মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা, ২০২৩
শহরের ভেতরে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি হবে ৩০ কিলোমিটার। মহাসড়কে ১২৬–এর কম সিসির (ইঞ্জিনক্ষমতা) মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না। পাশাপাশি পেছনে আরোহী নিয়ে মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না।
খসড়া নীতিমালায় তিনটি উদ্দেশ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে—
১. মোটরসাইকেল চলাচল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা কমানো।
২. মোটরসাইকেলের নিরাপদ ব্যবহার ও অপেক্ষাকৃত কম ঝুঁকিপূর্ণ মোটরসাইকেল ব্যবহারে উৎসাহ তৈরি।
৩. মোটরসাইকেলচালকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো।
লাইসেন্সধারী ব্যক্তি ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তির নামে মোটরসাইকেলের নিবন্ধন প্রদান ও মালিকানা বদল করা যাবে না।
ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, দুর্গাপূজার মতো পার্বণের আগে-পরে ১০ দিন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। এ ছাড়া মহাসড়কে মোটরসাইকেল আরোহী বহন এবং ১২৬ সিসি ইঞ্জিনের নিচে বাইক চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মোটরসাইকেল চালনাকালে চালক ও আরোহী উভয়কেই সঠিকভাবে বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদিত হেলমেট পরতে হবে। মহাসড়কে চলাচলের জন্য মোটরসাইকেলে এবিএস (এনটি লক ব্রেকিং সিস্টেম) থাকতে হবে। মোটরসাইকেল বাঁ লেনে চালাতে হবে। মোটরসাইকেল ফুটপাতে চালানো যাবে না। বৃষ্টির সময় অতি সহজে থামানো যায়, এমন নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীরগতিতে মোটরসাইকেল চালাতে হবে। মোটরসাইকেল চালনাকালে হঠাৎ গতি বাড়ানো, থামানো বা দ্রুত মোড় নেওয়া যাবে না।
কুয়াশায় লো-বিম বা ডিপার জ্বালিয়ে সতর্কতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ উপযোগী ধীরগতিতে মোটরসাইকেল চালাতে হবে। দৃষ্টিসীমা বেশি মাত্রায় কমে গেলে বা একেবারেই দেখা না গেলে মোটরসাইকেল চালানো বন্ধ করতে হবে। মোটরসাইকেল চালনাকালে নির্ধারিত গতিসীমা মেনে চলতে হবে। রাতে মোটরসাইকেল চালনাকালে রেট্রোরিফ্লেক্টিভ জ্যাকেট ব্যবহার করতে হবে এবং মোটরসাইকেল চালনাকালে ফার্স্ট এইড কিট বহন করতে হবে।
বিআরটিএ সূত্র জানায়, মোটরসাইকেল বিক্রির আগে লাইসেন্স নিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছে। কিন্তু সংস্থাটির লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।
ঢাকাসহ শহরের ভেতরে মোটরসাইকেলের সর্বোচ্চ গতি হবে ৩০ কিলোমিটার।
মোটরসাইকেলের চলাচল নিয়ন্ত্রণে এসব বিষয় যুক্ত করে একটি নীতিমালার খসড়া করেছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. আনিসুর রহমানের নেতৃত্বাধীন ৯ সদস্যের একটি কমিটি। কমিটিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), পুলিশ এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
নীতিমালাটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা, ২০২৩’। খসড়াটি শিগগিরই অনুমোদন পেতে পারে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
জনাব, 126 সিসির কম অর্থ্যাৎ 55 সিসি হতে 125 সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেলগুলি ক্রয়কারীগন দুটি কারণে মোটরসাইকেল কিনেছেন – 1.আর্থিক সমস্যার কারনে 2. কম তেলে অধিক মাইলেজ পাওয়া যায় বলে। এদেশে তেলের যে দাম তাতে কম সিসিরগাড়ী চালানেওয়ালারা সংখ্যায় অনেক। কম সিসির বাইক চালানেওয়ালারা বেশির ভাগই হয়ে থাকে চাকরীজীবী, ব্যবসায়ী, শিক্ষক ও কম আয়ের লোক ইত্যাদি। তারা তাদের খুব প্রয়োজনেই মোটরসাইকেল ব্যবহার করে থাকেন এবং সাবধানে। কারণ তারা জানেন একটি দূর্ঘ টনা একটি পরিবারের জন্য কতখানি কস্টের হয়। মোটরসাইকেল দূর্ঘ টনার কারন দেখতে গেলে- দেখা যায়,1. যারা মোটরসাইকেল কিনেছেন শুধু সখে বা ইনজয় করতে বা মোটরসাইকেল চালানোর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নয় এমন যুবক শ্রেণী বা কম বয়সী ছেলেরা, তাদের বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানো। 2. বাস, ট্রাক, অন্যান্য বড় গাড়ী যেগুলো মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে চলে এবং ছোট গাড়ী গুলোকে পাত্তা না দেওয়ার মনমানসিকতা থাকে ও আইন বহির্ভূত ওভারটেইকিং, আগে যাওয়ার জন্য পারাপারি ইত্যাদি। এ জন্য কম সিসির মোটরসাইকেল চালানেওয়ালাদের পক্ষ হতে উক্ত খসড়া মোটরসাইকেল নীতিমালা -2023 প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিজ্ঞ কমিটিগণদের সদয় বিবেচনার নিমিত্তে কম সিসির মোটরসাইকেল মহাসড়কে না চালানোর নীতিমালা প্রণয়ন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হচ্ছে। এটা হলে অনেক মধ্যবিত্ত ভদ্রজন তাদের প্রতিদিন কার কর্মজীবন দূর্বিসহ হয়ে উঠবে। এছাড়া করোনা সংক্রান্ত বিষয় ও আমাদের মাথায় রাখা উচিত। করোনার কারনেও অনেকে কম সিসির মোটরসাইকেল গুলো কিনেছেন এবং নির্বিঘ্নে অফিসে যাতায়াত করছেন।