২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হচ্ছে না
করোনার কারণে কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তবে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার গড় ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মূল্যায়নের জন্য একটি পরামর্শক কমিটি করা হবে।
বুধবার দুপুরে এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে গণমাধ্যমকে অনলাইনে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহাবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হকসহ সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা।
আরো পড়ুন- এইচএসসির ফলাফল প্রকাশ ডিসেম্বরে, ভর্তি জানুয়ারিতে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, সার্বিক বিবেচনায় এখন এইচএসসি পরীক্ষা সরাসরি গ্রহণ না করে ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হবে। বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে কথা বলে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আজ বুধবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। জেএসসি-এসএসসির রেজাল্ট অনুযায়ী এইচএসসি পরীক্ষার মূল্যায়ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এভাবে মূল্যায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্যশিক্ষা ব্যুরোসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি থাকবে। তারা এ বিষয়ে তাদের মতামত দেবেন। সে অনুযায়ী ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে তার নিশ্চয়তা নেই। কখন পরীক্ষা নেয়া যাবে বলা কঠিন। এরমধ্যে যথার্থতা বজায় রাখার বিষয়টি ভাবতে হবে। পরীক্ষা গ্রহণ করতে ৩০ থেকে ৩২ কর্মদিবস প্রয়োজন হবে। কোভিড পরিস্থিতিতে এক বেঞ্চে দুজন বসানো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে দ্বিগুন কেন্দ্র প্রয়োজন হবে। প্রশ্নপত্র প্যাকেটজাত করা হয়। নতুন প্যাকেট করারও সুযোগ নেই।
আরো পড়ুন- এইচএসসি পরীক্ষা হবে না, এসএসসির রেজাল্টের ভিত্তিতে মূল্যায়ন
মন্ত্রী বলেন, কেন্দ্র দ্বিগুন করলে আরও জনবল প্রয়োজন হবে। প্রশাসনসহ সবার জনবল বাড়ানো প্রয়োজন রয়েছে। বিষয় কমানো হয়তো যায়, কিন্তু প্রতিটি বিষয়ের গুরুত্ব রয়েছে। অনেকে এতে ক্ষতিগ্রস্ত মনে করতে পারবে। কোভিড আক্রান্ত হলে তখন কী হবে। এ নিয়ে আমরা চিন্তা করছি। ভারতের পরীক্ষাও আমরা দেখেছি। তিনটি পরীক্ষা নেয়ার পর তাদের পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। অনেক দেশে পরীক্ষা বাতিল কিংবা স্থগিত করেছে।
নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই পরীক্ষা নেয়া যায় কিনা তা নিয়ে এতদিন নীতিনির্ধারকদের মধ্যে আলোচনা চলছিল। তবে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। গত ১ এপ্রিলে এইচএসসি পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল। করোনার কারণে তা স্থগিত করা হয়। এবারে ১৩ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী নিবন্ধন করেছে।