পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সরবরাহ কর্মকর্তা পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২২ Directorate of Family Planning Supply Officer Exam Result DGFP Result পরীক্ষার তারিখঃ ২০ নভেম্বর ২০২২। সরবরাহ কর্মকর্তা পদে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও মৌখিক পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি dgfp.gov.bd।

উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, ৪র্থ স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচি’র (এইচপিএনএসপি) আওতায় পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরাধীন “প্রকিউরমেন্ট, ষ্টোরেজ এন্ড সাপ্লাই ম্যানেজমেন্ট- এফপি” শীর্ষক সংশোধিত অপারেশন প্ল্যানের অধীন ০৬ (ছয়) জন সরবরাহ কর্মকর্তা (১০ম গ্রেড) পদে ১৯ অক্টোবর, ২০২২ তারিখে অনুষ্ঠিত লিখিত পরীক্ষায় নিম্নোক্ত রোল নম্বর ধারী প্রার্থীগণ উত্তীর্ণ হয়েছেন।

পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের সরবরাহ কর্মকর্তা পরীক্ষার রেজাল্ট ২০২২ Directorate of Family Planning Supply Officer Exam Result

শিক্ষামন্ত্রী ডা দীপু মনি জানিয়েছেন, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানায় অবহেলা করা হলে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোববার রাজধানীর আজিমপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরিদর্শনে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন- সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কা দেখা দিলে আবারও অনলাইনে ক্লাস: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা দীপু মনি বলেন, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মানায় অবহেলা করা হলে, সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইভাবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিদপ্তরের যাঁরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারকির দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ এছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলার সময় ফটকের বাইরে ভিড় না করতে অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ জানান শিক্ষামন্ত্রী।

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের হার কমতে থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। আমরা ধরে নিয়েছিলাম, ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সংক্রমণের হার একেবারে ৫ শতাংশে না হলেও এর কাছাকাছি নেমে আসবে। তার ভিত্তিতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেই। আমরা এই সময়টাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার উপযুক্ত সময় মনে করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমার কাছে শয়ে শয়ে মেসেজ এসেছে যে- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবেন না। আসলে সবদিকেই অনেক মতামত রয়েছে। তার মধ্য থেকেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হলেও আমরা সেই চিন্তাও মাথায় রেখেছি। যদি কোনো আশঙ্কা দেখা যায়, তাহলে শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে না রেখে আগের পদ্ধতিতে ফিরে যাব।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শুধু সংক্রমণের হার নয় আমাদের অন্য বিষয়গুলোও বিবেচনায় নিতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শারীরিক-মানসিকসহ নানা সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এসব বিবেচনায় নিয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছি।

আরো পড়ুন- স্কুলড্রেস নিয়ে শিক্ষার্থীদের চাপ না দিতে শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশ

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গুর প্রকোপ রয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা যদি তাদের ইউনিফর্ম এর বাইরে নিজেদের পছন্দমতো পোশাক পরে স্কুলে আসেন, তাহলে বাধা দেওয়ার দরকার নেই। তাছাড়া, অনেক শিক্ষার্থীর ইউনিফর্ম স্বাভাবিক মাপমতো নেই। তাই এ বিষয়ে চাপ দেওয়ার দরকার নেই।

পরিস্থিতি যদি অনুকূল হয়, তাহলে অষ্টম জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা হতে পারে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। এ বিষয়ে তিনি বলেন, অষ্টম শ্রেণিতে এখন সশরীরে সপ্তাহে একটি ক্লাস হলেও অনলাইন, টিভি ও অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে পড়াশোনা হয়েছে।

সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী, প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও শুরুতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং প্রাথমিকের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস হবে। অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন ক্লাস করতে হবে। মাধ্যমিক পর্যায়ে যেদিন যে শ্রেণির ক্লাস থাকবে, সেদিন ওই শ্রেণির সর্বোচ্চ দুটি ক্লাস হবে। প্রাথমিকে হবে দিনে তিনটি করে ক্লাস। প্রাক-প্রাথমিক স্তরে সশরীর ক্লাস বন্ধ থাকবে।

দীর্ঘ বন্ধের কারণে শিক্ষার্থীদের শেখায় ঘাটতি হয়েছে, তাই শিক্ষাবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী চলতি শিক্ষাবর্ষ দু-এক মাস বাড়ানো হবে কি না জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এখন কী কী ঘাটতি হয়েছে বা কতটুকু হয়েছে, সেটা মূল্যায়ন করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন- ৫৪৪ দিন পর শ্রেণীকক্ষে ফিরলো শিক্ষার্থীরা

প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক দফায় স্কুল-কলেজ খোলার উদ্যোগ নেওয়া হলেও পরিস্থিতি অনুকূলে না আসায় দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে আসছিল সরকার। দীর্ঘ দেড় বছরের ছুটি শেষে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলো।