খুলনা টু ঢাকা কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী Khulna To Dhaka Kopotakkho Express Train Schedule
খুলনা টু ঢাকা কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী Khulna To Dhaka Kopotakkho Express Train Schedule ,BD Train samay suchi Ekota Express train location Bangladesh,
বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের সকল আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচি (৫৩) টিটি অনুযায়ী
খুলনা টু ঢাকা কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী Khulna To Dhaka Kopotakkho Express Train Schedule
নভেম্বর থেকে বিদ্যালয় খুলবে, এটা ভুল ব্যাখ্যা উল্লেখ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেছেন, বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেই যে কবে স্কুল খুলবে। যা হবে দুই মন্ত্রণালয় বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ বুধবার (৪ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন। ১৫ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার কোনও সত্যতা নেই: প্রাথমিকের ডিজি
ডিজি বলেন, আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রয়েছে। আগামী ১৪ নভেম্বর বন্ধ তার মানে ১৫ নভেম্বর থেকে বিদ্যালয় খুলবে এটা ভুল ব্যাখ্যা। এটার কোনও সত্যতা নেই। আমরা অনেকবারই তো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছি। তার মানে ছুটির পরের দিন থেকে কি বিদ্যালয় খুলেছি? কোনও ভুল মেসেজ যেন না যায়।
আরো পড়ুন- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু
চিঠিতে বলা হচ্ছে, আগামী ১৪ নভেম্বরের পরে বিদ্যালয় খোলার সম্ভাবনা থাকায় আগামী ৮ নভেম্বরের মধ্যে বিদ্যালয় ভিত্তিক ‘রি ওপেনিং প্ল্যান’ করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসারের অনুমোদন নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করতে অধিনস্ত সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হল।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সেই লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের মৌলিক সক্ষমতা তৈরিতে ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। বিদ্যালয় খোলা গেলে ওই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষ করে পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে। সংক্ষিপ্ত এই সিলেবাসের আলোকেই প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মেধা যাচাইয়ের পর ওপরের ক্লাসে প্রমোশন দেয়া হবে।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে যে কদিন সময় পাওয়া যাবে সে কদিন পড়িয়ে পরবর্তী ক্লাসে নেয়া হবে। আমরা ৩০ দিনের ও ১৫ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে শিক্ষার্থীদের সেটি পড়িয়ে পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে।’ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।’
অবশ্য আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
সূত্র বলছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩৯ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও নতুন করে আরও ১৪ দিন ছুটি বাড়ানোয় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে নতুন করে ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমি (নেপ)। শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণের সক্ষমতা তৈরিতে এ সিলেবাসটি তৈরি করা হচ্ছে। আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হলে সেটি কার্যকর করে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে তোলা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেপের মহাপরিচালক মো. শাহ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন করে আমরা ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু করেছি। প্রাথমিকের প্রতিটি ক্লাসের সকল বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো যুক্ত করে শিক্ষার্থীদের পাঠগ্রহণের সক্ষমতা তৈরির লক্ষ্যে নতুন করে এ সিলেবাস তৈরি করা হচ্ছে। নতুন সিলেবাসটি আগামী সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো হবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব জানান, আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে সরকার। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা সম্ভব হলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসটি বাস্তবায়ন করে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় এ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি কয়েক দফা বাড়ানো হয়। গত ১৭ মার্চ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সাধারণ ছুটির সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ছুটির সময় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এমনকি ঘরে বসেই শিক্ষার্থীদের অনলাইনে পাঠদানের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।