বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে কিছু সাধারণ জ্ঞান নিম্নে দেয়া হলো
1) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন কবে?
উত্তর: ১৭ মার্চ ১৯২০।
2) ১৭ মার্চ কী দিবস?
উত্তর: জাতীয় শিশু দিবস।
3) বঙ্গবন্ধুর পিতার নাম কী?
উত্তর: শেখ লুৎফর রহমান।
4) বঙ্গবন্ধুর মাতার নাম কী?
উত্তর: সায়েরা খাতুন।
5) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকনাম কী ছিল?
উত্তর: খোকা।
6) বঙ্গবন্ধুর স্ত্রীর নাম কী?
উত্তর: বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব (ডাকনাম রেণু)।
7) বঙ্গবন্ধু কোথায় প্রাথমিক শিক্ষা শুরু করেন?
উত্তর: গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
বঙ্গবন্ধু ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন কোন স্কুল থেকে?
উত্তর: গোপালগঞ্জ সেন্ট মথুরানাথ মিশনারি স্কুল থেকে।
9) বঙ্গবন্ধু কোথা থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন?
উত্তর: কলকাতার ইসলামিয়া কলেজ থেকে।
10) বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন কবে?
উত্তর: ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে (আইন বিভাগে)।
11) বঙ্গবন্ধু ইসলামিয়া কলেজে পড়ার সময় কোথায় থাকতেন?
উত্তর: কলকাতার বেকার হোস্টেলের ২৪ নম্বর কক্ষে।
12) ইসলামিয়া কলেজের বর্তমান নাম কী?
উত্তর: মাওলানা আজাদ কলেজ।
13) বঙ্গবন্ধুকে কবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়?
উত্তর: ১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসে।
14) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কবে বঙ্গবন্ধুর ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেয়?
উত্তর: ১৪ আগস্ট ২০১০।
15) বঙ্গবন্ধু কবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন?
উত্তর: ১৯৩৯ সালে গোপালগঞ্জ মিশনারি স্কুলে পড়ার সময়।
16) বঙ্গবন্ধু কবে প্রথম কারাবরণ করেন?
উত্তর: ১৯৩৮ সালে (সাত দিন)।
17) বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক কারণে প্রথম কবে কারাবরণ করেন?
উত্তর: ১১ মার্চ ১৯৪৮ সালে। (রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে)
18) বঙ্গবন্ধু কবে মুসলিম ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি।
19) ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন গঠিত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের কোন পদে ছিলেন?
উত্তর: যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
20) বঙ্গবন্ধু কবে আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক হন?
উত্তর: ৯ জুলাই ১৯৫৩ (১৯৫৩-১৯৬৬)।
21) বঙ্গবন্ধু ১৯৫৪ সালের প্রাদেশিক নির্বাচনে কোন আসন থেকে নির্বাচিত হন?
উত্তর: গোপালগঞ্জ।
22) যুক্তফ্রন্ট সরকারে বঙ্গবন্ধু কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান?
উত্তর: কৃষি, সমবায় ও পল্লী উন্নয়ন (১৯৫৪ সালের ১৫ মে)।
23) বঙ্গবন্ধু কবে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন?
উত্তর: ১৯৬৬ সালের ১ মার্চ (ষষ্ঠ কাউন্সিলে)।
24) বঙ্গবন্ধুকে প্রধান আসামি করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করা হয়?
উত্তর: ১৯৬৮ সালের ১ জানুয়ারি।
25) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রকৃত নাম কী?
উত্তর: ‘রাষ্ট্রদ্রোহিতা বনাম শেখ মুজিব ও অন্যান্য’।
26) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিচার শুরু হয় কবে?
উত্তর: ১৯৬৮ সালের ১৯ জুন (ঢাকা সেনানিবাসে)।
27) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় মোট আসামি ছিল কতজন?
উত্তর: ৩৫ জন (বঙ্গবন্ধুসহ)।
28) বঙ্গবন্ধু কবে ছয় দফা দাবি ঘোষণা করেন?
উত্তর: ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি (লাহোরে)।
29) বঙ্গবন্ধু কবে আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা দাবি ঘোষণা করেন?
উত্তর: ১৯৬৬ সালের ২৩ মার্চ ।
30) বঙ্গবন্ধু কবে ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ গঠন করেন?
উত্তর: ১৯৬০ সালে।
31) বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয় কবে?
উত্তর: ১৯৬৪ সালের ১১ মার্চ।
32) আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুকে কবে মুক্তি দেওয়া হয়?
উত্তর: ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি।
33) শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেওয়া হয় কবে?
উত্তর: ১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ।
34) শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেন কে?
উত্তর: তৎকালীন ডাকসুর ভিপি তোফায়েল আহমেদ।
35) বঙ্গবন্ধু কবে ‘বাংলাদেশ’ নামকরণ করেন?
উত্তর: ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর।
36) বঙ্গবন্ধু কত তারিখে জনসভায় ৬ দফার প্রশ্নে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান?
উত্তর: ১৯৭০ সালের ৭ জুন রেসকোর্স ময়দানের জনসভায়।
37) ১৭ অক্টোবর ১৯৭০ বঙ্গবন্ধু তাঁর দলের নির্বাচনী প্রতীক হিসেবে কোন প্রতীক পছন্দ করেন? উত্তর: নৌকা।
38) বঙ্গবন্ধুকে কবে ‘জাতির জনক’ উপাধি দেওয়া হয়?
উত্তর: ৩ মার্চ ১৯৭১ (উপাধি দেন আ স ম আবদুর রব)।
39) কবে বঙ্গবন্ধু তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ দেন?
উত্তর: ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ।
40) কোথায় বঙ্গবন্ধু তাঁর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দেন?
উত্তর: রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান)।
41) কোন ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেন?
উত্তর: ৭ মার্চের ভাষণে।
42) ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু কয়টি দাবি উপস্থাপন করেন?
উত্তর: ৪টি।
43) বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে কী নামে প্রচারিত হতো?
উত্তর: বজ্রকণ্ঠ নামে।
44) বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেন কবে?
উত্তর: ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে।
45) পাকিস্তান সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে কখন গ্রেপ্তার করে?
উত্তর: ২৬ মার্চ ১৯৭১ (প্রথম প্রহরে)।
46) মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি কে ছিলেন?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
47) পাকিস্তানের ২৪ বছরে বঙ্গবন্ধু কত বছর কারাগারে কাটিয়েছেন?
উত্তর: ১২ বছর।
48) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কে ছিলেন?
উত্তর: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
49) বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ‘জয় মুজিবুর’ কবিতাটি কে লেখেন?
উত্তর: অন্নদাশঙ্কর রায়।
50) ‘বঙ্গবন্ধু’ কবিতাটি কার লেখা?
উত্তর: জসীমউদ্দীন (১৬ মার্চ ১৯৭১)।
51) খোকা আমাদের বঙ্গবন্ধু কার লেখা ?
উত্তর: শাবলু শাহাবউদ্দ…
52) পনেরো আগস্ট কবিতা কার ?
উত্তর: সৈয়দ শামসুল হক।
53) স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু কার লেখা?
উত্তর: এম. আনিসুজ্জামান।
54) অগ্নিস্নাত বঙ্গবন্ধুর ভস্মাচ্ছাদিত কন্যা আমি লেখক কে?
উত্তর: নীলিমা ইব্রাহিম।

। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও সংক্রমণ বেড়েই যাচ্ছে। এখনো এ সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখি। একইসঙ্গে দেশে মৃত্যুর সংখ্যাটাও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা আমাদের জানিয়েছেন, এ ঊর্ধ্বগতিটা আরও কিছুদিন থাকবে। তাদের পক্ষ থেকে আরও দুই সপ্তাহ এ ঊর্ধ্বগতি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকার এ গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছে। করোনা পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীরে পাঠদান কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেবো।
বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সশরীরে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগের মতো এবারও ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়তে পারে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সরকার করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পরিস্থিতি উন্নতি না হলে আগের মতো এবারও ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়বে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নির্ধারণ করা হবে ছুটি। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, করোনা সংক্রমণের হার ২৮ শতাংশ ছাড়ানোর সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। গতকালও এই হার ছিলো ২৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। সংক্রমণের হার গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমেছে। তবে করোনা সংক্রমণের হার এখনো নিরাপদ জায়গায় না আসায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সম্ভাবনা কম। আরও ৭-১৪দিন ছুটি বাড়তে পারে।অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সমালোচনা করছেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া সবই স্বাভাবিকভাবে চলছে। কোনো কিছুই বন্ধ হচ্ছে না। দেড় বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে গেছে। অনলাইন পাঠে সে ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব না। অচিরেই তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানান।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, গত দুইদিন ধরে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সরকারের ওপর চাপ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচিও প্রায় শেষের দিকে। করোনা সংক্রমণ আরও কিছুটা কমলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হতে পারে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও বলেছেন, করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে কবে নাগাদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হবে। পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে চান না বলে জানান তিনি।
Gradually, the leave of the educational institution may increase step by step. Education Minister Dr. Dipu Moni said that even though the educational institutions are closed, the infection is increasing. Yet the infection is on the rise. At the same time, the number of deaths in the country is increasing. Experts have told us that this upward trend will continue for some time to come. It has been reported that they will continue to rise for another two weeks. The education minister said the government was monitoring the situation. Based on the Corona situation, I will decide to start physical teaching activities in the educational institution.