‘শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক ও সৃজনশীল কাজে মনোযোগী হতে হবে’ – উপাচার্য
শিক্ষার্থীদের ইতিবাচক ও সৃজনশীল কাজে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, ‘তোমাদেরকে কবি নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, সুকান্ত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে অনুপ্রেরণা নিতে হবে। কীভাবে তাঁরা জীবনকে পরিচালনা করেছেন, ত্যাগস্বীকার করেছেন, সংগ্রাম করেছেন। তাদের জীবনাদর্শ দেখো। দেখবে সবকিছুতে ইতিবাচকতায় ভরা। ইতিবাচকতার মধ্যদিয়ে নতুনত্ব আসে। নেতিবাচক কোনো কিছু গ্রহণ করবে না। যা কিছু সুন্দর ও সৃজনশীল তা গ্রহণ করবে। বিষণ্নতাকে প্রশ্রয় দেয়া।যাবে না। কারণে এটি তোমাকে আরও খারাপ দিকে নিয়ে যাবে।’
আজ মঙ্গলবার (৩১ মে) বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মিলনায়তনে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং আয়োজিত বিশ্ব তামাক মুক্ত দিবস-২০২২ উপলক্ষে ‘ডিসকাশন অন টোবাকো: থ্রেট টু আওয়ার এনভায়রোনমেন্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন উপাচার্য।
তামাকের নেতিবাচক বিভিন্ন দিক তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, ‘তোমরা তরুণ প্রজন্ম। তোমরাই এদেশের আগামী নেতৃত্ব। তোমাদের সুস্থ ও শক্তিমান থাকতে হলে তামাককে শক্তভাবে না বলতে হবে। এটি তোমার বিষণ্নতা, স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও জীবনের ঝুঁকি বাড়াবে। আমরা সমাজে যে মূল্যবোধ নিয়ে বড় হচ্ছি সেটিকে আঁকরে ধরবে। তোমার যদি মন খারাপ হয়, তুমি মায়ের কাছে যাবে, বাবার কাছে যাবে, প্রকৃতির কাছে যাবে, সমুদ্র দেখবে, নীল আকাশ দেখবে, কবিতা লিখবে। দেখবে তোমার মন ভালো হয়ে যাবে। এর মধ্যেই রয়েছে পরম তৃপ্তি।
তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘আজকে তোমরা যে বশে বসবাস করছো এটি আগে ছিল না। আমরা একটি অগণতান্ত্রিক পথে হেঁটেছি বহুদিন। আমরা সামরিক শাসনের যাঁতাকলে ছিলাম। আমরা পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণের মধ্যে ছিলাম। আমাদের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু সেই শোষণ-বঞ্ছনা থেকে মুক্ত করেছেন। এই জায়গায় পৌঁছাতে বঙ্গবন্ধু একযুগেরও বেশি কারাগারে থেকেছেন। ৩০ লক্ষ মানুষ আত্মাহুতি দিয়েছেন। এসব মানুষ লাফিয়ে লাফিয়ে প্রাণ দিয়েছেন শুধু তোমরা ভালো থাকবে বলে। একারণেই আমাদেরকে শহীদদের সকল স্বপ্ন পূরণ করতে হবে। এটি আমাদের রক্তঋণ।’
বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং এর সভাপতি অধ্যাপক ড. হাবিবে মিল্লাত এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডব্লিউ এইচ ও’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বার্ডেন জুং রানা প্রমুখ ।