জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

চাকরিদাতারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীদের খুঁজে নেবে:উপাচার্য

শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ‘স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলা’ সহ রংপুর আঞ্চলিক কেন্দ্রে নানামুখী কর্মসূচির আয়োজন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, আমি চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা মেলায় এসে চাকরি খুঁজবে না। তাদেরকে চাকরিদাতা খুঁজে নেবে। সেই পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। নিজেদের দক্ষ এবং যোগ্য করে গড়ে তুললে চাকরি কোনো সমস্যা নয়।

রংপুর কারমাইকেল কলেজে স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলার আয়োজন করা হয়। রংপুর টিচার ট্রেনিং কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মডারেশন, উত্তরপত্র মূল্যায়নের গুণগত মানোন্নয়ন বিষয়ে মতবিনিময় সভা আয়োজন করা হয়। এছাড়া রংপুর সরকারি কলেজে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ক প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়। দিনব্যাপী এইসব আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান।

উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, একটি বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা এই স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলার আয়োজন করেছি। যাতে আমাদের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হয়। শিক্ষার উৎকর্ষতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে যেন এই উদ্যোগ কাজে লাগে। আমাদের শিক্ষার্থীরা যদি ১ম বর্ষ থেকে মাস্টার্স শ্রেণি পর্যন্ত সবাই ক্লাসরুমে নিয়মিত উপস্থিত হয়। কলেজে এবং বাসায় নিয়মিত বই পড়ে। তাহলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। আমাদের নতুন কারিকুলামে আইসিটি অবশ্যপাঠ্য করা হয়েছে। সফট স্কিল রাখা হয়েছে। এসব বিষয়ে যদি আমাদের শিক্ষার্থীরা শুরু থেকেই প্রস্তুতি নেয় তাহলে চাকরিদাতারা তোমাদের খুঁজে নেবে-এ আমার গভীর বিশ্বাস।

তোমরা জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়কে হেলায় নষ্ট করবে না। হিসাব মত যদি তোমরা না চলো তাহলে এর মাশুল তোমাকেই দিতে হবে। তোমার পিতা, মাতাকে দিতে হবে। জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়কে অযথা নষ্ট করা নিজেকে রক্তাক্ত করার সমান। ৪টি বছরে একটি ক্যাম্পাসে থাকলে, নিয়মিত লাইব্রেরিতে গেলে, বইয়ের সঙ্গে সম্পর্কে করলে, শিক্ষকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করলে তার কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কঠোর পরিশ্রমের ফলে ওই শিক্ষার্থী সফল হবেই। এসব করার মধ্য দিয়েই আমাদের উদ্যোগ এবং স্বপ্ন সফলতা পাবে।

বিভিন্ন কলেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে কম আসে। অনেকে মনে করেন দারিদ্র্যের কারণে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসে না, সেটির সঙ্গে আমি একমত নই। এরপরও আমরা বিষয়টিকে এড্রেস করে প্রতি বছর প্রতি কলেজের জন্য ৫ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয়ার ব্যবস্থা চালু করেছি। শুধু দারিদ্র্য সংকট নয়। সংকট অন্য জায়গায় সেটি আমাদের বের করতে হবে। প্রশ্নপত্র প্রণয়ন নিয়ে নানা রকম কথা হয়। আমাদের প্রশ্নপত্রের ধরন ভালো না। কোনো মতে লিখছে, পাস করছে সেই জায়গায় থাকা যাবে না। শিক্ষার্থীরা মনে করে পুরো সিলেবাস পড়া লাগে না। কারণ গত ৩/৪ বছরের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিশ্লেষণ করলেই একজন শিক্ষার্থী বুঝতে পারে পরবর্তী বছর কী প্রশ্ন আসবে। এই অবস্থা চলতে পারে না। এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group