শিক্ষার্থীদের টিকা দিতে সকল জেলায় টিকা কেন্দ্র হবে
জাতীয় পরিচয় পত্র থাকা সত্ত্বেও যে সকল শিক্ষার্থী এখনও টিকা নিতে পারেনি তাদের টিকা দিতে সকল জেলায় টিকা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আরো পড়ুন- করোনা সংক্রমণ আরো কিছুটা কমলেই খোলা হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: শিক্ষামন্ত্রী
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয় পত্র থাকা সত্ত্বেও যে সকল শিক্ষার্থী এখনও টিকা নিতে পারেনি তাদের এবং শিক্ষক কর্মচারী যাদের এখনও টিকা নেয়া বাকি রয়েছে তাদের টিকাদান সহজ করবার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে টিকাদান কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
প্রয়োজনে সকল জেলায় একটি (বা প্রয়োজনে একাধিক হতে পারে) করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কারিগরি সহায়তায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে শুধু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য টিকাদান কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনারও ব্যবস্থা করা হবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আগামী সাত দিনের মধ্যে সকল বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সকল শিক্ষার্থীর তথ্য নিয়ে, যে সকল শিক্ষার্থীরা এখনও টিকা গ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেনি কিন্তু শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) আছে তাদের তালিকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করবে এবং যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই কিন্তু বয়স ১৮ পেরিয়ে গেছে তাদের একটি তালিকা প্রণয়ন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যাদের এনআইডি নেই কিন্তু বয়স ১৮ এর ওপর তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পাওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতা চাইবে।
এর আগে এক ভার্চ্যুয়াল সভায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অধিকাংশ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের টিকা দেওয়া হলেও শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে রয়েছে। এ জন্য ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম আরও সহজ করতে জেলা পর্যায়ে টিকাকেন্দ্র তৈরি করা হবে। যেসব এলাকায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি থাকবে সেখানে উপজেলা পর্যায়ে কেন্দ্র তৈরি করা হবে।
দীপু মনি আরও বলেন, জেলা-উপজেলায় টিকাকেন্দ্র স্থাপনে আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা এ বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হলে শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা কেন্দ্র তৈরি করা হবে। সেখানে শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র নিয়ে টিকা দিতে পারবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণের হার কত শতাংশে নামলে আমরা স্কুল-কলেজ খুলতে পারি আগামী সপ্তাহের শুরুতে জাতীয় পরামর্শক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে আমরা সশরীরে শ্রেণি কক্ষে পাঠ কার্যক্রম শুরু করতে চাই।
আরো পড়ুন- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়াও ১৭ অক্টোবর থেকে ধাপে ধাপে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো খোলার বিষয়ে আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।