প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে কোটা বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে নারী ও পোষ্য কোটা বাতিল করে এবং আগের বিজ্ঞপ্তি বাদ দিয়ে পুনরায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার জন্য সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। রোববার যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারেক রহমান নামে এক প্রার্থীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন ভুইয়া রেজিস্ট্রি ডাক যোগে এ নোটিশ পাঠান।
আরো পড়ুন- প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২০
নোটিশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জনপ্রশান মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে (ডিজি) বিবাদী করা হয়েছে। নোটিশে পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই বিষয়ে ব্যবস্থা না নেয়া হলে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট আবেদন করা হবে বলেও জানিয়েছেন নোটিশকারী আইনজীবী একলাস উদ্দিন ভুইয়া।
এ ব্যাপারে আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন ভুইয়া বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোনো কোটাই থাকছে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু সম্প্রতি প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটার কথা বলা হয়েছে। সে কারণে প্রার্থী হিসেবে মো. তারেক রহমান কাছে এসেছে।
তিনি বলেন, দেখা গেছে, প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৬০ শতাংশ নারী কথা বলা হয়েছে। পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ। আমি মনে করি, সেখানে কোটা সিস্টেমটি রাখা হলে সেটি হবে বৈষম্যমূলক।
সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা চেয়ে আইনি নোটিশটি পাঠানো হয়েছে বলে আইনজীবী এখলাছ উদ্দিন ভুইয়া জানান। তিনি বলেন, আমরা এই বিজ্ঞপ্তিটি সংশোধন আকারে প্রকাশ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের বলেছি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা করা না হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. তারেক রহমান বলেন, এই নিয়োগে ৬০ শতাংশ মেয়ে এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা থাকার পর মাত্র ২০ শতাংশ ছেলেদের জন্য থাকছে। এভাবে বিশাল একটি জনগোষ্ঠিকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এটা বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। এজন্য আমি আইনের স্মরণাপন্ন হয়েছি। নিয়ম অনুযায়ী রিট করতে চাইলে আগে একটি আইনি নোটিশ পাঠাতে হয়, সেটি আজ পাঠানো হয়েছে।