ভ্রমণ বা ঘোরাঘুরি নিয়ে স্ট্যাটাস ক্যাপশন উক্তি ছন্দ ক্যাপশন
ভ্রমণ বা ঘোরাঘুরি নিয়ে স্ট্যাটাস ক্যাপশন উক্তি ছন্দ ক্যাপশন
পরিবারকে একসাথে নিয়ে মনোরম কোনো স্থানে ভ্রমণ করার মত সুখ আর কোথায় আছে?
চিরকাল নিজের বাড়িতে বসে থাকার চেয়ে কোথাও ভ্রমণ করুন। এতে মানসিকভাবে শান্তি পাওয়া যায়।
ভ্রমণের জন্য বিনিয়োগ করার অর্থ হচ্ছে নিজের জন্য বিনিয়োগ করা।
একজন ভ্রমণকারীর কাছে সবচেয়ে প্রিয় ব্যাপার হল কখনও দেখা হয়নি এমন কোনো জায়গা দেখার সুযোগ পাওয়া।
ভ্রমণ সকল মানুষের আবেগকে বাড়িয়ে তোলে ।
(পিটার হয়েগ)
ভ্রমন করে কেউ কখনো গরীব হয়ে যায়নি ।
(সংগ্রহীত)একমাত্র ভ্রমনেই রয়েছে আনন্দ আর অভিজ্ঞতার সমন্বয় ।
(সংগৃহীত)ভ্রমনে যে অভিজ্ঞতা হবে, পৃথিবীর আর অন্য কোন কিছুতেই তা পাওয়া যাবে না ।
(সংগৃহীত)
তীরে দৃষ্টি হারানোর সাহস না থাকলে মানুষ নতুন মহাসাগর আবিষ্কার করতে পারে না ।
(আন্ড্রে গিড)
তুমি কতটুকু শিক্ষিত তা আমাকে বলো না, তুমি কত জায়গা ভ্রমন করেছো সেটা বলো ।
(মুহাম্মদ)
কুসংস্কার, গোঁড়ামি এবং সংকীর্ণতার জন্য ভ্রমণ হলো মহা ঔষধ ।
(মার্ক টোয়েন)
পুরো পৃথিবী একটি বই, এবং যারা ভ্রমণ করে না তারা কেবল এর একটি পৃষ্ঠা পড়ে ।
— সেন্ট অগাস্টাইন
ভ্রমণ এবং স্থান পরিবর্তন, মনে নতুন উদ্যম জোগায় ।
— সেনেকা
আমরা রোম্যান্সের জন্য ভ্রমণ করি, আমরা স্থাপত্যের জন্য ভ্রমণ করি এবং ভ্রমণ করি হারিয়ে যাওয়ার জন্য ।
— রে ব্র্যাডবেরি
ভ্রমনে যে অভিজ্ঞতা হবে, পৃথিবীর আর অন্য কোন কিছুতেই তা পাওয়া যাবে না ।
— সংগৃহীত
আমরা রোম্যান্সের জন্য ভ্রমণ করি, আমরা স্থাপত্যের জন্য ভ্রমণ করি এবং ভ্রমণ করি হারিয়ে যাওয়ার জন্য ।
— রে ব্র্যাডবেরি
নতুন প্রণীত জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুযায়ী তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সোমবার দুপুরে বাংলাদেশের প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাক্রমের ঘোষণা করতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী ডা দীপু মনি জানান, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না। নতুন শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু হবে আগামী বছর। এক্ষেত্রে প্রাথমিকে প্রথম শ্রেণি আর মাধ্যমিকে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাইলটিং শুরু হবে। আর প্রয়োগ শুরু হচ্ছে ২০২৩ সালে।
আরো পড়ুন- ২০২৩ সাল থেকে পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা থাকছে না
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা উপস্থাপন করেন শিক্ষামন্ত্রী। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে কক্ষে আয়োজিত রূপরেখা উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
পরে সচিবালয়ের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রূপরেখা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডা. দীপু মনি। এসময় তিনি তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বার্ষিক পরীক্ষা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, শিক্ষার্থীদের জন্য আনন্দঘন শিক্ষা নিশ্চিত করতে এ শিক্ষাক্রম তৈরি করা হয়েছে। এ শিক্ষাক্রম পাইলটিং হবে আগামী বছর থেকে শুরু হবে। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের ১ম ও ২য় শ্রেণি ও ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি এবং ৮ম ও ৯ম শ্রেণি এ শিক্ষাক্রমের আওতায় আসবে। এ শিক্ষাক্রমের আওতায় ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে সব শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ শিক্ষাক্রম অনুমোদন দিয়েছেন
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০২৩ সাল থেকে পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) এবং অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষা থাকবে না। সাময়িক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পঞ্চম থেকে ষষ্ঠ এবং অষ্টম থেকে নবম শ্রেণিতে উন্নীত করা হবে।’
আরো পড়ুন- এসএসসিতে থাকছে না বিভাগ বিভাজন, এইচএসসির মূল্যায়নে পরিবর্তন
নতুন শিক্ষাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীতে কিছু বিষয়ের ওপর পড়াশোনার সময় মূল্যায়ন হবে, কিছু বিষয়ের ওপর হবে বার্ষিক মূল্যায়ন। সোমবার দুপুরে বাংলাদেশের প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত শিক্ষাক্রমের ঘোষণা করতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এসএসসি পরীক্ষা হবে শুধু দশম শ্রেণীর পাঠ্যক্রমের ওপর। এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল নির্ধারিত হবে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল মিলিয়ে। নবম-দশম শ্রেণীতে বিজ্ঞান, মানবিক ইত্যাদি বিভাগ থাকবে না। একজন শিক্ষার্থী কোন বিভাগ নিয়ে পড়বেন, সেটা ঠিক করবে একাদশ শ্রেণীতে গিয়ে।
শিক্ষা নিয়ে সরকারের নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করার জন্য সামনের বছর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ছয় মাস প্রয়োগ করা হবে। সেটার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। সরকারের পরিকল্পনায় পুরো শিক্ষাক্রম শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক, আনন্দময় এবং বিষয়বস্তুর চাপ কমানোর বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা থাকবে না। ২০২৩ সাল থেকে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞানে বিষয়ে ৬০ শতাংশ ধারাবাহিক মূল্যায়ন ও ৪০ শতাংশ সামষ্টিক মূল্যায়ন বা ক্লাস মূল্যায়ন করা হবে। এছাড়াও শারীরিক, মানসিক, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা, ধর্মশিক্ষা, শিল্পকলা বিষয়ে শিখনকালীন মূল্যায়ন বা ক্লাস মূল্যায়ন করে নম্বর দেওয়া হবে। এভাবে মূল্যায়নের পর তাদের পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘মুখস্ত নির্ভরতা যাতে না থাকে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা হবে। এক স্তর থেকে আরেক স্তরে গিয়ে যেন শিক্ষার্থীর শেখার ধারাবাহিকতার মধ্যে আটকে পড়ে, সেটি নিয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। পুরো শিক্ষাক্রম হবে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক, সেটি যেন আনন্দময় হয়; তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। পাঠ্যপুস্তক যেন শিক্ষার্থীদের কাছে বোঝা না হয়, সেটি প্রধানমন্ত্রী বারবার আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন। উনার পরামর্শ অনুযায়ী আমরা পাঠ্যপুস্তকের কালিকুলামে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘নতুন কারিকুলামে গভীর শিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে, ভাসাভাসা শেখানোর প্রক্রিয়া থেকে সরে আসতে হবে। শিক্ষার্থীদের দৈহিক ও মানসিক বিকাশে খোলাধুলার ও নানান সৃজনশীল কাজের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হবে। ক্লাসে পাঠদান শেষ করানোর চেষ্টা করা হবে এবং বাড়ির কাজের চাপ কমিয়ে দেওয়া হবে। সারাদিন ক্লাস ও শিক্ষকদের পেছনে দৌঁড়ে যেন সময় পার না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হবে। শিক্ষার্থীরা যেন নিজেদের মতো করে কিছুটা সময় কাটাতে পারে, সেটি নিশ্চিত করা হবে।’।