জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

মাতৃভূমির তৃষ্ণা মেটাতে শিক্ষার্থীদেরকে সুনাগরিক হতে হবে: উপাচার্য

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মাে. মশিউর রহমান বলেছেন, ‘দেশমাতৃকার তৃষ্ণা মেটাতে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে কৃষ্টি-সংস্কৃতি চর্চা এবং নিয়মিত অধ্যবসায়ের মাধ্যমে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এর মধ্যদিয়ে বিশ্বের বুকে মর্যাদাবান রাষ্ট্র হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ।’ শুক্রবার (৪ মার্চ) রাজধানীর নটর ডেম কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠান-২০২২ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘তােমরা বর্তমানে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে বসবাস করাে। তােমাদের হাতে হাতে মুঠোফোন। ইউটিউব, ফেইসবুক এ তােমরা বন্ধুত্ব থোঁজো। আমি এসবের বিরুদ্ধে নই। কারণ তােমাদের মধ্যে বন্ধুত্বের তৃষ্ণা আছে। মায়ের ভালােবাসা পাওয়ার তৃষ্ণা আছে। তােমাদের মধ্যে সাহচার্য পাওয়ার তাড়না আছে। মনে রেখাে এই প্রতিষ্ঠানেরও একটা তৃষ্ণা আছে। এই প্রতিষ্ঠানের তৃষ্ণা হচ্ছে- তুমি এখানে পড়া-শোনা শেষ করে সফল মানুষ, ভালাে মানুষ, মানবিক মানুষ হবে। তােমাদেরকে নিয়ে এই কলেজ বিশ্বজুড়ে তার প্রসারতা কামনা করবে। এটি এই কলেজের তৃষ্ণা। ঠিক তেমনি আমাদের মা, মাটি, মাতৃভূমি তারও তৃষ্ণা আছে। যখন আমরা নিজের ভাষাকে অশুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলি, পারস্পারিক যােগাযােগে প্রত্যাশিত আচরণ করি না। পূজার মন্দিরে, মণ্ডপে গিয়ে হামলা করি- এসব সময় আমাদের দেশমাতৃকা ভীষণ কষ্ট।পায়। এই প্রতিষ্ঠানে তােমরা অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা করবে। গােটা বাংলাদেশটাই তাে আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনার চারণ ভূমি।চাই। এটি আমার দেশের তৃষ্ণা। সুতরাং তােমাদের কাছে আমার অনুরােধ থাকবে- ভাষার ব্যবহারে, কৃষ্টির চর্চায়, চর্চায়, বিজ্ঞান ভাবনায়, মুক্ত চিন্তায়-সব কিছুতে যেন এই দেশটাকে আমরা ভরিয়ে দিতে পারি। এই দেশমাতৃকা ৩০ লাখ।শহিদের রক্তের বিনিময় পাওয়া। আমাদের দুই লক্ষ মা-বােনের সন্ত্রমহানির বিনিময়ে এই সুন্দর দেশ পেয়েছি। তাদের প্রতি আমাদের রক্তঋণ আছে। তােমরা আগামী দিনের বিজ্ঞানমনঙ্ক চিন্তায়, অধ্যবসায়, লেখা-পড়ার চর্চার পাশাপাশি সহশিক্ষায় নেশাতুর হয়ে উঠো। তার মধ্যদিয়েই আগামীর বাংলাদেশ আমরা গড়বাে। তােমাদের হাত ধরে একটি আদর্শনিষ্ঠ মানবিক বাংলাদেশ তৈরি হবে।

উপাচার্য আরও বলেন, ‘আমরা কোনাে ধনী বড়লােক রাষ্ট্র হতে চাই না। যেই রাষ্ট্র আচমকা এক রাষ্ট্রর উপর রকেট হামলা করে ধ্বংস করে দেয়। আমরা মানবিক বাংলাদেশ হতে চাই, যেই দেশ লাখাে শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়। যেখানে আমাদের পতাকার মর্যাদা উচ্চকিত হবে। তাহলেই ৩০ লাখ শহিদের রক্তঋণে আবদ্ধ হতে পারবাে। তাদের আত্মা শান্তি পাবে। সাবেক নটরডেমিয়ান হিসেবে কলেজ জীবনের বিভিন্ন স্মৃতিচারণ করে উপাচার্য বলেন, একসময় তােমাদের মতাে আমিও একজন নবীন শিক্ষার্থী হিসেবে এই কলেজের সান্নিধ্যে আসার সুযােগ হয়েছিল। এই কলেজের শিক্ষার্থীরা রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, সঙ্গে কথা বলে। আইনেস্টাইনের সঙ্গে তাদের সাহচার্য হয়। গ্যালিলিওকে ভাবে-এমনি করে আমাদের সুকান্ত, নজরুলসহ সকলের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতা হয়। আজকের নবীন শিক্ষার্থীদের দেখে মনে হচ্ছে আমার সামনে আগামী দিনের উর্বর বাংলাদেশ। এই কলেজে শুধু ক্লাসরুমে অধ্যয়ন নয়, এখানে যে পরিমাণ সহশিক্ষা কার্যক্রম আছে। ডিবেটিং ক্লাব থেকে শুরু করে বিজ্ঞান ক্লাব, এডভেন্সার ক্লাব- কী নেই এখানে। মনে হয় যেন একেকটা উজ্জ্বল তারকা হওয়ার কী পরিচর্যা! এর মধ্যদিয়ে নিজেদেকে যােগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। নটর ডেম কলেজের অধ্যক্ষ ড. ফাদার হেমন্ত পিউস রােজারিও পিএসসি’র

সভাপতিত্বে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নাট্যজন ও চিত্রপরিচালক গাজী রাকায়েত, নাক, কান, গলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মাে. আবু হানিফ, ছাত্র পরিচালক ফাদার আন্তনী সুশান্ত গমেজসহ নবীন শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ কলেজের শিক্ষকবৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে মনােজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।

 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply