শ্রেণি কার্যক্রম চালু করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মনিটরিং টিম গঠনের নির্দেশ
কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম চালুকরণে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মনিটরিং টিম গঠনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। মাউশির ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে।
প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে দেশের সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পুণরায় চালুর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
সে বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন মাঠ পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান (সরকারি ও বেসরকারি) কে মাউশি অধিদপ্তর হতে প্রেরিত সূত্রাক্ত কোভিড-১৯ পরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালুকরণ সংক্রান্ত নির্দেশনা ও কার্যক্রমসমূহ যথাযথ ও সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে মেনে চলা এবং তা অনুসরণের জন্য তাঁর প্রতিষ্ঠানে একটি মনিটরিং টিম গঠনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হলাে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনপূর্বক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের রুটিন প্রণয়ন নির্দেশনা প্রকাশ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর মাউশি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ১ম থেকে এইচএসসি পর্যায়ের ক্লাস রুটিন প্রণয়নে ১১ দফা নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়েছে।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে, ২০২১ ও ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবে। ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৬ ঠ, ৭ম, ৮ম ও ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সপ্তাহে ০১ (এক) দিন প্রতিষ্ঠানে আসবে। সপ্তাহে প্রতিদিন নির্দিষ্ট শ্রেণিতে ২ (দুই)টি করে ক্লাস ধরে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রুটিন প্রণয়ন করবে।
রুটিনের সাথে প্রযােজ্য ক্ষেত্রে ব্যবহারিক ক্লাসসমূহ নির্ধারণ করা যেতে পারে। যেসকল প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তর সংযুক্ত রয়েছে সেসকল প্রতিষ্ঠান ঐ সকল স্তরের জন্য নির্ধারিত ক্লাসসমূহ সমন্বয় করে রুটিন প্রণয়ন করবেন;
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ চলমান ডিগ্রি, সম্মান ও মাস্টার্স পরীক্ষার সাথে সমন্বয় সাপেক্ষে ২০২১ ও ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য রুটিন প্রণয়ন করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করবে;
রুটিন প্রণয়নের ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ/প্রস্থান/অবস্থানের সময় স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনের মত কোনাে বিষয় না ঘটে।রুটিন এমন ভাবে প্রস্তুত করতে হবে যেন ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ভিন্ন ভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে এবং প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়;
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আপাতত এসেম্বলি বন্ধ থাকবে। প্রতিদিন নির্ধারিত চেকলিস্ট অনুযায়ী তথ্য প্রেরণ করতে হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ক্লাস রুটিন তৈরীর ক্ষেত্রে উপর্যুক্ত বিষয় সমূহ অনুসরণ করতে হবে।