শিক্ষা খবরশিক্ষা নিউজ

চট্টগ্রাম জেলা পরিবার পরিকল্পনা পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২২ Chittagong District Family Planning Exam Result

চট্টগ্রাম জেলা পরিবার পরিকল্পনা পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২২ Chittagong District Family Planning Exam Result- DGFP Chittagong Result 2022, চট্টগ্রাম’র অধীনে ১৫-২০ তম গ্রেডের পরীক্ষার ফলাফল ২০২২ – dgfp chittagong Results. চট্টগ্রাম জেলার পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের বর্ণিত ০৪ (চার) ক্যাটাগরির পদে নিয়োগের লক্ষ্যে পরিবার পরিকল্পনা সহকারী, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক, পরিবার কল্যাণ সহকারী ও আয়া পদে ১৮/১১/২০২২ খ্রি: তারিখে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক এবং আয়া পদে নিম্নবর্ণিত রোল নম্বরধারীগণ উত্তীর্ণ হয়েছেন (মেধার ক্রমানুসারে নয়)।

মৌখিক পরীক্ষা শুরুর পূর্বে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ৮নং শর্ত অনুসারে বর্ণিত কাগজপত্রের এক সেট সত্যায়িত ফটোকপি এবং সকল কাগজপত্রের মূল কপি জমা দিতে হবে। পরীক্ষার চুড়ান্ত ফলাফল জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রাম এঁর ওয়েব সাইট chittagong.gov.bd এবং জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়, চট্টগ্রাম এর ওয়েব পোর্টাল http://fpo.chittagong.gov.bd/ হতে প্রকাশ করা হবে।

চট্টগ্রাম জেলা পরিবার পরিকল্পনা পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২২ Chittagong District Family Planning Exam Result

 

দেড় বছর বা ১৮ মাস বা ৫৪৪ দিন পর শ্রেণীকক্ষে ফিরলো শিক্ষার্থীরা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কিছুটা কমায় প্রায় দেড় বছর পর আজ (১২ সেপ্টেম্বর) রোববার রাজধানীসহ সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে খুলে দেওয়া হয়েছে। এদিন সকাল থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে সশরীরে পাঠদান শুরু হয়েছে।

আরো পড়ুন- সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কা দেখা দিলে আবারও অনলাইনে ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। তবে একই সঙ্গে করোনার সংক্রমণ ফের বাড়ার শঙ্কায় তাদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও রয়েছে। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে বিদ্যালয়গুলো। এ সময় শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানরা।

রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে বিভিন্ন বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে, উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছে। প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয় তাদের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিচ্ছে। সব স্কুল-কলেজই নতুনভাবে সেজেছে। শিক্ষার্থীদের চোখেমুখে ছিল উচ্ছ্বাস। দীর্ঘ বন্ধের পর প্রিয় ক্যাম্পাসে আসতে পারার খুশিটা ছিল চোখে পড়ার মতো। তাদের পরনে সেই চিরচেনা স্কুল ড্রেস, কাঁধে বইয়ের ব্যাগ। তবে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুখে মাস্ক পরিধান করে স্কুলে এসেছে তারা।

তবে দীর্ঘদিন পর স্কুল খুললেও সহপাঠীদের সঙ্গে আগের সেই হইহুল্লোড় নেই। সামনের বেঞ্চ ধরা নিয়ে নেই হুড়োহুড়িও। শিক্ষকদের নির্দেশনা মেনে ছাত্রীরা দূরত্ব বজায় রেখে তারা স্কুলে প্রবেশ করছে।

এদিকে, স্কুলগুলোর ফটকে শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা মেপে প্রবেশ করানো হচ্ছে। তাদেরকে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ফটকে স্কুলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শিক্ষকদেরও অবস্থান করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেওয়ার আয়োজন করা হয়েছে।

অন্যদিকে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে কি-না, তা পরিদর্শন করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দুই মন্ত্রী রাজধানীর দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবেন।

জানা গেছে, প্রায় ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষাব্যবস্থায় বড় ধরনের সংকট দেখা দিয়েছে। বছরের শুরুতে এসএসসি ও এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা আয়োজন করার কথা থাকলেও এখনো তা সম্ভব হয়নি।

আরো পড়ুন- স্কুলড্রেস নিয়ে শিক্ষার্থীদের চাপ না দিতে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ

এছাড়াও অন্যান্য স্থানের পাবলিক পরীক্ষা আয়োজন করা অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। নিয়মিত শিক্ষাকার্যক্রম হুমকির মধ্যে পড়েছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে সীমিত পরিসরে শিক্ষার্থীদের সশরীরে ক্লাস নেওয়া শুরু করা হয়েছে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে ওইদিন প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষামন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, দেশে করোনার সংক্রমণ দ্রুত কমে যাচ্ছে। জুলাই মাসের তুলনায় সংক্রমণ ৭০ শতাংশ কমেছে। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে।

তিনি জানান, প্রথম দিন চার-পাঁচ ঘণ্টা ক্লাস হবে। পর্যায়ক্রমে এ ক্লাসের সংখ্যা আরও বাড়বে। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানকালে শিক্ষার্থী-শিক্ষকসহ সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে।

ডা. দীপু মনি বলেন, শুরুর দিকে ২০২১ সালে যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী, তাদের প্রতিদিন স্কুলে আসতে হবে। এছাড়াও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাসে আসবে।

তিনি আরও বলেন, স্কুলে প্রবেশের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ করাতে হবে। স্কুলে আপাতত কোনো অ্যাসেম্বলি হবে না। তবে ফিজিক্যাল অ্যাক্টিভিটি বা খেলাধুলা চলবে, যাতে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো অবস্থানে থাকতে পারে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে চেকলিস্ট পূরণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে। র‌্যান্ডম স্যাম্পলিং করে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে বন্ধ করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে।

পরে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) থেকে আলাদাভাবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনাসহ বেশ কিছু সতর্কতা ও সচেতনতামূলক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এছাড়াও ডিপিই থেকে সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য মৌলিক ক্লাস রুটিন প্রকাশ করা হলোও মাউশি থেকে একটি গাইডলাইন দিয়ে সেই মোতাবেক স্কুল-কলেজে ক্লাস রুটিন তৈরির নির্দেশনা দিয়েছে।

আরো পড়ুন- স্কুল-কলেজে স্বাস্থ্যবিধি মানায় অবহেলা হলে কঠোর ব্যবস্থা: শিক্ষামন্ত্রী

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফায় স্কুল-কলেজ খোলার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরিস্থিতি ‘অনুকূলে’ না আসায় দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে আসছিল সরকার। গতকাল শনিবার স্কুল-কলেজের এ ছুটি শেষ হয়েছে।

বাংলাদেশে সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা ছিল ২০২০ সালের ১৬ মার্চ। তার পর দিন ১৭ মার্চ ছিল জাতীয় ছুটি। সেদিন মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী আয়োজনের প্রধান অনুষ্ঠানমালাও হওয়ার কথা ছিল। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। কিন্তু এরই মধ্যে বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়লে তার এই যাত্রা বাতিল করা হয় শেষ মুহূর্তে।

১৮ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। এমনকি পরবর্তীতে যে পাবলিক পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল সেগুলোও অনুষ্ঠিত হয়নি। শিক্ষার্থীদের পূর্ববর্তী পরীক্ষাগুলোর ফলাফলের উপর ভিত্তি করে একটি ফলাফল প্রকাশ করা হয় যাকে ব্যাপকভাবে ‘অটোপাশ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে পরবর্তী দিনগুলোতে। এর পর গত দেড় বছরেরও বেশি সময়ে দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানোর কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় শ্রেণীকক্ষে কোনো পাঠদান হয়নি।

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে EducationsinBD.com এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন YouTube Channel জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নোটিশ দেখুন এখানে একসাথে National University Notice Board অনার্স /মার্স্টাস/ ডিগ্রি পরীক্ষার প্রিমিয়াম সাজেশন পেতে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন। https://www.facebook.com/PremiumSuggestion আমাদের ফেসবুক গ্রুপে জয়েন করুন Facebook Group

Leave a Reply