শিগগিরই ১২-১৭ বছর বয়সী ৩০ লাখ শিক্ষার্থী ফাইজারের টিকা পাবে
শিগগিরই ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে সরকার। জন্ম-নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে নিবন্ধনের আওতায় এনে প্রাথমিকভাবে ত্রিশ লাখ শিক্ষার্থীদের ফাইজারের টিকা দেয়া হবে।
এ বিষয়ে রোববার (১০ অক্টোবর) এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, এখনো তারিখ ঠিক হয়নি, কিন্তু শিঘ্রিই দেয়া শুরু করবো। দুয়েক দিনের মধ্যেই আপনারা দেখতে পাবেন কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, এই মুহূর্তে ৬০ লাখ ফাইজারের টিকা রয়েছে। তাই দ্বিতীয় ডোজ হাতে রেখে মোট ৩০ লাখ ১২-১৭ বছর বয়সী ছেলেমেয়েকে এই টিকা দেবো। আবার যখন ফাইজারের টিকা হাতে আসবে, তখন আমরা এ সংখ্যা বৃদ্ধি করবো। বর্তমানে ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের টিকাদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কিন্তু তার কম বয়সীদের টিকা দেয়ার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সরাসরি কোন নির্দেশনা নেই।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। উনার সাথে কথা বলার পর আমি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স-গ্যাভির সঙ্গে কথা বলেছি। তারা টিকার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছেন।
‘শিশুদের তো জাতীয় পরিচয় নেই, তাদের টিকা কী প্রক্রিয়ায় দেওয়া হবে’ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, শিশুদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই কিন্তু, তাদের জন্মনিবন্ধন সনদ রয়েছে। তাই শিশুদের জন্মনিবন্ধন সনদ ও স্কুল সার্টিফাইড সনদের ভিত্তিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ মাধ্যমে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।