৮-৯০ টাকা কেজি দরে। গত ৬ মাসে এই চালের দাম ৬ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ৬ মাস আগে এই চাল কেনা যেতো ৮০ থেকে ৮২ টাকা কেজিতে। এই সময়ের মধ্যে মোটা ও মাঝারি মানের চালের দামও বেড়েছে। এখন প্রতিকেজি মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ থেকে ৫৮ টাকায়, মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৫২ টাকায়। ৬ মাসে প্রতিকেজিতে অন্তত ২ টাকা ও বস্তার হিসাবে ১০০ টাকা বেড়েছে মোটা ও মাঝারি আকারের চালের দাম। এই সময়ের মধ্যে আকাশচুম্বী হয়েছে চিনিগুঁড়া চালের দাম। গত ৬ মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনিগুঁড়া চালে অন্তত ৪০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এখন বাজারে এক কেজি ভালো মানের চিনিগুঁড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।
এদিকে ৬ মাসের ব্যবধানে বাজারে ডাল, চিনি, আটা, লবণ ও সয়াবিন তেলের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। ৬ মাস আগে এক কেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হয় ১২০ টাকায় যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে। আমদানি করা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায় যা গত ৬ মাসে কেজিপ্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অস্থিতিশীল চিনির বাজার। বাজারে এখন প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়। কেউ কেউ ১২০ টাকাতেও বিক্রি করছেন। যা ৬ মাস আগে বিক্রি হয় ৮০ টাকায়। এ ছাড়া প্যাকেটজাত চিনিতে ১১২ টাকা দর দেয়া থাকলেও তা ১১৫ টাকায় বিক্রি করছেন অনেকে। ৬ মাস আগে এক কেজি প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হতো ৮৫ টাকায়।
৬ মাসের মধ্যে প্যাকেটজাত ও খোলা আটার দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫ টাকা। বর্তমানে এক কেজি প্যাকেটজাত আটা ৬৫ টাকা ও খোলা আটা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। বাজারে গত ৬ মাসে সয়াবিন তেলের দামে তেমন হেরফের হয়নি। বর্তমানে ১৮৫ টাকায় প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে যা আগে ছিল ১৮০ টাকা। এই সময়ের মধ্যে লবণের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ৬ মাস আগে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া লবণ এখন ৪২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বেড়েছে বিভিন্ন মসলা জাতীয় পণ্যের। বাজারে এখন ১০০ গ্রাম মরিচ ও হলুদের গুঁড়া বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৬৩ ও ৫০ টাকায়। ৬ মাস আগে তা বিক্রি হতো ৫০ ও ৪০ টাকায়। এ ছাড়া ৬ মাসের ব্যবধানে ১০০ গ্রাম জিরার দাম ৫০ টাকা থেকে হয়েছে ৭০ টাকা। ১০০ গ্রাম এলাচের দাম ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা হয়েছে।
৬ মাস আসে এক ডজন ডিমের দাম ছিল ১২০ টাকা। তা এখন বেড়ে হয়েছে ১৪৫ টাকা। কোথাও কোথাও তা ১৫০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি বর্তমানে প্রতি কেজি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ৬ মাস আগে ১৮০ টাকা ছিল। সোনালি মুরগি বর্তমানে ৩১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৬ মাস আগে ছিল ২৬০ টাকা। ৬ মাসে গরুর মাংসের কেজিতে দাম বেড়েছে একশ’ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে প্যাকেটজাত তরল দুধের লিটার ৯০-৯৫ টাকা। ৬ মাস আগে ছিল ৮০-৮৫ টাকা। আধা লিটারের প্যাকেট কিনলে লিটার একশ’ টাকা পড়ছে। সাড়ে তিনশ’ গ্রামের একটি পাউরুটি ৬ মাস আগে বিক্রি হতো ৪০ টাকায়। তা এখন কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকায়। গত ৬ মাসে ফলের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। বর্তমান প্রতি কেজি ভালো মানের আপেল ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ৬ মাস আগে ছিল ১৮০ টাকার মধ্যে। মাল্টা আর কমলার দামও বেড়েছে। মাল্টার কেজি বর্তমানে ২৮০ টাকার উপরে, যা ৬ মাস আগে ছিল ১৮০ টাকা। দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে খাবার হোটেলেও। আগে যেখানে দুপুরের একবেলা খেতে ১৫০ টাকা লাগতো সেখানে এখন ২০০ টাকা লাগছে। খাদ্যপণ্যের সঙ্গে সন্তানের লেখাপড়ার উপকরণ কিনতেও বাড়তি দাম দিতে হচ্ছে অভিভাবকদের। একটি ছোট লেখালেখির খাতা বতর্মানে ৩০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে। ৬ মাস আগে এই খাতার দাম ছিল ২০ টাকা।
আজকের বাজার দর বাংলাদেশ ২০২৩ Ajker Bazar Dor 2023
আলু কেজিপ্রতি এখন ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা প্রতি কেজি।
বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭৫ থেকে ২৮০ টাকা। দাম অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬২০ টাকা এবং খাসি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।
নগরীর ময়লাপোতা, শান্তিধাম মোড়, গল্লামারী, জোড়াকল বাজারসহ কয়েকটি মাংসের দোকানে ঘুরে জানা গেছে, বর্তমানে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা। গরুর মাংস ৬৮০-৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৯০০-৯৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
অন্যদিকে ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা, পাকিস্তানি মুরগি ২৫০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৩০ টাকা, কক মুরগি ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে এক কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ টাকা।
পোয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।
** তেল সয়াবিন ১৭০ টাকা লিটার দাম প্রতি কেজি।
** খাসির মাংস ৯০০ টাকা দাম প্রতি কেজি।
** গরু মাংস ৬০০ টাকা দাম প্রতি কেজি।
** দেশি মুরগী ৪৫০, কক ২৮০, ব্রয়লার ১৬০ ও লেয়ার ২৫০ টাকা দাম প্রতি কেজি।
** আটাইস চাল ৫৫, মিনিকেট ৬৫ টাকা দাম প্রতি কেজি।
** বেগুন ৬০, টমেটো ৪০, ঢেরস ১২০, পটল ১১০ টাকা দাম প্রতি কেজি।
** গ্যাস সিলিন্ডার ১৪০০ টাকা।
প্রতিকেজি কলাই শাক বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।
মঝারি আকারের প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০ টাকা, ছোট আকারের প্রতি পিস ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটোর দাম এখন ৭০ থেকে ৮০ টাকা। প্রতি কেজি বিচিওয়ালা শিম ৬০ টাকা, পাতলা শিমের কেজি ৩০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও, পেঁপের কেজি ২০ টাকা, লম্বা বেগুনের কেজি ৪০ টাকা, গোল বেগুন বা তাল বেগুনের কেজি ৬০ টাকা।
জালি কুমড়া প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা, মুলার কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, শসার কেজি ৮০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা, করলার কেজি মানভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কাঁচা কলা প্রতি হালি ৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। দেশি গাজর কেজিতে ২০ টাকা কমে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও চিচিঙ্গা ও ধুন্দলের কেজি ৬০ টাকা, শালগমের কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লেবুর হালি আকারভেদে ২০ থেকে ৩০ টাকা, পেঁয়াজের কলি প্রতি আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা (কেজি হিসেবে ৮০ টাকা) বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের কেজি ১০ টাকা বেড়ে এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ধনেপাতা ১০০ গ্রাম ৫ টাকা, কচুরমুখীর কেজি ৮০ টাকা, মাটিয়া আলু বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ টাকায়। এছাড়া লাল শাক, কলমি শাক, পালং শাকের আটি আকারভেদে ১০ থেকে ১৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।