শিক্ষা নিউজ

সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে সৃষ্টি হলো ‘জ্যেষ্ঠ শিক্ষক’ পদ

দেশের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে সৃষ্টি হলো ‘জ্যেষ্ঠ শিক্ষক’ (সিনিয়র টিচার) পদ। কর্মরত সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে মোট পদের অর্ধেক শিক্ষক এ পদে পদোন্নতি পাবেন। এটি প্রথম শ্রেণির পদ। এই পদে কর্মরত শিক্ষকরা জাতীয় বেতন স্কেলের নবম গ্রেডে (২২ হাজার টাকা মূল বেতন) বেতন পাবেন। প্রথমবারের মতো এই পদ সৃষ্টি করে তাতে পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু করেছে এই বিদ্যালয়গুলোর নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ ‘মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর'(মাউশি)। এই পদে সারাদেশের পাঁচ হাজার ৪০৬ জন শিক্ষক এবার পদোন্নতি পেতে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক বেলাল হোসাইন সমকালকে বলেন, সরকারি হাইস্কুলে জ্যেষ্ঠ শিক্ষক পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এরই মধ্যে এ বিষয়ে সরকারি গেজেটও হয়েছে। এখন এ পদের জন্য যোগ্যদের তালিকা করা হচ্ছে। শিগগিরই এ পদে পদোন্নতি দেওয়া হবে।

মাউশি সূত্র জানায়, সারাদেশের মোট সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে (নতুন জাতীয়করণসহ) ৬৮৩টি। এসব বিদ্যালয়ে বর্তমানে জ্যেষ্ঠ শিক্ষকের কোনো পদ নেই। জাতীয় বেতন স্কেলের দশম গ্রেডে সহকারী শিক্ষক হিসেবে এন্ট্রি পদে চাকরিতে ঢুকে শিক্ষকরা ক্রমান্বয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পান। সরকার সহকারী শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের মাঝে নতুন করে ‘জ্যেষ্ঠ শিক্ষক’ পদ সৃষ্টি করেছে। শতভাগ পদোন্নতির মাধ্যমে এ পদ পূরণ করা হবে। চাকরির আট বছর পূর্ণ হলে সহকারী শিক্ষকরা এ পদে পদোন্নতির যোগ্য হবেন। তবে এ পদে পদোন্নতি পেতে শিক্ষকদের তিনটি শর্ত পূরণ করতে হবে। প্রথমত, সহকারী শিক্ষক পদে আট বছরের সন্তোষজনক চাকরিকাল হতে হবে। দ্বিতীয়ত, যোগদান থেকে প্রথম পাঁচ বছরের মধ্যে বিএড ডিগ্রি অর্জন করতে হবে এবং তৃতীয়ত, শিক্ষাজীবনে একাধিক তৃতীয় বিভাগ গ্রহণযোগ্য হবে না।

মাউশি থেকে জানা গেছে, দেশের ৬৮৩টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ রয়েছে ১০ হাজার ৮১২টি। এর বাইরে ৬৮৩টি প্রধান শিক্ষক ও ৬৮৩টি সহকারী প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে। যদিও এসব পদের বিপুলসংখ্যক বর্তমানে শূন্য রয়েছে। ২০১২ সাল থেকে টানা সাত বছর শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ ছিল। এতে শূন্যতা তৈরি হয়। ২০১২ সাল থেকে কারিকুলাম ও সিলেবাস পরিবর্তনের কারণে গত আট বছরে চারটি নতুন বিষয় বিদ্যালয়গুলোতে চালু হয়েছে। এগুলো হলো- তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি), শারীরিক শিক্ষা, কর্মমুখী শিক্ষা, চারু ও কারুকলা। এসব বিষয়েরও কোনো বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে নেই। এক বিষয়ের শিক্ষক পড়াচ্ছেন অন্য বিষয়। তথ্যপ্রযুক্তির মতো মৌলিক বিষয়ও পড়ানো হচ্ছে অন্য বিষয়ের শিক্ষক দিয়ে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালের ১৫ মে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার পদমর্যাদা ঘোষণা দেন। আর এবার প্রথম শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদায় ‘জ্যেষ্ঠ শিক্ষক’ পদও চালু হলো।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *