জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএল.বি. পাশ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএল.বি. পাশ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে আজকে আমাদের এডুকেশন্স ইন বিডি ওয়েবসাইটে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
এলএলবি পাস কোর্স সাধারনত ২ বছরের কোর্স । এটি শেষ করে শির্ক্ষার্থীরা চাইলে এলএলএম কোর্স করতে পারবে।
এলএলবি প্রথম বর্ষ
১. প্রথম বর্ষে মোট ৭০০ নম্বরের পরীক্ষা। গড়ে ৩৬% নম্বর (২৫২) পেলে থার্ড ক্লাস, ৪৫% নম্বর (৩১৫) পেলে সেকেন্ড ক্লাস, ৬০% নম্বর পেলে ফাস্ট ক্লাস।
২. প্রত্যেক বিষয়ের পরীক্ষায় উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক।
৩. একাধিক বিষয়ে ফেল করলে এমনকি শূণ্য (০) নম্বর পেলেও সমস্যা নেই। গড়ে ২৫২ পেলেই থার্ড ক্লাস, আর গড়ে ৩১৫ পেলেই সেকেন্ড ক্লাস।
৪. প্রথম বর্ষের নাম্বার দ্বিতীয় বর্ষের নাম্বারের সঙ্গে যোগ হয় না। প্রথম বর্ষের রেজাল্ট শুধুমাত্র শেষ বর্ষে ভর্তি হবার জন্য প্রয়োজন হয়।
৫. দ্বিতীয় বর্ষের রেজাল্ট সে অনুযায়ী সার্টিফিকেট হবে। এক্ষেত্রে প্রথম বর্ষের রেজাল্ট কোনো কাজেই আসবে না। অর্থাৎ প্রথম বর্ষে যদি কেউ ফার্স্ট ক্লাসও পায়, তারপর ফাইনাল ইয়ারে থার্ড ক্লাস পায়, তবে তার রেজাল্ট থার্ড ক্লাসই হবে।
এলএলবি শেষ বর্ষ ( ২য় পার্ট)
১. শেষ বর্ষে মোট ৮০০ নম্বরের পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা ৭৫০ নম্বরের এবং মৌখিক পরীক্ষা ৫০ নম্বরের।
২. দ্বিতীয় বর্ষে গড়ে ৩৬% নম্বর (২৮৮) পেলে থার্ড ক্লাস ও ৪৫% নম্বর (৩৬০) পেলে সেকেন্ড ক্লাস।
৩. দ্বিতীয় বর্ষে পাশ করার জন্য আলাদা আলাদাভাবে লিখিত পরীক্ষায় গড়ে ৩৬% নাম্বার (২৭০) এবং মৌখিক পরীক্ষায় ৩৬% নম্বর (১৮) পেতে হবে। উভয় পরীক্ষায় পাশ করে গড়ে ৩৬% নম্বর (২৮৮) পেলে থার্ড ক্লাস।
৪. লিখিত পরীক্ষায় মোট ২৬৯ পেয়ে মৌখিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৫০ নম্বর পেলেও রেজাল্ট ফেল হবে। অর্থাৎ লিখিত পরীক্ষায় ২৭০ থেকে ১ নম্বরও কম পেয়ে (২৬৯ + ৫০ মোট ৩১৯ পেলেও ফেল।
৫. সেকেন্ড ক্লাস পাবার জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় আলাদা আলাদাভাবে সেকেন্ড ক্লাস পাওয়ার প্রয়োজন নেই। গড়ে ৪৫% নম্বর (৩৬০) পেলেই সেকেন্ড ক্লাস। তবে লিখিত পরীক্ষায় সব মিলিয়ে ফার্স্ট ক্লাস নম্বর ৪৮০ পেলেও ফেল হবে যদি মৌখিক পরীক্ষায় ১৮ নম্বরের কম পায়। আবার লিখিত পরীক্ষায় মোট ৩১২ পেয়ে এবং মৌখিক পরীক্ষা ৪৮ নাম্বার পেয়ে সর্বমোট ৩৬০ পেলেও সেকেন্ড ক্লাস।
৬. লিখিত পরীক্ষায় একাধিক বিষয়ে ফেল করলে এমনকি শূণ্য (০) নম্বর পেলেও সমস্যা নেই। লিখিত পরীক্ষায় পাশ করার জন্য গড়ে ২৭০ নম্বর পেতে হবে।
৭. প্রত্যেক বিষয়ের পরীক্ষায় উপস্থিত থাকা বাধ্যতামূলক।
৮. সেকেন্ড ইয়ারের রেজাল্ট অনুযায়ী সার্টিফিকেট হবে।
বিঃদ্রঃ ২০২০-২০২১,২০২১-২১২২ শিক্ষাবর্ষে পাশ মার্ক ভিন্ন
৪০% হিসেবে পাশ ধরতে হবে বাকি হিসেবটা আগের মত