এইচএসসিতে কে কোন জিপিএ পাবে তার হিসাব নিকাশ শুরু
এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কে কোন জিপিএ পাবে তার হিসাব শুরু করেছে বোর্ডগুলো। সরাসরি পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি-এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার গড় ফলের ভিত্তিতে এবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়নের ঘোষণার পর এখন কয়েকটি বিষয় মাথায় রেখে মূল্যায়নের প্রক্রিয়াটি শুরু করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো।
আরো পড়ুন- এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পাচ্ছে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী
শিক্ষা বোর্ডের এক চেয়ারম্যান বলেন, যে শিক্ষার্থীরা জেএসসি ও এসএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়েছিল তারা এইচএসসিতেও জিপিএ ৫ পাবে। কিন্তু কেউ এসএসসিতে জিপিএ ৫ কিন্তু জেএসসিতে জিপিএ ৪ পয়েন্ট ৫০ পেল সেই শিক্ষার্থীর ফল এবার জিপিএ ৫ হবে না। তবে, জিপিএ ৪ পয়েন্ট ৫০ এর কম হবে না। আর বিষয় ভিত্তিক ফল নির্ধারণে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ের বিষয়ভিত্তিক ‘ম্যাপিং’ করা হবে। অর্থাৎ এই তিন পর্যায়ে যে বিষয়গুলোর মিল আছে সেগুলোকে একভাবে দেখা হবে।
এদিকে, গড় ফলের সিদ্ধান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট বা বিএম) শিক্ষার্থীদের ফল নির্ধারণ করা নিয়ে। এ পরীক্ষায় প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা দুটি সরাসরি বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথম বর্ষের ফল এরই মধ্যে প্রকাশিত হলেও দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। তাহলে এই শিক্ষার্থীদের ফল কি শুধু প্রথম বর্ষের ফলের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হবে, নাকি তাদের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা বোর্ডের অধীনে নেওয়া হবে- তা নিশ্চিত নয়। এ বিষয়ে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মোরাদ হোসেন মোল্লা বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আরো পড়ুন- এইচএসসির ফল ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে, কমিটির কাজ শুরু
করোনা পরিস্থিতির উৎকণ্ঠা নিয়ে ছয় মাস পর পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত পেল শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। জেএসসি ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে এইচএসসির মূল্যায়নের সিধান্ত নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। যাদের আগের দুটি পরীক্ষাতেই জিপিএ ৫ রয়েছে তারা সবচেয়ে বেশি খুশি। যাদের কোনো একটি পরীক্ষার ফল খারাপ, তারা কিছুটা দুশ্চিন্তায়।
এবার এইচএসসি-সমমান পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণের কথা ছিল। এর মধ্যে নিয়মিত ১০ লাখ ৭৯ হাজার ১৮১ এবং অনিয়মিত ২ লাখ ৬৬ হাজার ২০৮ জন। এদের মধ্যে কেউ কেউ এক-দুই বিষয়ে অকৃতকার্য হলে আবারও পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল।