জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (অনার্স) ডিগ্রির রেগুলেশন গ্রেডিং ও ক্রেডিট পদ্ধতি
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রোগ্রামের রেগুলেশন 2023। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক সম্মান অনার্স কোর্সের রেগুলেশন নিয়মকানুন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রোগ্রামের রেগুলেশন প্রোমোশনের নিয়মকানুন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২-এর ৪৬ নং ধারা মোতাবেক প্রণীত স্নাতক (অনার্স) ডিগ্রির সংশােধিত রেগুলেশন ২০০৯-২০১০ Bachelor Degree (Honours) (Revised) Regulation 2009.2010 গ্রেডিং ও ক্রেডিট পদ্ধতি অনুযায়ী (২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর)
প্রােগ্রামের মেয়াদ
• জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ব্যাচেলর (অনার্স) ডিগ্রি প্রােগ্রামে প্রতিটি বিষয় ৪ বছর মেয়াদি সমন্বিত কোর্স (Integrated Course) হিসেবে বিবেচিত হবে।
• কোর্সসমূহকে চারটি একাডেমিক বর্ষে বিভক্ত করে পাঠদান সম্পন্ন করা হবে, যেমনঃ ১ম বর্ষ, ২য় বর্ষ, ৩য় বর্ষ ও ৪র্থ.বর্ষ।
• সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিলেবাস অনুযায়ী প্রতি শিক্ষাবর্ষে ক্লাস শুরুর পর থেকে মােট ৩০ সপ্তাহ পাঠদান, ৪ সপ্তাহ পরীক্ষার প্রস্তুতি, ৬ সপ্তাহ বার্ষিক পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে। অবশিষ্ট সময়ের মধ্যে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। প্রতি বর্ষের
পরীক্ষা শেষ হওয়ার ২ সপ্তাহ পর পরবর্তী বর্ষের ক্লাস শুরু হবে এবং এ জন্য ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কলেজে নতুন বর্ষের জন্য প্রফেশনাল ছাত্র হিসেবে তালিকাভুক্ত হতে হবে।
• বার্ষিক কোর্স ভিত্তিক পরীক্ষা এবং গ্রেডিং ও ক্রেডিট পদ্ধতিতে এই প্রােগ্রাম পরিচালিত হবে। গ্রেডিং ও ক্রেডিট পদ্ধতিতে জিপিএ (Grade Point Average, GPA) ও সিজিপিএ (Cumulative Grade Point Average,।CGPA) হিসেবে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
আরো পড়ুন –
• জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (পাশ) ডিগ্রীর রেগুলেশন প্রমোশনের নিয়মাবলি
• জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স প্রোগ্রামের রেগুলেশন
• জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীদের জন্য প্রমোশনের নিয়মাবলি
ডিগ্রী (অনার্স) প্রােগ্রামের ও বিষয়সমূহ
উক্ত প্রােগ্রামে বিষয় ভিত্তিক চারটি শাখায় ব্যাচেলর অনার্স প্রােগ্রাম যথাক্রমে ব্যাচেলর অব আর্টস (বিএ) অনার্স, ব্যাচেলর অব সােশাল সায়েন্স (বিএসএস) অনার্স, ব্যাচেলর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) অনার্স এবং ব্যাচেলর।অব সায়েন্স (বিএসসি) অনার্স ডিগ্রী প্রদান করা হবে।
বিভিন্ন ব্যাচেলর (অনার্স) প্রােগ্রামের অড়র্ভুক্ত বিষয়সমুহ নিম্নরূপঃ
বিএ (অনার্স): (Bachelor of Arts)
• বাংলা
• দর্শন
• ইংরেজী
• ইসলামী শিক্ষা
• আরবী
• ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
• পালি
• লাইব্রেরী ও তথ্য বিজ্ঞান
• সংস্কৃত
• বিএড
• ইতিহাস
বিএসএস (অনার্স): (Bachelor of Social Science)
• অর্থনীতি
• সমাজবিজ্ঞান
• রাষ্ট্রবিজ্ঞান
• নৃ-বিজ্ঞান
• সমাজকর্ম
বিবিএ (অনার্স): (Bachelor of Business Administration)
• ব্যবস্থাপনা
• ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং
• মার্কেটিং।
• হিসাববিজ্ঞান
এসসি (অনার্স): (Bachelor of Science)
• রসায়ন
• ভূগােল ও পরিবেশ
• পদার্থ বিজ্ঞান
• পরিবেশ বিজ্ঞান
• গনিত
• মনােবিজ্ঞান
• পরিসংখ্যান
• মৃত্তিকা বিজ্ঞান
• উদ্ভিদবিজ্ঞান
• গার্হস্থ্য অর্থনীতি
• প্রাণিবিজ্ঞান
• কম্পিউটার বিজ্ঞান
• প্রাণ রসায়ন
ভর্তির যােগ্যতা
• বাংলাদেশের কোন শিক্ষা বাের্ডের উচ্চ মাধ্যমিক/আলিম বা দেশ বিদেশের সমমানের পরীক্ষায় পাশ করা শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম-কানুন ও শর্ত অনুযায়ী ব্যাচেলর (অর্নাস) প্রােগ্রামে পূর্ণকালীন ছাত্র/ছাত্রী হিসেবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে ভর্তি হতে পারবে।
• বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির শর্তাবলি পূরণ করলে এবং সংশি-ষ্ট বিষয়/ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় কৃতকার্য হলে শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে/প্রতিষ্ঠনে মেধা স্কোরের ভিত্তিতে ভর্তি হতে পারবে।
রেজিষ্ট্রেশন
• পূর্ণকালীন ছাত্র/ছাত্রী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মানুযায়ী একজন শিক্ষার্থী কেবলমাত্র একটি বিষয়ে ভর্তি হতে পারবে।
• একজন শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ ৭ (সাত)।শিক্ষাবর্ষের মধ্যে ব্যাচেলর অব অনার্স কোর্স সম্পন্ন করে ডিগ্রী অর্জন করতে হবে।
কোর্সে ও ক্রেডিট-ঘন্টা
ক্রেডিট আওয়ারের ভিত্তিতে শিক্ষাকার্যক্রমসমূহ পরিচালিত হবে। প্রতি সপ্তাহে পাঠদানের জন্য ব্যয়িত ক্লাস-ঘন্টাকে ক্রেডিট হিসেবে গণ্য করা হবে। তত্ত্বীয় পত্রসমূহের জন্য ৫০ মিনিটের একটি ক্লাসকে এক ক্লাস-ঘন্টা ধরা হবে। তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক শিক্ষাকার্যক্রমের জন্য নিম্নে বর্ণিত ক্লাস-ঘন্টা অনুসরণ করা হবে।
তত্ত্বীয় শিক্ষাকার্যক্রম:
৪ ক্রেডিট = প্রতি সপ্তাহ ৪ ক্লাস-ঘন্টা
৩ ক্রেডিট = প্রতি সপ্তাহ ৩ ক্লাস-ঘন্টা।
২ ক্রেডিট = প্রতি সপ্তাহ ২ ক্লাস-ঘন্টা
ব্যবহারিক শিক্ষাকার্যক্রম:
৪ ক্রেডিট = প্রতি সপ্তাহ ২ ক্লাস-ঘন্টা
৩ ক্রেডিট = প্রতি সপ্তাহ ২ ক্লাস-ঘন্টা
২ ক্রেডিট = প্রতি সপ্তাহ ১ ক্লাস-ঘন্টা
প্রােগ্রাম ভিত্তিক ক্রেডিট ও নম্বর বন্টন
• বিএ (অনার্স) মােট ১২০ ক্রেডিট + ৪ ক্রেডিট – ইংরেজী নন-ক্রেডিট।
• বিএসএস (অনার্স) মােট ১২০ ক্রেডিট + ৪ ক্রেডিট – ইংরেজী নন-ক্রেডিট।
• বিবিএ (অনার্স) মােট ১২৪ ক্রেডিট + ৪ ক্রেডিট – ইংরেজী নন-ক্রেডিট ।
• বিএসসি (অনার্স) মােট ১২৮ ক্রেডিট + ৪ ক্রেডিট – ইংরেজী নন-ক্রেডিট।
প্রােগ্রাম ভিত্তিক ক্রেডিট ও নম্বর বন্টন (২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে কার্যকর)
অনুষঙ্গী কোর্স
অনার্স বিষয়ের সাথে অনুষঙ্গী কোর্স (Allied Course) হিসেবে ২ বা তার অধিক কোর্স নির্বাচন করতে হবে। আবশ্যিক ইংরেজী নন-ক্রেডিট কোর্স
ইংরেজী অনার্স ও বিবিএ অনার্সের ছাত্র-ছাত্রী ব্যতীত ব্যাচেলর অব অনার্স ডিগ্রী প্রােগ্রামের সকল বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৪ ক্রেডিট ইংরেজি বিষয় বাধ্যতামূলক থাকবে এবং ইংরেজী বিষয়ে অবশ্যই পাস করতে হবে অন্যথায় অনার্স ডিগ্রী প্রাপ্ত হবে না। ২য় বর্ষে পঠিত উক্ত বিষয়ের পরীক্ষা ২য় বর্ষ অনার্স পরীক্ষার সাথে অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত নন-ক্রেডিট বিষয়ে পাশ নম্বর ৪০%।
বিবিএ (অনার্স) এর সকল বিষয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নন ক্রেডিট ৪ ক্রেডিট ইংরেজী কোর্সের পরিবর্তে ২য় বর্ষে ৪ ক্রেডিট।Business Communication & Report Writing (In English)” শিরােনামে একটি কোর্স থাকবে।
পরীক্ষার সময়কাল
তত্ত্বীয় কোর্সঃ
• ৪ ক্রেডিট কোর্সের জন্য ৪ ঘন্টা।
• ৩ ক্রেডিট পরীক্ষার জন্য ৪ ঘন্টা।
• ২ ক্রেডিট কোর্সের জন্য ৩ ঘন্টা।
ব্যবহারিক কোর্সঃ ৪ ক্রেডিট কোর্সের জন্য ৬ ঘন্টা (সংশ্লিষ্ট সিলেবাসে নির্ধারণ করা থাকবে)। ৩ ক্রেডিট কোর্সের জন্য ৬ ঘন্টা (সংশি-ষ্ট সিলেবাসে নির্ধারণ করা থাকবে)। ২ ক্রেডিট কোর্সের জন্য ৩ ঘন্টা (সংশি-ষ্ট সিলেবাসে নির্ধারণ করা থাকবে) ।
উত্তরপত্র মূল্যায়ন পদ্ধতি
• ইংরেজীসহ প্রতিটি তত্ত্বীয় কোর্সের উত্তরপত্র একক পরীক্ষক দ্বারা মূল্যায়ন হবে। OMR যুক্ত মূল্যায়নকৃত উত্তরপত্র ও নম্বরপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা মােতাবেক নির্ধারিত প্রধান পরীক্ষকের নিকট যথারীতি জমা দিতে হবে।
• অভ্যরীণ ও বহিরাগত পরীক্ষক দ্বারা ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা পরিচালিত হবে। পরীক্ষকগণ পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষণ মূল্যায়ন সম্পন্ন করবেন। ব্যবহারিক পরীক্ষার অভ্যস্লীণ মূল্যায়নকৃত নম্বর ও পরীক্ষায়
প্রাপ্ত নম্বর যােগ করে মােট প্রাপ্ত নম্বর ব্যবহারিক পরীক্ষা সম্পন্ন হবার অব্যহতি পরে তার ফলাফল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করতে হবে।
• ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের পূর্বে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের বিএসএস এবং বিবিএ এর ক্ষেত্রে ২য় বর্ষের ২ ক্রেডিট মৌখিক পরীক্ষা ও টার্ম পেপারের গাইড লাইন (সংযুক্ত) অনুসারে অভ্যল্লীণ পরীক্ষকদ্বয়ের মূল্যায়নকৃত টার্ম পেপারের ২
ক্রেডিট অর্থাৎ (২+২) = ৪ ক্রেডিট। প্রাপ্ত মােট ক্রেডিট নম্বর মৌখিক পরীক্ষার কোড নম্বরে নির্দেশ মােতাবেক অন- লাইনে প্রেরণ করতে হবে ও হার্ডকপি সংশি-ষ্ট উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তরে জমা দিতে হবে। মৌখিক পরীক্ষা ও টার্ম
পেপারের পাশ নম্বর পৃথকভাবে ৪০%।
পাঠদান ও পরীক্ষার মাধ্যম
পাঠদানের মাধ্যম হবে বাংলা অথবা ইংরেজী। পরীক্ষার উত্তরপত্রে বাংলা অথবা ইংরেজী ভাষার যে কোন একটি মাধ্যমে লিখতে হবে। উদ্ধৃতি ও টেকনিক্যাল শব্দ ব্যতিত একই কোর্সের উত্তরপত্রে বাংলা ইংরেজীর মিশ্রণ গ্রহণযােগ্য নয়। তবে
ভাষা সাহিত্যের বিষয়সমূহের ক্ষেত্রে পাঠদান ও পরীক্ষার মাধ্যম সংশি- ষ্ট ভাষায় হবে।
পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যােগ্যতা
• ব্যাচেলর (অনার্স) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যােগ্যতা হিসাবে মােট লেকচার ক্লাস/ব্যবহারিক ক্লাসের ৭৫% উপস্থিতি থাকতে হবে। বিশেষ ক্ষেত্রে অধ্যক্ষ বিভাগীয় প্রধানের সুপারিশের ভিত্তিতে উপস্থিতি ৭৫%-এর কম এবং ৬০% বা তার বেশি
থাকলে তা বিবেচনার জন্য সুপারিশ করতে পারবেন। ৭৫% এর কম উপস্থিতির জন্য পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় ৫০০ (পাঁচশত) টাকা নন-কলেজিয়েট ফি অবশ্যই জমা দিতে হবে।
পরীক্ষার জন্য প্রেরিত পরীক্ষার্থীদের আবেদনপত্রে অধ্যক্ষ/বিভাগীয় প্রধান প্রত্যয়ন করবেন যে-
• পরীক্ষার্থীর আচরণ সন্তোষজনক ;
• লেকচার ক্লাসে, ব্যবহারিক ক্লাসে, ইন-কোর্স ও মাঠ পর্যায়ে তার উপস্থিতি সড়েষজনক ।
• পরীক্ষার্থী কলেজের সকল অভ্যরীণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক আরােপিত সকল শর্ত পূরণ করেছে।
আরো পড়ুন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রেডিং সিস্টেম ও সিজিপিএ নির্ণয় করার পদ্ধতি
প্রমােশন (১ম বর্ষ হতে ৪র্থ বর্ষে) নীতিমালা
৪ বছর মেয়াদি স্নাতক (অনার্স) কোর্স এর প্রােমােশন, গ্রেড উন্নয়ন ও মান উন্নয়ন
• এক বর্ষ থেকে পবরর্তী বর্ষে Promotion এর জন্য সকল কোর্সের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।
• ১ম বর্ষ থেকে ২য় বর্ষে Promotion এর জন্য কমপক্ষে ৩টি তত্ত্বীয় কোর্সে D বা তার চেয়ে বেশী গ্রেড পেতে হতে।
• ২য় বর্ষ থেকে ৩য় বর্ষে Promotion এর জন্য কমপক্ষে ৩টি তত্ত্বীয় কোর্সে D বা তার চেয়ে বেশী গ্রেড পেতে হতে।
• কোন বর্ষে ১টি কোর্সে অনুপস্থিত থেকে বাকি সকল কোর্সে D বা তার চেয়ে বেশী গ্রেড পেলে শর্তসাপেক্ষে পরবর্তী বর্ষে Promotion
পাবে। তবে অনুপস্থিত কোর্সে পরবর্তী বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক।
• ৩য় বর্ষ থেকে ৪র্থ বর্ষে প্রমােশনের জন্য কমপক্ষে ৪ টি D বা এর বেশি পেতে হবে।
• উপরের শর্ত পূরণে ব্যর্থ শিক্ষার্থী Not Promoted হবে। পরবর্তী বছর শিক্ষার্থী পূর্ববর্তী বছরের শুধুমাত্র F এবং অনুপস্থিত কোর্সের গ্রেড।উন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। একই সাথে C এবং D গ্রেড প্রাপ্ত সর্বোচ্চ ২টি কোর্সে মান উন্নয়ন পরীক্ষার জন্য অংশগ্রহণ করতে পারবে।
• ১ম বর্ষের সকল কোর্সে D বা এর বেশী না পাওয়া পর্যন্ড ৩য় বর্ষের চূড়া পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে কিন্তু তার ফলাফল স্থগিত থাকবে।
• ১ম ও ২য় বর্ষের সকল কোর্সে D বা এর বেশি না পাওয়া পর্যন্ত ৪র্থ বর্ষের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
• Promoted এবং Not Promoted সকল পরীক্ষার্থী C এবং D গ্রেড পাওয়া প্রতি বর্ষের সর্বোচ্চ ২টি কোর্সে শুধুমাত্র পরবর্তী বছর
মান উন্নয়ন পরীক্ষা দিতে পারবে। F গ্রেড প্রাপ্ত কোর্সে একাধীক বার পরীক্ষা দেওয়ার সুযােগ পাবে। একই সাথে গ্রেড উন্নয়ন এবং মান উন্নয়ন পরীক্ষা দেওয়া যাবে। তবে F গ্রেড প্রাপ্ত কোর্সকে গ্রহণযােগ্য গ্রেডে উন্নিত হলে ঐ কোর্সে মান উন্নয়ন পরীক্ষার সুযােগ নাই। এছাড়া F গ্রেড পাওয়া কোর্সে পরবর্তীতে গ্রেড উন্নয়ন হলে প্রাপ্ত গ্রেড যাই হােক না কেন B’ (Plus) এর বেশী প্রাপ্য হবে না।
• একই বর্ষে সর্বোচ্চ ২টি কোর্সে মান উন্নয়ন (C এবং D গ্রেড প্রাপ্ত) পরীক্ষা দিতে পারবে। সর্বস্তুরে মান উন্নয়ন পরীক্ষার ফলাফলের ক্ষেত্রে Pick up পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে। অর্থাৎ ১ম এবং ২য় বার পরীক্ষার ফলাফলের মধ্যে যেটি উচ্চতর গ্রেড সে গ্রেড CGPA গণনার ক্ষেত্রে প্রযােজ্য হবে।
• ইন-কোর্স, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় গ্রেড উন্নতিকরণ কোন সুযােগ থাকবে না।
কোর্স ভিত্তিক নম্বরবন্টন
২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীর সকল প্রােগ্রামের ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ বর্ষের প্রত্যেক তত্ত্বীয় ক্রেডিট।কোর্সের মধ্যে ইন-কোর্স ও ক্লাসে উপস্থিতির ক্ষেত্রে নম্বর হবে ২০% (১৫%+৫%) এবং তত্ত্বীয় ফাইনাল পরীক্ষার ক্ষেত্রে নম্বর হবে ৮০%। প্রত্যেক বর্ষের ক্লাস শুর থেকে ১৫ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিটি কোর্সের অর্ধেক পাঠ্যসূচী শেষ করে পঠিত অংশের উপর কোর্স শিক্ষককে একটি ইন-কোর্স পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। একইভাবে পরবর্তী ১৫ সপ্তাহের মধ্যে পাঠ্যসূচীর বাকী অর্ধেক শেষ করে এ অংশের উপর আর একটিসহ মােট ২টি ইন-কোর্স পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। অভ্যরীণভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে ইন-কোর্স ও ক্লাস উপস্থিতিতে প্রত্যেক তত্ত্বীয় কোর্সে প্রাপ্ত মােট নম্বরপত্রের এক কপি সংশ্লিষ্ট কোর্সের কোড নম্বর ও শিক্ষার্থীদের রােল নম্বরের বিপরীতে অন-লাইনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক কম্পিউটার কেন্দ্র ও আইসিটি ইউনিটে প্রেরণ করতে হবে। এক কপি নম্বরপত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশি-ষ্ট উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এর নিকট প্রেরণ করতে হবে এবং এক কপি সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দিতে হবে।
ক্লাসে উপস্থিতির নম্বর বন্টন
মৌখিক পরীক্ষা
• ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের পূর্বের ভর্তিকৃতদের প্রত্যেক প্রােগ্রামের ২য় বর্ষ এবং ৪র্থ বর্ষ শেষে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে যা মােট ২x২=৪ ক্রেডিট হিসেবে গণ্য হবে। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে ২টি পৃথক মৌখিক পরীক্ষায় অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে হবে। ২টি মৌখিক পরীক্ষার মােট নম্বর যােগ করে তার ভিত্তিতে LG, GP ও EPS নির্ণয় করে একজন পরীক্ষার্থীর CGPA নির্ণয় করা হবে। অভ্যরীণ ও বহিঃপরীক্ষক মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করবে। বহিঃপরীক্ষক ছাড়া কোন মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ যােগ্য হবে না।
• ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে শুধুমাত্র ৪র্থ বর্ষে ৪ ক্রেডিটের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
• একজন শিক্ষার্থী যদি মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণে ব্যর্থ হয় তাহলে পরীক্ষা কমিটি/পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপাচার্যের অনুমােদন সাপেক্ষে বিশেষ ক্ষেত্রে (লিখিত প্রমাণাদি) সংশি-ষ্ট পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পূর্বে নির্ধারিত অতিরিক্ত ফি প্রদান করে বিশেষ বিবেচনায় মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযােগ পাবে। সে ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীকে মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠানের যাবতীয় খরচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত হারে বহন করতে হবে।
• মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হলে একজন শিক্ষার্থী শুধুমাত্র একবার পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের সাথে ৪ ক্রেডিট মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযােগ পাবে।
• পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, সংশি- ৪ ডীন ও প্রাে-ভাইস-চ্যান্সেলর (একাডেমিক) এর সুপারিশসহ ভাইস-চ্যান্সেলর এর অনুমােদনক্রমে পরীক্ষার তারিখ ও পরীক্ষকগণের তালিকা (তত্ত্বীয়, ব্যবহারিক, মৌখিক, ফিল্ড ওয়ার্ক) প্রকাশ করবেন।
• মৌখিক/ব্যবহারিক/মাঠকর্ম পরীক্ষা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মনােনীত প্রতিনিধি ছাড়া গ্রহণ করা যাবে না। এরূপ পরীক্ষা গ্রহণের জন্য মনােনীত কোন শিক্ষক দায়িত্ব পালন না করলে বা করতে ব্যর্থ হলে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পূর্বানুমতি গ্রহণপূর্বক
নিকটবর্তী কোন কলেজ হতে একজন উপযুক্ত শিক্ষককে দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা করা যাবে এবং সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি লিখিতভাবে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে অবহিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বানুমতি ছাড়া অন্য কোন শিক্ষককে দিয়ে পরীক্ষা
গ্রহণ করা যাবে না। প্রতিদিন অনধিক ৪০ (চলি-শ) জন পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক/মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণ করা যাবে।
• মৌখিক/ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৭ দিনের মধ্যে কলেজ কর্তৃপক্ষকে মৌখিক/ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর যথারীতি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করতে হবে এবং এর একটি কপি অধ্যক্ষের নিজ দায়িত্বে গােপনীয়ভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
ডিগ্রি প্রাপ্তির যােগ্যতাসমূহঃ
ব্যাচেলর (অর্নাস) ডিগ্রি পেতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে নিমােক্ত শর্তসমূহ পূরণ করতে হবে।
• CGPA এর ভিত্তিতে চূড়াড় ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
• একজন শিক্ষার্থীকে সকল তত্ত্বীয়/ব্যবহারিক/টার্ম পেপার/মাঠকর্ম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অব্যশই ন্যূনতম CGPA ২.০০ পেতে হবে। অন্যথায় সে উক্ত প্রােগ্রামে অকৃতকার্য বলে গণ্য হবে।
• প্রতিটি মৌখিক পরীক্ষায় পৃথকভাবে গ্রেড পয়েন্ট ২.০০ অর্জন করতে হবে। কোন বর্ষে মৌখিক পরীক্ষায় প্রয়ােজনীয়।GP অর্জনে ব্যর্থ হলে রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ থাকা সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যাচের সাথে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযােগ পাবে।
• CGPA ৩.৭৫ থেকে ৪.০ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের Distinctionসহ অনার্স ডিগ্রি প্রদান করা হবে যা একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টে উল্লেখ থাকবে।
• সকল কোর্সের (তত্ত্বীয়/ব্যবহারিক/টার্ম পেপার/মাঠকর্ম/মৌখিক) পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক এবং ন্যূনতম গ্রেড পয়েন্ট ২.০০ বা D গ্রেড পেয়ে পাশ করতে হবে।
অনার্সের প্রশ্নপত্রে নম্বর বন্টন নিম্নরূপ
পাস ডিগ্রি
• ১ম, ২য়, ৩য় বা ৪র্থ বর্ষে F গ্রেড পাওয়া কোর্সগুলাে রেজিস্ট্রেশন মেয়াদে (শুর থেকে ছয় শিক্ষাবর্ষের মধ্যে) অবশ্যই D বা উচ্চতর গ্রেডে উন্নীত করতে হবে। তবে F গ্রেড প্রাপ্ত কোর্স পরবর্তীতে পরীক্ষার মাধ্যমে উন্নীত করার ক্ষেত্রে ফলাফল যাই হােক না কেন একজন পরীক্ষার্থী সর্বোচ্চ B+ গ্রেড এর বেশী প্রাপ্য হবে না। উলেখ্য যে, কোন কোর্সে F গ্রেড থাকলে পরীক্ষার্থী অনার্স ডিগ্রী পাবে না।
• রেজিস্ট্রেশন মেয়াদ শেষে কোন পরীক্ষার্থী একাধিক F গ্রেডসহ ন্যূনতম ১০০ Credit অর্জন করলে তাকে পাস ডিগ্রী প্রদান করা
গ) চার বছরের অনার্স কোর্স সম্পন্ন করার পর কোন কোর্সে Fসহ কোন ছাত্র CGPA ২.০০ পেয়ে থাকলে তাকে পাস ডিগ্রি দেয়া যাবে তবে কোন কোর্সের পরীক্ষায় absent থাকলে তাকে কোন ডিগ্রী প্রদান করা হবে না।
ট্রান্সক্রিপ্টস
বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফি পরিশােধ সাপেক্ষে প্রত্যেক বর্ষের ফলাফলের ট্রান্সক্রিপ্ট প্রদান করা হবে। প্রত্যেক বর্ষের ট্রান্সক্রিপ্টের সে বর্ষের GPA উলে-খ থাকবে। সর্বশেষ ট্রান্সক্রিপ্টে GPA, CGPA উলে-খ থাকবে। ট্রান্সক্রিপ্টে কোন গাণিতিক নম্বর থাকবে না।
ইন-কোর্স পরীক্ষাঃ
• অনার্সের ইন-কোর্স পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। ইন-কোর্স হবে ২০% (পরীক্ষা ১৫%+উপস্থিতি ৫%)। প্রতিটি পত্রের অর্ধেক পাঠ্যসূচী শেষ করে পঠিত অংশের উপর উক্ত পত্রের পাঠদানকারী শিক্ষককে একটি ইন-কোর্স পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
• একইভাবে পরবর্তীতে পাঠ্যসূচীর বাকী অর্ধেক শেষ করে এ অংশের উপর আর একটিসহ মােট ২টি ইন-কোর্স পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। অভ্যগ্রীণভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে ইন-কোর্স ও ক্লাস উপস্থিতিতে প্রত্যেক তত্ত্বীয় পত্রে প্রাপ্ত মােট
নম্বরপত্রের এক কপি সংশি-ষ্ট বিষয়ের পত্র কোড নম্বর ও শিক্ষার্থীদের রােল নম্বরের বিপরীতে অন-লাইনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণ করতে হবে। এক কপি নম্বরপত্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশি-ষ্ট উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এর নিকট ডাকযােগে/হাতে হাতে প্রেরণ করতে হবে এবং এক কপি সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধানের অফিসে সংরক্ষণ করতে হবে।