শিক্ষা নিউজ

ঈদ উপলক্ষে চলমান বিধিনিষেধ শিথিল, ঈদের পর কঠোর লকডাউন

করােনাভাইরাসজনিত রােগ (কোডিড-১৯)-এর বিস্তার রােধকল্পে সার্বিক কার্যাবলি/চলাচলে বিধি-নিষেধ আরােপ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ। পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন উপলক্ষে চলমান কঠোরবিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে৷ পাশাপাশি ঈদের পর আবারও কঠোর বিধিনিষেধ বহাল রাখার কথাও বলা হয়েছে। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন- চলমান কঠোর বিধিনিষেধ ২৩ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি

প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন, জনসাধারণের যাতায়াত, ঈদ পূর্ববর্তী ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে আগামী ১৪ জুলাই ২০২১ তারিখ মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ২০২১ তারিখ সকাল ০৬.০০ ঘটিকা পর্যন্ত সূত্রস্থ স্মারকদ্বয়ে আরোেপিত সকল বিধি-নিষেধ শিথিল করা হলাে। তবে, এ সময়ে সর্বাবস্থায় জনসাধারণকে সতর্কাবস্থায় থাকা এবং মাঙ্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবেঅনুসরণ করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, করােনাভাইরাসজনিত রােগ (কোভিড১৯) সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিম্নােক্ত শর্তাবলি সংযুক্ত করে ২৩ জুলাই ২০১১ তারিখ সকাল ০৬.০০ ঘটিকা হতে ০৫ আগস্ট ২০১১ তারিখ দিবাগত রাত ১২.০০ ঘটিকা পর্যন্ত আবারও কঠোর বিধিনিষেধ বহাল থাকবে।

ঈদের পর যেসব বিধি-নিষেধ আরােপ করা হয়েছে

• সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও কেসরকারি অফিসসমূহ বন্ধ থাকবে;
• সড়ক, রেল ও নৌ-পথে গণপরিবহন (অভ্যন্তরীণ বিমানসহ) ও সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে;
• শপিংমল/মার্কেটসহ সকল দোকানপাট বন্ধ থাকবে;
• সকল পর্যটন কেন্দ্র, রিসাের্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনােদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে;
• সকল প্রকার শিল্প-কলকারখানা বন্ধ থাকবে;
• জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক বিবাহােত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি),
• রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে;
• বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আদালতসমূহের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে;
• ব্যাংকিং/বীমা/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রয়ােজনীয় নির্দেশনা জারি করবে;
• সরকারি কর্মচারীগণ নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থান করবেন এবং দাপ্তরিক কাজসমূহ ভার্চুয়ালি (ই-নথি, ই-টেন্ডারিং, ই-মেইল, SMS, WhatsApp-সহ অন্যান্য মাধ্যম) সম্পন্ন করবেন;
• আইনশৃঙ্খলা এবং জরুরি পরিসেবা, যেমন-কৃষি পণ্য ও উপকরণ (সার, বীজ, কীটনাশক, কৃষি যন্ত্রপাতি ইত্যাদি), খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহণ/বিক্রয়, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্য সেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, জাতীয় পরিচয় পত্র (এন আই ডি) প্রদান কার্যক্রম, রাজস্ব আদায় সম্পর্কিত কার্যাবলি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন ও ইন্টারনেট (সরকারি-বেসরকারি), গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া), কেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবা, ব্যাংক, ভিসা সংক্রান্ত কার্যক্রম, সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা (পরিস্কার-পরিষ্ছন্নতা, সড়কের বাতি ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কার্যক্রম), সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালসসহ অন্যান্য জরুরি/অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে যাতায়াত করতে পারবে;
• বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয় খােলা রাখার বিষয়ে অর্থ বিভাগ প্রয়ােজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে;
• জরুরি পণ্য পরিবহনে নিয়ােজিত ট্রাক/লরি/কাভার্ড ভ্যান/নৌযান/পণ্যবাহী রেল/ফেরি এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে;
• বন্দরসমূহ (বিমান, সমুদ্র, নৌ ও স্থল) এবং তৎসংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ এ নিষেধাজ্ঞার আওতাবহির্ভূত থাকবে;
• কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়ােজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯:০০টা থেকে বিকাল ৩:০০টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়- বিক্রয় করা যাবে। সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংগঠন/বাজার কর্তৃপক্ষ/স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করবে;
• অতি জরুরি প্রয়ােজন ব্যতীত (ঔষধ ও নিত্য প্রয়ােজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সংকার ইত্যাদি) কোনােভাবেই বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। নির্দেশনা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে;
• টিকা কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাবে;
• খাবারের দোকান, হােটেল-রেস্তোরী সকাল ০৮.০০টা থেকে রাত ০৮.০০টা পর্যন্ত খাবার বিক্রয় (Online/Takeaway) করতে পারবে।
• আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু থাকবে এবং বিদেশগামী যাত্রীগণ তাদের আন্তর্জাতিক ভ্রমণের টিকেট/প্রমাণক প্রদর্শন করে গাড়ি ব্যবহারপূর্বক যাতায়াত করতে পারবেন;
• স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে মসজিদে নামাজের বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নির্দেশনা প্রদান করবে;
• আর্মি ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার বিধানের আওতায় মাঠ পর্যায়ে কার্যকর টহল নিশ্চিত করার জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ প্রয়ােজনীয় সংখ্যক সেনা মােতায়েন করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট স্থানীয় সেনা কমান্ডারের সাথে যােগাযােগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করবেন;
• জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে সমন্বয় সভা করে সেনাবাহিনী, বিজিবি/কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব ও আনসার নিয়ােগ ও টহলের অধিক্ষেত্র, পদ্ধতি ও সময় নির্ধারণ করবেন। সে সঙ্গে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কোনাে কার্যক্রমের প্রয়ােজন হলে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগসমূহ এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে প্রয়ােজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে;
• জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠ পর্যায়ে প্রয়ােজনীয় সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ােগের বিষয়টি নিশ্চিত করবে; এবং
• সংক্রামক রােগ (প্রতিরােধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮-এর আওতায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীকে আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণের প্রয়ােজনীয় ক্ষমতা প্রদান করবেন।

 

 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply