আন্দোলনরত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা সেশন চার্জ ও সকল ফি মওকুকের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। করোনায় বন্ধকালীন সময়ের সেশন চার্জসহ সকল ফি মওকুফের দাবিতে সড়কে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ কর্মসূচির পর তাদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে৷
আরো পড়ুন- অনার্স ২য় বর্ষের ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি মওকুফের দাবি
আজ বুধবার (১১ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে কলেজের সামনে জড় হয়ে সড়কে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। অবরোধ চলাকালে সড়কে যান চলচল বন্ধ হয়ে যায়। বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন কলেজে ফরম ফিলাপসহ অন্যান্য ফি কমানোর দাবিতে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ করে৷
কর্মসূচির পর তাদের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে। কলেজের শতবর্ষী গেটের সামনে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীরা বাসায় ফেরার সময় বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে তাদের ওপর হামলা হয়। এতে তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
হামলার শিকার উক্ত কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্র জানান, করোনাকালে যেখানে একটা ক্লাসও হয়নি সেখানে সেমিনার ফি, পরিবহন ফি ও ছাত্র সংসদ ফি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে ফরম ফিলাপে।
সেই ফি মওকুফের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচির মধ্যেই কলেজ প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে বসি। সে সময় কলেজ অধ্যক্ষ আমরা যারা নেতৃত্ব দিচ্ছি আন্দোলনে তাদের ফি কমিয়ে দেয়ার কথা বললে আমরা সেটা প্রত্যাখ্যান করে সবার ফি কমানোর দাবি জানাই।
পরে কর্তৃপক্ষ ৬০০ টাকা ফি কমানোর আশ্বাস দেন। আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করার পর আড়াইটার দিকে কলেজের ফার্স্ট গেট (শতবর্ষী গেট) থেকে বের হওয়ার সময় ২০/২৫ জন আমাদের ওপর হামলা চালায়।
‘প্রথমে বাংলা বিভাগের আসাদুজ্জামানকে ব্যাপক মারধর করে। এরপর ওরা আমাকে মারধর শুরু করে। এক ছাত্রীসহ আমাদের তিনজনকে মারধর করেছে ওরা। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী দাঁড়ানো ছিল। তারা বিষয়টি দেখেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে কলেজ অধ্যক্ষকে জানাই। কিন্তু তিনি ঘটনাস্থলে এলেও কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে আমাদের বাড়ি চলে যেতে বলেন।’
আরো পড়ুন- অনার্স ৪র্থ বর্ষের ফলাফলের সঠিক মূল্যায়নের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এই বিষয়ে সরকারি ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষ ড. গোলাম কিবরিয়া বলেন, ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে তখন হামলার শিকার ছাত্ররা ছিল। অন্য কাউকে পাওয়া যায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২০ সালের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষার ফরম পূরণ চলমান রয়েছে। আগামী ২২ আগষ্ট পর্যন্ত চলবে এ ফরম পূরণ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ফরম পূরণের ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও কলেজগুলো ফরম পূরণের সাথে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে।
