পরীক্ষা খবরশিক্ষা খবরশিক্ষা নিউজ

৮ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে যেভাবে উত্তীর্ণ হবে শিক্ষার্থীরা

করোনাভাইরাসের কারণে অষ্টম শ্রেণির ২০২০ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ২৭ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞতিতে এ তথ্য জানানো হয়। জানা যায়, গত ২৩ আগস্ট জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বাতিলের প্রস্তাবনা সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। সেই সারসংক্ষেপে সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী।

দিপু মনি

আরো পড়ুন- অষ্টম শ্রেণির জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বাতিল

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিপত্র বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে পাঠানো হয়। সেই সম্মতিপত্র অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। এছাড়াও পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কাজ করছে বলে জানা গেছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এ দুই স্তরের পাবলিক পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে পাস করিয়ে সার্টিফিকেট দেয়া হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের গণমাধ্যমকে জানান, যদি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় তাহলে ট্রেডিশনাল পদ্ধতিতেই মূল্যায়ন করা হবে। তবে এই সিদ্ধান্ত এখনও চূড়ান্তভাবে নেয়া হয়নি। তিনি আরও বলেন, আর যদি পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় হয় ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত মূল্যায়ন পদ্ধতি কি হবে, কিভাবে তাদের পরবর্তী ক্লাসে প্রমোশন দেয়া হবে; বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কাজ করছে।

করোনা পরিস্থিতির কারণে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার পাশাপাশি পিইসি ও ইইসি পরীক্ষা বাতিলের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। পরীক্ষা না হলেও এই দুই স্তরের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার চিন্তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের রয়েছে। কেন্দ্রীয় ভাবে পরীক্ষা না হলেও অনুষ্ঠিত হতে পারে বার্ষিক পরীক্ষা। এছাড়া এ বছর বৃত্তির ব্যবস্থা থাকছে না। তবে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে উপবৃত্তি দেয়ার চিন্তা আছে।

আরো পড়ুন- পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা বাতিল

এদিকে, করোনা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না হয় সেক্ষেত্রে এইচএসসি পরীক্ষা ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণের বিষয়ে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি কি হতে পারে; সে বিষয়ে প্রস্তাবনা তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। ২৭ আগষ্ট এক সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তাদের তিনি এ নির্দেশ দেন।

সভায় মন্ত্রী বলেন, করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষা ব্যবস্থার কি ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে তা নিয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সভায় তিনি করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত রাখতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদরাসা ও কারিগরি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্দেশ দেন।

যদি করোনা পরিস্থিতি সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে স্বাভাবিক হয় এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া সম্ভব হয় তাহলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে। আর যদি ডিসেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে ‘অটো-পাস’ দিয়ে তুলে দেয়া হবে এমন সিদ্ধান্তের কথাও জানা গেছে।

আগামী পহেলা নভেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা জেএসসি পরীক্ষা। যেখানে প্রায় ২৭ লাখ পরীক্ষার্থী অংশ নেওয়ার কথা ছিল। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পিইসি ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী ইইসি পরীক্ষায় প্রায় ৩২ লাখ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের কথা ছিল। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গত ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ যায়। অচল হয়ে পড়ে সকল শিক্ষা ব্যবস্থা।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply