জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অজানা কারণে আটকে আছে অনার্স তৃতীয় বর্ষের ৪০০ শিক্ষার্থীর রেজাল্ট
একসঙ্গে ৪৮ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার । যশোরের ঝিকরগাছায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত তিনটি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ৪৮ শিক্ষার্থীর ফল অজানা কারণে আটকে আছে। তারা সবাই ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের কেন্দ্রের একটি কক্ষের পরীক্ষার্থী ছিলেন। সবার ফল প্রকাশ হলেও এসব পরীক্ষার্থীর মোবাইল ফোনে পাঠানো ফলাফলের ক্ষুদেবার্তায় বহিষ্কার রিপোর্ট জানানো হয়.
জানা গেছে গত ৭ আগস্ট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ফল প্রকাশ করে ।ফল আটকে দেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে আটজন ঝিকরগাছা সরকারি শহীদ মশিউর রহমান কলেজের শিক্ষার্থী অন্যরা শর্শা উপজেলার ডাক্তার আফিল উদ্দিন কলেজ ও নাভারন কলেজে অধ্যায়নরত। তারা মাচ মাসের তীতীয় বর্ষের ২০২০ সালের পরীক্ষায় অংশ নেন। এতে ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের ৩১২ নম্বর কক্ষের পরীক্ষায় অংশ নেন। ওই ৪৮ শিক্ষার্থী। মাসব্যাপী এ পরীক্ষায় কোন অভিযোগ ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।
মশিউর রহমান কলেজের শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার বলেন, প্রথম বর্ষের প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান লাভ করি। দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম শ্রেণীর ফল আসে। তৃতীয় বর্ষে কোন অভিযোগ ছাড়াই ভালো পরীক্ষা দিয়েছি। এখন ফলাফলে আটকে দেয়া হয়েছে ।
আরেক শিক্ষার্থী আনোয়ার জাহিদ বলেন, কলেজ বা কোন কেন্দ্রের ভুলের জন্য যদি আমাদের ফলের সমস্যা হয়। তাহলে বিষয়টি হতাশাজনক আমরা দ্রুত এর সমাধান চাই।
মশিউর রহমান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিপ্লবকুমার সেন বলেন, ফরম পূরণের পর থেকে পরীক্ষার ফলাফল পর্যন্ত দায়-দায়িত্ব জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। পরীক্ষা সম্পন্ন করার দায় দায়িত্ব কেন্দ্রের। এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। ঝিকরগাছা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও পরীক্ষা কেন্দ্র সচিব মোঃ শাহিনুর কবির বলেন, কেন্দ্রের কোন ত্রুটি নেই সমস্ত নিয়ম নীতির মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হারুন-অর-রশিদ বলেন আমি এখন আর এই ডিপার্টমেন্টে নেই তবে আমার জানামতে সারাদেশে ৪০০ শিক্ষার্থীর ফলাফল রিপোর্ট হয়েছে। হারুন আর রশিদ বলেন যে শিক্ষকেরা খাতা দেখেছে। তারা খাতা পরিবর্তন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এ কারণে ফল রিপোর্ট দেখাচ্ছে । সমাধানের জন্য প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন করতে হবে।