Manikganj Deputy Commissioner’s Office Viva Schedule 2022 মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি
Manikganj Deputy Commissioner’s Office Viva Exam Schedule 2022 মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি ২০২২। রাজস্ব প্রশাসনের আওতাধীন ২০তম গ্রেডের অফিস সহায়ক, নিরাপত্তা প্রহরী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিম্নবর্ণিত রোল নম্বরধারীগণের (মেধার ক্রমানুসারে নয়) মৌখিক পরীক্ষা উল্লিখিত সময়সূচি অনুযায়ী এ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
Manikganj Deputy Commissioner’s Office Viva Exam Schedule 2022 মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি
সরকার এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা ভাবছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেছেন, এ পরিস্থিতিতে সরকার বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করছে। করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাতে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
আরো পড়ুন- শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার সম্ভাবনা, বাল্যবিয়ে ও শিশুশ্রম বাড়তে পারে
শিক্ষামন্ত্রীর হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পোর নেতৃত্বে ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর তোমো হোজুমি উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় মিয়া সেপ্পো করোনাকালীন স্বল্প সময়ের মধ্যে সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম ও অনলাইন ক্লাস চালু করায় বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় খুলে দেওয়ার বিষয়ে সরকারের মনোভাব জানতে চান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখনই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার কথা ভাবছে না সরকার। বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ একটি দেশ। এখানে ফিজিক্যাল ডিসটেন্স মেনটেইন করা অত্যন্ত দুরূহ কাজ। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে শিশুদের সঙ্গে তাদের অভিভাবকদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেতে হয়। সে ক্ষেত্রে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। যদিও শিশুদের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম, কিন্তু তারা নীরব বাহক হতে পারে।
অন্যদিকে, এ পরিস্থিতিতে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে চান না। তাই সরকার বিকল্প পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী চলমান মহামারি করোনার কারণে আমাদের শিক্ষখাত নানা রকমের ঝুঁকিতে রয়েছে। দীর্ঘ সময় ধরে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে। যার ফলে কিছু শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাল্যবিয়ে ও শিশুশ্রম বাড়তে পারে। অনেক শিক্ষার্থী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মানসম্মত শিক্ষা অর্জন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সব প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও করোনার কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। ২০২১ সালে অনুষ্ঠেয় এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ক্লাস না হওয়ায় সিলেবাস সমাপ্ত করা এখন একটা বড় চ্যালেঞ্জ। তাছাড়া কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যবহারিক ক্লাসগুলো অনলাইনে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমাদের শিশুরা সাইকোলজিক্যাল বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছে।
আরো পড়ুন- বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা সংকটে
তিনি বলেন, করোনায় শিক্ষাখাতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল প্রযুক্তি আমাদের সহায়তা করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করার মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। তারপরও আমাদের প্রায় ১০ শতাংশ শিক্ষার্থী শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে রয়েছে। মোট শিক্ষার্থীর তুলনায় ১০ শতাংশ অনেক বড় একটি সংখ্যা। আমরা কোন একজন শিক্ষার্থীকে পেছনে রেখে আগাতে চাই না।
জাতিসংঘ প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ববিদ্যালয়) এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামানিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক।