পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আটকে থাকা পরীক্ষা হবে
করোনা মহামারির কারণে গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় দেশব্যাপী চলছে কঠোর লকডাউন। এমন পরিস্থিতিতে স্থগিত করা হয়েছে সকল পরীক্ষা। আটকে রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শত শত পরীক্ষাও ।পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আটকে থাকা সকল একাডেমিক পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের শর্তসাপেক্ষে অটো প্রমোশন দিয়েছি। স্নাতক ১ম বর্ষের ভর্তির কার্যক্রম শুরু করেছি। এবার যারা ভর্তি হবে তারা যেন বাসা থেকে বের হতে না হয় সেই ব্যবস্থা করেই ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছি। আমরা সেপ্টেম্বরের মধ্যেই তাদের ক্লাস শুরু করে দিবো। এছাড়াও সম্মান ৪র্থ বর্ষের রেজাল্ট প্রকাশ করা হয়ছে। আর ২য় এবং ৩য় বর্ষ সহ যারা আটকে আছে তাদের পরিক্ষা সুযোগ পেলেই আমরা নিয়ে নিবো।
অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও আমরা আমরা বসে থাকিনি। যখনই সুযোগ পেয়েছি তখনই আমাদের কার্যক্রম চালিয়েছি।
অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার কোন চিন্তা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৮ লাখ শিক্ষার্থী। তাদের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী মফস্বলে বসবাস করে। তাদের ডিভাইস সংকট এবং নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকতে পারে তাই আমরা অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হবে না।
উল্লেখ্য করোনার কারণে পিছিয়ে পড়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুধু পাঠদান বন্ধ নয়, একের পর এক স্থগিত হয়েছে বিভিন্ন বর্ষের সব পরীক্ষা। মাস্টার্স শেষ পর্ব, ডিগ্রী ২য় বর্ষ বর্ষের পরীক্ষা সহ বিভিন্ন প্রফেশনাল কোর্সের পরীক্ষা করোনার সংক্রমণের কারণে স্থগিত হয়ে যায়। আটকে থাকা পরীক্ষাগুলো নিয়েও কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাই যত দ্রুত সম্ভব এসব পরীক্ষা নেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদের।
করোনাভাইরাসের কারণে মার্চ মাস থেকেই বন্ধ রয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পরীক্ষা। বিভিন্ন কলেজে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নেওয়া হলেও বেশিরভাগ কলেজের অনলাইনে ক্লাস নিতে পারছেনা। এছাড়াও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নিজ উদ্যোগে অনলাইন ক্লাস শুরু করলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ডিভাইস না থাকার কারণে তারা অংশগ্রহণ করতে পারছে না।