জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু’ -উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান

‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষিতের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তিনি এক নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করতে চেয়েছিলেন। যার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে মর্যাদাবান রাষ্ট্রে পরিণত হতো।’

 

বাংলা একাডেমিতে আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে তাম্রলিপি আয়োজিত বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ গ্রন্থমালা প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান এসব কথা বলেন।

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, ‘এই অঞ্চলটি শুষ্ক ছিল। এক অর্থে শোষণে-শোষিত হাড্ডিসার এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে টুঙ্গিপাড়ায় জন্মালেন একজন মানুষ। নাম তার খোকা। এরপরে তিনি মুজিব হলেন। অতঃপর জাতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু। শোষণে-শোষিত মানুষকে স্বাধীনতা দিলেন। এটি সেই জনপদ, যেই জনপদে গেরিলা যুদ্ধের ডাক দিয়ে একজন মানুষ বিজয় ছিনিয়ে আনলেন। কিন্তু এরপরেও এই জনপদ রক্তাক্ত হলো। মুজিবের রক্তে ভিজে গেল বাংলা।’

 

উপাচার্য আরো বলেন, ‘যারা শোষিত মানুষের মুক্তি চায়নি। যারা চায়নি এই সবুজ ভূমি পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আত্মমর্যাদায় পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠা লাভ করুক। তারাই বাংলাকে রক্তাক্ত করলো। বঙ্গবন্ধু তো নজরুলকে ধারণ করলেন। ধারণ করলেন রবীন্দ্রনাথকে। এই দেশকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় প্রতিষ্ঠা করতে চাইলেন। বাঙালির হাড্ডিসার সেই দেহ আমাদের চোখে ভাসে। কিন্তু সেই মুজিবের বাংলা যখন রক্তাক্ত হলো। সেই শোষিত-বঞ্চিত বাংলা আমরা চাইনি। অগণতান্ত্রিকতার পথ ধরে, সামরিক শাসনের পথ ধরে জগদ্দল পাথরের মতো সেইসব আমাদের আবার পেয়ে বসলো। একের পর এক ধনিক শ্রেণির আত্মপ্রকাশ ঘটলো। আবারও বৈষম্য তৈরি হলো। এই বাংলাদেশ তো বঙ্গবন্ধু চাননি। যখনই তিনি দেখলেন কিছু ঘনিষ্ঠ মানুষ লোভী হয়ে বিপথগামী হয়ে পড়ছে। তখনই তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের কথা বললেন। দ্বিতীয় বিপ্লব গড়বার প্রাক্কালেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো। দ্বিতীয় বিপ্লব ছিল শোষিতের গণতন্ত্র। পৃথিবীর ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু অনন্য এক মহানায়ক। যিনি জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টি করলেন, বিশ্বব্যবস্থায় হাত দিলেন। তিনি বললেন পুঁজিবাদী সমাজ কাঠামোর মধ্যদিয়ে যে ইজম সৃষ্টি হয়েছে- সেই ইজমে চলবে না। আমি আমার মাটির মধ্যদিয়ে নিজস্ব ইজম সৃষ্টি করবো। সেটিই শোষিতের গণতন্ত্র।’

 

উল্লেখ্য, তাম্রলিপি কর্তৃক প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ গ্রন্থমালায় ৪৬টি বই প্রকাশ করা হয়। অনুষ্ঠানে বইগুলোর মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বইগুলোর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষকের বইও রয়েছে।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *