পদ-পজিশন ভোগের জন্য নয়, ত্যাগ ও সেবার মধ্যেই সার্থকতা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর রশিদ বলেছেন, আমাদের প্রতিনিয়ত মনে রাখা দরকার– পদ-পজিশন ভোগের জন্য নয়, ত্যাগ ও সেবার মধ্যেই সার্থকতা।
তিনি বলেন, উচ্চপদে আসীনদের সমাজে শুদ্ধাচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হয়।
শনিবার সকালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশনে উপাচার্য হারুন এসব কথা বলেন।
এদিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০ সালের দ্বিতীয় বিশেষ সিনেট অধিবেশন ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে অধ্যাপক হারুন দুই মেয়াদে আট বছর পূরণ করেছেন। অধিবেশনে সিনেট চেয়ারম্যান উপাচার্য হারুন তার প্রশাসন আমলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ, নতুন নতুন একাডেমিক কার্যক্রম প্রবর্তন, স্পেনভিত্তিক শিক্ষা গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েবমেট্রিকসের র্যাং কিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩তম স্থান অর্জনসহ বিভিন্ন বিষয়সংশ্লিষ্ট তথ্য ও পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
এ ছাড়া ভবিষ্যতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য করণীয় ২১টি সুপারিশ করেন তিনি।
সিনেট অধিবেশনে করোনাকালীন যেসব দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ ও ব্যক্তিত্ব মৃত্যুবরণ করেছেন, তাদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
পাশাপাশি জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার সরকার ও দেশবাসীকে অভিনন্দন জানানো হয়। এছাড়া সিনেটে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে প্রস্তাব গৃহীত হয়।
সিনেট অধিবেশনে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সংসদ সদস্য বেগম আরমা দত্ত, সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমান, নাট্যজন ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, সব বিভাগীয় কমিশনারসহ মোট ৫৬ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
এদের মধ্যে ২৩ জন সদস্য উপাচার্যের বক্তব্যের ওপর আলোচনা করেন। আলোচকবৃন্দ বলেন, বিগত আট বছরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বক্ষেত্রে যে উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ইতিহাস হয়ে থাকবে।
উল্লেখ্য, সিনেটে কয়েকটি নতুন দপ্তর ও শাখা সৃষ্টি এবং তফসিল সংবিধিবদ্ধ করা হয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত প্রতিষ্ঠান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের নাম সংশোধন করে ‘বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ গবেষণা ইনস্টিটিউট’ নামে নতুন নামকরণ করা হয়।