বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে শতবর্ষের বাংলাদেশ হবে বিশ্বে অনন্য: উপাচার্য
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাে. মশিউর রহমান বলেছেন, বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে শতবর্ষের বাংলাদেশ হবে বিশ্বে অনন্য। শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আফতাবনগরে ঢাকা ইমপেরিয়াল কলেজের রজতজয়ন্তী অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের সামনে এমন স্বপ্নের কথা বলেন উপােচার্য।
এছাড়াও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ নাগরিক তৈরিতে সম্মিলিত প্রয়াস দরকার বলে মনে করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাে. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞান চেতনায়, আধুনিকতায়, সংস্কৃতিসহ সকল ক্ষেত্রে একটি চমৎকার বাংলাদেশ সৃষ্টিতে শিক্ষাখাতের যেখানে সম্মিলিত প্রয়াস দরকার সেখানে একসঙ্গে কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে। আগামী একশ বছরে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে মানবিক, সৃজনশীল, অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ হয়ে ধরা পড়বে পতাকায় পতাকায়। আমরা দেখবাে বদলে যাওয়া এক বাংলাদেশকে।
উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, ২৫ বছরের যাত্রায় ইমপেরিয়াল কলেজ শিক্ষার পাশাপাশি সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অর্থাৎ সংগীত, পরিশীলিত জ্ঞানবােধ চর্চায় একটি অনন্য স্থান দখল করে নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত চমৎকারভাবে তাদের সৃজনশীলতা তুলে ধরেছেন। যারা এই প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা তারা এমন একটা বিষয় নিয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা মানব সভ্যতার ইতিহাস বিকাশে সবচেয়ে অনন্য ক্ষেত্র।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি বলেন, ‘আমাদের নতুন কাজের জগতের জন্য তৈরি হতে হবে।।আর সেটির জন্য প্রযুক্তিবান্ধব হতে হবে। বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে। বঙ্গবন্ধু সংবিধানে ৫০ বছর আগে শিক্ষার কথা, প্রযুক্তির কথা বলে গেছেন। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, “দারিদ্র যেন কখনাে কোনাে শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা গ্রহণে প্রতিবন্ধকতা হয়ে না দাঁড়ায়। তথ্যপ্রযুক্তিকে যদি আমরা আয়ত্ব করে ফেলতে পারি, তাহলে আমাদের সম্ভাবনার কোনাে সীমা থাকবে না। বলা হয়ে থাকে স্কাই ইজ দ্য লিমিট। সম্ভবত তাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারে এটি। একারণেই সবকিছুর জন্য তৈরি হতে হবে আমাদের। শিক্ষার পাশাপাশি দক্ষতা, সফটস্কিলস থাকতে হবে। শুধু সনদ অর্জনের জন্য শিক্ষা নয়, শিক্ষাটা হতে হবে আনন্দময়। এজন্যই আমরা নতুন কারিকুলাম করছি। সেটিতে দক্ষতাকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ইমপেরিয়াল কলেজের পরিচালনা পর্যদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. মাে. সাজাহান মিয়া। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অন্যপ্রকাশ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী মাজহারুল ইসলাম, কলেজ অধ্যক্ষ আরিফ আহমেদ প্রমুখ।