শিক্ষকরা চাইলে ব্যাংক ও হাসপাতাল তৈরি করতে পারবে
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী (এমপি) মো. জাকির হোসেন বলেছেন, শিক্ষকরা যদি সামান্য কিছু পরিমাণ টাকা একসঙ্গে তহবিল করতে পারে, তাহলে সেটা হবে অনেক বড় একটি অ্যামাউন্ট। প্রাথমিক শিক্ষকরা চাইলে সবাই একসঙ্গে মিলিতভাবে বড় কিছু করতে পারবে। শিক্ষকরা চাইলে একটি ব্যাংক ও উন্নত মানের হাসপাতাল তৈরি করতে পারবে।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর-১৩ নম্বর প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে আয়োজিত চিকিৎসা সহযোগিতা ও উচ্চশিক্ষা বৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এসব কথা বলেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট চেক বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমের সভাপতিত্ব করেন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক দেশে প্রায় ৫ লাখ। প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার বিশাল এক পরিবার। যা সেনাবাহিনীর থেকে বড়।বাংলাদেশের কোনো সরকারি ডিপার্টমেন্টে ৫ লাখ সদস্য নাই। সরকারি চাকরিজীবীদের এক করলে প্রাথমিক শিক্ষা পরিবার এক তৃতীয়াংশ। আমরা চাইলে পুলিশ ও আনসারের মত নিজেদের একটি ব্যাংক তৈরি করতে পারি।
সব সংস্থা ও বাহিনীর ব্যাংক আছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকদের কেন প্রধানমন্ত্রীর অনুদানের অপেক্ষায় থাকতে হবে। শিক্ষকরা নিজেদের ব্যাংকের টাকা দিয়ে নিজেরা উপবৃত্তি-অনুদান- সহায়তা দিতে পারতেন। আমরা কেন অপেক্ষা করবো অনুদানের লাভ পাওয়ার আর সে টাকায় বিপদগ্রস্থ শিক্ষকদের সহযোগিতা করার।
তিনি বলেন, শিক্ষকরা জাতি গড়ার কারিগর। আপনাদের দিকে তাকিয়ে আছে আগামী প্রজন্ম। শিক্ষকরা উন্নত বাংলা গড়ার হাতিয়ার। আপনাদের সঙ্গে নিয়ে আগামী বিশ্ব মোকাবিলা করতে পারবো ইনশাল্লাহ।
জাকির হোসেন আরো বলেন, ‘১৯৭৩ সালে বিভীষিকাময় দিনগুলোতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান উপলব্ধি করেছিলেন, স্বাধীন দেশ, স্বাধীন জাতিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তৈরি করতে হবে। তা না হলে স্বপ্নের স্বাধীনতা ও স্বপ্নের বাংলাদেশ কিছুই ধরে রাখা সম্ভব হবে না। তখন তিনি প্রায় দেড় লাখ শিক্ষককে জাতীয়করণ করেছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম শিক্ষকদের জাতীয় পর্যায়ে মূল্যায়ন করেছেন। ’
বিগত সরকারের আমলের শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পরে আর কোনো সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে তেমনভাবে জাতীয়করণ করেনি। বিগত সরকারগুলোর আমলে মাত্র এক হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্নভাবে সরকারি করা হয়েছে। ২০১৩ সালে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় এসে আরও ২৬ হাজার ১৯৩টি বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করেন।
অনুষ্ঠানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে ৭৯০ জন শিক্ষকে চিকিৎসা ভাতা ও উচ্চশিক্ষা বৃত্তির চেক দেয়া হয়। ২০ জন শিক্ষক সরাসরি প্রতিমন্ত্রীর হাত থেকে চেক বুঝে নেন।