পরীক্ষা খবরশিক্ষা নিউজ

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা কবে হবে জানালেন ডিপিই মহাপরিচালক

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে ১৩ লক্ষাধিক প্রার্থী উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন। কবে নিয়োগ পরীক্ষা আয়োজন করা হবে তা এখনো ঘোষণা না হওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন তারা।

তবে নানান ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে স্কুল খোলা নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)।

একাধিক আবেদনকারী জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত থাকলেও বর্তমানে সকল নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ৪১তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আয়োজন করা হয়েছে। সে পরীক্ষায় প্রায় ৫ লাখ আবেদনকারী অংশগ্রহণ করেছেন। তবে প্রাথমিকে আবেদন কার্যক্রম শেষে দীর্ঘ সময় পার হলেও এখনো প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার সময় ঘোষণা করা হয়নি।

তারা বলেন, আমাদের মধ্যে অনেক প্রার্থীর সরকারি চাকরির বয়স শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করবেন বলে অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য চেষ্টা না করে বেকার রয়েছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া না হলে তাদের অনেকে নানানভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

 

গত বছরের ১৯ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মাধ্যমে সাড়ে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। তার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫ হাজার ৬৩০ জন নিয়োগ হবে। বাকিদের শূন্য আসনে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। তবে শুন্য আসনের সংখ্যা বাড়লে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

ডিপিই সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অনলাইনে আবেদন নেয়া শুরু হলে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ১৩ লাখ ৫ হাজারের বেশি আবেদন জমা হয়। অনলাইন আবেদন করতে গিয়ে নানা ধরনের ভুল সংশোধন করতে দুই ধাপে তা সংশোধন করতে সুযোগ দেয় ডিপিই। তার মধ্যে একাডেমিক সার্টিফিকেট গ্রহণ না করা, বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত না থাকায় আবেদন সম্পন্ন না হওয়া, জেন্ডার (লিঙ্গ) নির্বাচনে ভুলসহ নানা ধরনের জটিলতা সমাধান করা হয়।

 

জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) মহাপরিচালক আলমগীর মুহাম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।’

মহাপরিচালক বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থাতেও নিয়োগ সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কাজ আমরা এগিয়ে রেখেছি। পরীক্ষার বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সঙ্গে চুক্তিও সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ৩০ মার্চ বিদ্যালয় খোলার সরকারি সিদ্ধান্তকে সামনে রেখে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হচ্ছে। বিদ্যালয় খোলা সম্ভব হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষা শুরু করা হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সারাদেশে আমাদের ১৩ লাখের বেশি নিয়োগের জন্য আবেদন রয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে এত বিশাল সংখ্যক প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষা নেয়াটা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ কারণে প্রস্তুতি থাকলেও ঝুঁকি এড়াতে এখন পর্যন্ত পরীক্ষার সময় চূড়ান্ত করা হয়নি। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে এ পরীক্ষা শুরু করা হবে।’

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply