বায়ু দূষণের ১০টি কারণ
বায়ু দূষণের ১০টি কারণ নিম্নে দেয়া হলো।
বায়ু দূষণের প্রধান ১০টি কারণ হল:
যানবাহনে জীবাশ্ম জ্বালানীর দহন
কারখানার ধোঁয়া
আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত
বনের গাছ-গাছালি পোড়ানো
কৃষিতে কীটনাশক ও ব্যাকটেরিয়ানাশক ওষুধের ব্যবহার
অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ কাজ ও সমন্বয়হীন সংস্কার কাজ
ইটভাটা এবং শিল্প কারখানা
ফিটনেসবিহীন যানবাহনের কালো ধোঁয়া
ময়লা-আবর্জনা পোড়ানো
গাছ কাটা এবং প্রাকৃতিক জলাধারে বর্জ্য ফেলা
এই কারণগুলি বায়ু দূষণ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য এই কারণগুলির উপর নজর দেওয়া জরুরি।
বায়ু দূষণের প্রভাব
বায়ু দূষণের প্রভাব মানুষ ও পরিবেশের উপর বিস্তর। এর কিছু প্রভাব হল:
শ্বাসতন্ত্রের রোগ: বায়ু দূষণ হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, মাথাব্যথা, ফুসফুসের ক্যান্সার, কাশি, চোখে জ্বালাপোড়া, গলা ব্যথা, নিউমোনিয়া, হৃদরোগ, বমি এবং ঠান্ডার মতো রোগের কারণ হতে পারে।
প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব: বায়ু দূষণের ফলে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে।
স্নায়বিক জটিলতা: ভারী ধাতু ও সূক্ষ্ম বস্তুকণা বাতাসে বৃদ্ধি পেলে স্নায়বিক জটিলতা এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা বেড়ে যায়।
পরিবেশের উপর প্রভাব: দূষিত বাতাসের কারণে সূর্যালোকের পরিমাণ কমে যায়, যা উদ্ভিদের সালোকসংশ্লেষণকে প্রভাবিত করে।
এই প্রভাবগুলি মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করে। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিকারের জন্য সচেতনতা ও প্রযুক্তিগত উন্নতি অত্যন্ত জরুরি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত রিভিউ হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী নিয়ে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সিদ্ধান্ত নেবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে। এটাকে রিভিউ করা হতে পারে।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ যদি বেড়ে যায় তাহলে নিশ্চয়ই এটাকে রিভিউ হয়ত তারা করবেন। আর যদি করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে হয়ত তারা তাদের মতো করে সিদ্ধান্ত নেবেন৷
করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকার আবারও কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে চিঠি দিয়েছি। মাস্ক না পরলে জরিমানা করাসহ বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রায় দুই মাস পর করোনা সংক্রমণ হাজারের ঘরে ওঠে। এরপর টানা প্রায় চার দিন দেশে শনাক্তের সংখ্যা হাজারের বেশি হয়েছে বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাই সরকারও মাস্ক পরা ও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা শনাক্তের খবর জানানোর পর ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী জানান, স্কুল-কলেজ ৩০ মার্চ খুলে দেয়া হবে। তবে সংক্রমণ বেড়ে গেলে বিকল্প চিন্তা করার কথা বলেছিলেন তিনি।